আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাও বনাম ‘মাওবাদ’ (৩)

সাংবাদিক

খতম অভিযানের বিবর্তন শান্তনু দে শেণীসংগ্রামের সঙ্গে ‘শ্রেণীশত্রুদের খতম অভিযানকে’ বিলকুল গুলিয়ে ফেলা সেদিন অনুমোদন করেনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিও। এবং তখনও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও। ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও। ১৯৭০এর নভেম্বরে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বেশকিছু পরামর্শ দেয় সি পি আই (এম এল)-কে। ক’মাস আগেই কলকাতায় পার্টির প্রথম কংগ্রেস থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চারু মজুমদার।

কিন্তু মজুমদার সেই পরামর্শগুলি থেকে শিক্ষা নিতে অস্বীকার করেন। এমনকি ওই পরামর্শগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য নেতৃত্বের মধ্যে তা বিলি পর্যন্ত করেননি। শেষে কানু সান্যাল, সৌরেন বসু, তেজেশ্বর রাও, ডি নাগভূষণ পট্টনায়েক, কোলা ভেঙ্কাইয়া এবং ডি ভূবনমোহন পট্টনায়েকের মতো ছ’জন নেতা একটি ‘খোলা চিঠি’ দলের মধ্যে বিলি করেন। ওই খোলা চিঠিতেই তাঁরা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১১টি পরামর্শকে তুলে ধরেন। পরে ১৯৭২এর নভেম্বর মাসে ফ্রন্টিয়ার পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সেদিন কী বলেছিল? পরামর্শগুলির মধ্যে ছিল : ‘প্রকাশ্যে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন, প্রকাশ্যে গণসংগঠন এবং গণআন্দোলন আজকের দিনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে এবং গুপ্তহত্যার পথই একমাত্র পথ, এই ধারনার পুনর্বিবেচনা দরকার। আমরা আগে আপনাদের ‘খতম’ (annihilation) শব্দের অর্থ বুঝতে পারিনি। আমরা ভেবেছিলাম আপনারা বোধহয় চেয়ারম্যান মাওয়ের ওয়ার অ্যানিহিলেশন থেকে এই ধারনা নিয়েছেন। কিন্তু লিবারেশন পত্রিকায় (সি পি আই এম-এল’র মুখপত্র) ১৯৭০এর জুলাই মাসের (মে-জুলাই) সংখ্যা থেকে বুঝলাম, আপনারা গুপ্তহত্যার কথা বলছেন। ’ শুধু তাই নয়, সঙ্গে আরও বলে, ‘শ্রেণীশত্রুর রক্তে হাত না রাঙালে কোনও বিপ্লবী কমিউনিস্ট হয় না, এই সূত্রায়ন একেবারেই ভ্রান্ত।

এই যদি কমিউনিস্ট হওয়ার মাপকাঠি হয়, তাহলে তিনি আদৌ কমিউনিস্ট নন, তাঁকে সমর্থন করা যায় না। ’ কিষেণজী কী বলছেন? ‘সেসময় বিপ্লবের জন্য শ্রেণীশত্রুর খতম অভিযানকেই একমাত্র রূপ হিসেবে গ্রহন করা হয়েছিল। আমরা একে পরিবর্তন করেছি। আমরা বলি খতম অভিযান সংগ্রামের অন্যতম একটি রূপ। এটি মাওবাদীদের আবিষ্কার নয়।

আমরা ইতিহাসে দেখেছি এবং জনসাধারণ সবসময়ই একে অনুমোদন করেছেন। আমাদের কাছে খতম অভিযান আমাদের সার্বিক আন্দোলনের একটি দিক। ’ ‘ইতিহাস’ মানে কোন্‌ ইতিহাস? জাপ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে চীনের যুদ্ধের ইতিহাস। ফ্রন্টলাইন পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সি পি আই (মাওবাদী)-র পলিট ব্যুরোর সদস্য কিষেণজী ওরফে কোটেশ্বর রাওয়ের দাবি, ‘খতম অভিযানের পুরনো নীতি, আর আজ আমরা যা করছি, তা এক নয়। ব্যক্তিহত্যার সঙ্গেই চলছে বিভিন্ন ধরনের গণআন্দোলন, অপরাধীদের সামাজিক বয়কট, বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ।

