আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ বনাম হেফাজতে ইসলাম

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু। ১। আজ দৈনিক ইত্তেফাকে শুধু আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ বনাম হেফাজতে ইসলামের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনটি সংবাদ পরিবেশিত করেছে। এতে বোঝা যায়, এ দুটি ধর্মীয় সংগঠনের মাঝেকার দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।

উল্লেখ্য, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহর সাথে হেফাজত ঘরানার আদর্শ বা মতবাদগত পার্থক্য অনেক পুরনো। কিন্তু দুটো ঘরানাই ধর্মাশ্রিত। অর্থাৎ ধর্মীয় ব্যাখ্যা-কেন্দ্রিক। ২। বর্তমান সরকারের আমলে কতিপয় ব্লগারের ধর্মাবমাননামূলক লেখার প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতের ভূমিকা ও কর্মসূচি একে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে।

আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ সংগঠনটি অনেক পুরনো। এর ক্রিয়াকর্ম নিজস্ব গতিতেই চলমান। এই আহলুস-সুন্নাহও ব্লগারদের লেখার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। অর্থাৎ পরস্পরে ব্যাখ্যাগত পার্থক্য ও মতবিরোধ থাকলেও ধর্মাবমাননার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অভিন্ন। ৩।

আহলুস-সুন্নাহ হোক আর হেফাজত হোক, তাদের লক্ষ্য যেহেতু এক ও অভিন্ন, তাই নিজেদের ব্যাখ্যাগত পার্থক্যের জন্য মূল লক্ষ্য বিচ্যূত হতে পারে, এমন কোনো আচরণ ও কর্মকা-ের প্রকাশ কোনোভাবেই যুক্তিসিদ্ধ হবে না। এ দুটি সংগঠনের কার্যক্রম পরস্পরের বিরুদ্ধে চলে গেলে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে ইসলামেরমই ক্ষতি হয়ে যাবে, এটা ভুলে গেলে চলবে না। ৪। ব্লগারদের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ হেফাজতের প্রধান আহমদ শফির বিরুদ্ধে যে দাবিগুলো তোলে, তা কোনোভাবেই যৌক্তিক ছিল না এবং তা ছিল নিতান্ত অতিরঞ্জন। হেফাজত এ-নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বলে জানা নেই।

কিন্তু গত ২৬ তারিখে হেফাজত যে আচরণ আল্লামা আল-কাদরির সঙ্গে করেছে, তা নিন্দনীয়। তবে যাই হোক, এ-নিয়ে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়ানোর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে সমাবেশ-কর্মসূচি অতিদ্রুত বন্ধ করা উচিত। ৫। সারা দেশ যখন সাভার ট্রাজেডির কারণে মুহ্যমান, তখন একদিকে হেফাজত নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে নির্বিকারভাবে সমাবেশ করে যাচ্ছে। আবার আহলুস-সুন্নাহ এর প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।

এদেশের ধর্মীয় সমাজ যে আসলে কতটা জনবিচ্ছিন্ন, তা এ ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। যে নবি নবুয়ত পাওয়ার আগেই হিলফুল ফুযুল সংগঠন করেছিলেন, যে সংগঠনের সকল তৎপরতা ছিল তখনকার মানুষদের (যাদের সবাই অমুসলিম) সাহায্য-সহায়তা করা, সে নবির উম্মতরা, তাও আবার ওরাসাতুল আমবিয়া, মানুষের, তাও আবার উম্মতে মুহাম্মদির দুর্দিনে পরস্পরে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত, এ যে কত বড় পরিহাস, তা বোঝানোর সাধ্য সত্যিই আমার নেই। হায়রে ধর্ম! হায়রে ধার্মিক!! হায়রে দেশ ও জনতা!!! হায়রে ওরাসাতুল আমবিয়া!!! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।