’ ‘খতম অভিযান’ নিয়ে কিষেণজী যে ব্যাখ্যাই দিক, ১৯৬৭তে নকশালবাড়ির ‘স্ফূলিঙ্গ থেকে দাবানলের’ স্বপ্ন দেখা বিশুদ্ধ নকশাল আন্দোলনের শেষ উত্তরাধিকার কানু সান্যালের স্পষ্ট কথা, ‘এটি আসলে চারু মজুমদারের একটি লাইন, এমনকি ৩০বছর আগেই আমি বুঝেছিলাম এটি সঠিক লাইন নয়। ’ মাওবাদীদের ‘খতম লাইনের’ তিনি ঘোর সমালোচক। বলেছেন, ‘এটি ছিল চারু মজুমদার ও তাঁর অনুগামীদের লাইন, যা ওরা নিয়েছিল ছয়ের দশকের শেষে, সাতের দশকে। এবং এটি ছিল আন্দোলন থেকে মানুষের দূরত্ব তৈরি এবং ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। ’ তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘ব্যক্তি হত্যা নয়, বরং যদি সত্যিই কেউ মাওয়ের চিন্তাধারা অনুসর করতে চান, তবে তাঁর লক্ষ্য হওয়া উচিত, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা।

কারণ ক্ষমতা সাধারণ মানুষের বন্টনের কথা বলছিলেন মাও। ’ পার্টির প্রথম কংগ্রেসে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন উত্থাপন করতে গিয়ে চারু মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের উপলব্ধি করা উচিত, খতম অভিযান হলো একইসঙ্গে শ্রেণী সংগ্রামের উচ্চতর পর্যায় এবং গেরিলা যুদ্ধের সূচীমুখ। ’ সেইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, ‘কেউ যদি এই খতম অভিযানের বিরোধিতা করেন, তিনি আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন না। আমরা তাঁকে আমাদের পার্টির অভ্যন্তরে বরদাস্ত করব না। ’ তার আগেই অবশ্য অন্ধ্রের টি নাগি রেড্ডি এনিয়ে সরব হয়েছেন।

বলেছেন, ‘খতম অভিযান কর্মসূচী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মৌল নীতির বিরোধী। কারণ ষড়যন্ত্রের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এটা তৈরি। আর ষড়যন্ত্র পুরোপুরি বিপ্লবের বিরোধী। ’ চারু মজুমদাররা অবশ্য সময় নেননি। প্রথম কংগ্রেসের আগেই বার করে দেয় নাগি রেড্ডিকে।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সেদিন এও বলে, ‘আপনারা লিন বিয়াওয়ের জনযুদ্ধ তত্ত্বকে যান্ত্রিকভাবে প্রয়োগ করছেন। লিনের গেরিলা যুদ্ধের তত্ত্ব একটি সামরিক ব্যাপার। ....এই সামরিক তত্ত্বের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রশ্নের কোনও সম্পর্ক নেই। ’ ‘বাম হটকারিতা এবং দক্ষিণপন্থী বিচ্যুতি — এই দুইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেই চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিকাশ ও উন্নতি হয়েছে। ’ চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সেদিন শুরুতেই স্মরণ করিয়ে দেয় এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি।

সেইসঙ্গে বলে, ‘তিনটি অস্ত্রের সাহায্যে সফল হয়েছে চীন বিপ্লব — (ক) পার্টি (খ) পিপলস আর্মি এবং (গ) ইউনাইটেড ফ্রন্ট। তখনও দেওয়ালে দেওয়ালে ‘চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান’। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এই গুরুতর ভ্রান্তি ধরিয়ে দিয়ে বলে, ‘মাও জে দঙকে অন্য পার্টির চেয়ারম্যান বলা ভুল হবে। কারণ এটি শ্রমিক শ্রেণীর জাতীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে। ’ স্পষ্ট করেই বলা হয়, ‘বুর্জোয়াদের সবাইকে মুৎসুদ্দি বলে চিহ্নিত করাও ভ্রান্তি।

’ নিজের ‘খতম অভিযান’ তত্ত্বের বাড়াবাড়ি দেখে শেষে ক্যাডারদের উদ্দেশে একাধিক চিঠিতে চারু মজুমদার লিখেছিলেন, ‘সমস্ত অফিসারই আমাদের শত্রু নয় — একমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত, জন-বিরোধী অফিসারই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত (অবশ্য তখনও ব্যক্তি হত্যার লাইন থেকে পুরোপুরি সরে আসেননি)। ’ (১৮নভেম্বর, ১৯৭১)। অন্য একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমাদের মনে রাখা উচিত, সমস্ত ব্যবসায়ী আমাদের শত্রু নয়। কোনও এলাকা মুক্ত হলে, এদের মধ্যে কিছু ব্যবসায়ী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে তাদের স্বার্থে। ’ (১৩ডিসেম্বর, ১৯৭০)।

যদিও, শেষের চিঠিটিকে কলকাতার কিছু ‘মুক্তাঞ্চলে’ ব্যবসায়ীরা যে ট্রেড ইউনিয়ন ও তাদের সমর্থকদের বাইরে রাখতে নকশালপন্থীদের ব্যবহার করত — তার নিশ্চয়তা হিসেবে দেখা হয়। অবশ্য স্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠিতে (১৪জুলাই ১৯৭২) চারু বাবুর অকপট স্বীকারোক্তি ছিল, ‘খতমের উপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার ফলে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সংগ্রাম আমরা খুব কমই পরিচালনা করেছি। এটি একটি বিচ্যুতি এবং ‌আমরা এটা কাটিয়ে উঠছি। ’ যদিও, ৩৭বছরেও তা কাটেনি। এখনও একই ‘বিচ্যুতি’র শিকার মাওবাদীরা।

মাওবাদীদের ‘রণনীতি ও রণকৌশল’ সংক্রান্ত দলিলেই রয়েছে তার স্পষ্ট উচ্চারণ — ‘যতই শক্তিশালী হোক না কেন শত্রুর সামরিক শক্তি এবং যতই দুর্বল হোক না কেন জনগণের সামরিক শক্তি — পিছিয়ে থাকা বিশাল গ্রামাঞ্চলে — শত্রুর সবচেয়ে দুর্বলতম অবস্থানে — ঘাঁটি গাড়ার মাধ্যমে — বিপুল সংখ্যক কৃষকের ওপর নির্ভর করে আকাঙ্খিত কৃষি বিপ্লবের লক্ষ্যে এবং সৃজণশীলতার সঙ্গে গেরিলা যুদ্ধের নমনীয় রণনীতি ও রণকৌশল এবং দীর্ঘস্থায়ী জনযুদ্ধের পথকে অনুসরণ করে — দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে ভালো সেনাবাহিনীকে (শত্রুর চেয়েও কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী) ব্যবহার করে — অতর্কিতে আক্রমণ ও খতম অভিযানের নীতি ও রণকৌশলকে অনুসরণ করলে, নিশ্চিতভাবেই আলাদা-আলাদা লড়াইগুলিতে শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করা এবং জনগণের জন্য বিজয় অর্জন সম্ভব। ’ লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয় মাওবাদীদের ‘রণনীতি ও রণকৌশলের’— ‘অতর্কিতে আক্রমণ ও খতম অভিযানের নীতি ও রণকৌশলকে অনুসরণ করার’ শেষের অংশটি। কিষেণজী কী বলছেন? ‘সি পি এম একটি মেকি মার্কসবাদী ও সামাজিক ফ্যাসিবাদী দল (যদিও, কিউবাও এদের কাছে রিভিসনিস্ট। ঘোর সংশোধনবাদী। সর্বশেষ নবম কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাব অনুযায়ী, শুধু কিউবা নয়, বর্তমান দুনিয়াতে কোনও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র আছে বলেই মাওবাদীরা মনে করেন না)।

আমরা এই সামাজিক ফ্যাসিবাদীদের যেমন সামরিকভাবে মোকাবিলা করব, তেমনই রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। এই জন্যই আমরা শ্রেণীশত্রু খতমকে সংগ্রামের একটি রূপ বলে মনে করি। ’ মাওবাদীরা যদিও দাবি করেন তারা একটি ‘বিপ্লবী শক্তি’, আসলে মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটি সংগঠন থেকে তাঁরা রয়েছেন বহু দূরে। নিজেদের যদিও তাঁরা ‘কমিউনিস্ট’ বলে দাবি করেন, আসলে তাঁদের মতাদর্শ ও অনুশীলন মার্কসবাদের মৌলনীতি এবং একটি কমিউনিস্ট পার্টির যেমন হওয়া উচিত, তার বিরোধী। তাঁদের কর্মসূচী এবং অনুশীলন ত্রুটিপূর্ণ।

তাঁরা এমনকি বাস্তবতাকেও স্বীকার করেন না। মাওবাদীরা মনে করেন, ভারত এখনও আধা-ঔপনিবেশিক দেশ। বন্দুক আর হিংসার ওপর ভিত্তি করেই তাদের রাজনীতি। যাদের মুক্তির কথা বলে লড়াই করে, বাস্তবে সেই শ্রেণীর মানুষকেই খুন করে। গরিব আদিবাসীদের হত্যা করাকে তাঁরা মনে করে ‘বিপ্লবী কাজ’।

মাওবাদীদের স্কোয়ার্ড কোনও বুর্জোয়া দলকে মদত দিতে এতটুকু দ্বিধা করে না। এটা দেখা গিয়েছে অন্ধ্রে, বিহারে, এখন পশ্চিমবঙ্গে। পুলিস বাদে ওরা যাদের খুন করছে, তাদের অধিকাংশই গরিব কৃষক, খেতমজুর, গ্রামের গরিব। আসলে যা ব্যহত করছে দেশের শ্রমজীবী ও মেহনতী মানুষের আন্দোলন ও গণ আন্দোলনকে। বামপন্থার মুখোশের আড়ালে কার্যত যা সহযোগিতা করছে দেশের শাসক শ্রেণীকে।

বামপন্থীদের গড়ে তোলা গণআন্দোলনকে দুর্বল করে দিয়ে যা সুবিধে করে দিচ্ছে দেশের শাসকশ্রেণীকে। সেকারণেই ১৯৭২এ মাদুরাইয়ে সি পি আই (এম)-এর নবম কংগ্রেসে ‘বামপন্থী হটকারিতাবাদের পতন’ শিরোনামে অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ ছিল, ‘পার্টি (আগেই) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পেটি বুর্জোয়া হটকারিতাবাদ অবশ্যই অধ:পতিত হয়ে একটি শ্রমিকশ্রেণী-বিরোধী, বিপ্লব-বিরোধী লাইনে পরিণত হবে এবং এর অনিবার্য ললাটলিপি হল, শাসকশ্রেণীর স্বার্থসিদ্ধি করা। ’ এবং হয়েছিলও তাই। ইতিহাস এই অনিবার্য পরিণতির সাক্ষী। সেদিনও এই রক্তাক্ত সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল প্রথমে উগ্র বামপন্থাকে দিয়ে।

পরে, অচিরেই এই উগ্র বামপন্থার সঙ্গে চরম প্রতিক্রিয়াশীল দক্ষিণপন্থার অদ্ভুত মিলন লক্ষ্য করেছিল বাংলা। এবং এই দুইয়ের মিলনের মূল লক্ষ্য ছিল এক। কমিউনিস্টদের নিশ্চিহ্ন করা। কমিউনিস্টদের খতম করা। আজ আবারও সেই ইতিহাসেরই পুনারাবৃত্তি।

উগ্র বামপন্থার সঙ্গে দক্ষিণপন্থার মিলন। পার্থক্য শুধু পরিস্থিতি ও পরিবেশের। পার্থক্য শুধু ‘খতম’ এখন ‘নিধনের’ চেহারায়। এর আড়ালে অতীতে হয়েছিল, আজও রক্ষিত হচ্ছে দেশের শাসক শ্রেণীগুলির শ্রেণীস্বার্থ। কিষেণজী মমতাজীর লক্ষ্যও তাই সেই এক।

কমিউনিস্ট নিধন। কিষেণজী তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মমতাজীকে। স্বাভাবিক। সি পি আই (এম)-র উনিশতম কংগ্রেসে তাই বলা হয়েছে, ‘বামপন্থী আন্দোলনের ক্ষতিকারক স্বঘোষিত মাওবাদীদের কোনওভাবেই বামপন্থী শক্তিরূপে চিহ্নিত করা যায় না। সি পি আই (এম)-কে তারা তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

.......নন্দীগ্রামে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে মাওবাদীরা প্রকৃতপক্ষে প্রতিক্রিয়ার হাতিয়ারে পরিণত হয়ে যায়। ’ উনিশতম কংগ্রেসের আহ্বান তাই, ‘এই সঙ্কীর্ণ নৈরাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে পার্টির দৃঢ় প্রত্যয়ে রাজনৈতিক ও আদর্শগত সংগ্রাম সংগঠিত করবে। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।