আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনলাইনে কফিন বিক্রি করছে ওয়ালমার্ট

রনিনিোরনোে্নোানোনো

কেবল জীবদ্দশায় নয়, মৃত্যুর পরও ক্রেতাদের নিয়ে ব্যবসা করতে চায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ খুচরা বিক্রেতা ওয়াল-মার্ট। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে এর ওয়েবসাইটে কফিন (ক্যাসকেট) বিক্রি করছে। এর ফলে কফিন বিক্রেতা অনেক প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর আগে ওয়াল-মার্টের প্রতিদ্বন্দ্বী কস্টকো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কফিন বিক্রি শুরু করে। আর্ক বেন্টনভিল ভিত্তিক ওয়াল-মার্টের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি অনেকটা নিরবেই প্রায় ১৫ টি ক্যাসকেট এবং কয়েক ডজন আর্ন বিক্রির জন্য তোলা হয়।

‘ড্যাড রিমেম্বারড’ এবং ‘মম রিমেম্বারড’ মতো মডেলের স্টিল ক্যাসকেটের দাম ধরা হয়েছিল ৯৯৯ ডলার থেকে। অন্যদিকে ‘এক্সিকিউটিভ প্রিভিলিজ’ মডেলের মাঝামাঝি পর্যায়ের ক্যাসকেটের দাম শুরু হয়েছে এক হাজার ছয়শ’ ৯৯ ডলার। সব শ্রেণীর ক্যাসকেটের দাম দুই হাজার ডলারের কম হলেও সিয়েনা ব্রোঞ্জ ক্যাসকেটের দাম উঠেছে তিন হাজার এক শ’ ৯৯ ডলার। সরবরাহ আদেশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্যাসকেট ক্রেতার কাছে পৌছে দেওয়া হয়। এই ক্যাসকেটগুলো মূলত আসে স্টার লিগ্যাসি ফিউনারেল নেটওয়ার্ক ইনকর্পোরেশন থেকে।

এই কোম্পানি প্রায় একই দাম অথবা কিছুটা কম দামে অন্য কোম্পানিগুলোর কাছেও ক্যাসকেট বিক্রি করে থাকে। স্টার লিগ্যাসির সিইও রিক ওবাদিয়া ওয়াল-মার্টের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া ক্যাসকেটের সংখ্যা প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করলেও জানিয়েছেন যে, ওয়াল-মার্ট প্রথম সপ্তাহে যে পরিমাণ বিক্রির প্রত্যাশা করেছিল বাস্তবে তার চেয়ে বেশি বেশি বিক্রি হয়েছে। ওয়াল-মার্টের মুখপাত্র রবি জারিওয়ালা জানান, অনলাইনে পণ্য বিক্রি করেন এমন বেশ কয়েকটি রিটেইল প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্যাসকেট বিক্রি করছে। ওয়াল-মার্ট এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে ক্রেতাদের মনোভাব পরীক্ষা করছে। তবে ওবাদিয়া মনে করেন, এটি ওয়াল-মার্টের নিছক কোনো পরীক্ষা নয়।

প্রায় দুই ডজন ক্যাসকেট, মেমোরিয়াল জুয়েলারি পেট আর্নসহ দুইশ’রও বেশি স্টার লিগ্যাসি পণ্য ওয়াল-মার্ট ডট কমে বিক্রি হবে। কোম্পানি অনলাইন রিটেইলার ওভারস্টক ডট কমের কাছে এ ধরনের পণ্য এবং কস্টকোর ওয়েব সাইটের কাছে আর্ন বিক্রি করে থাকে। ওয়াল-মার্টের অন্যান্য অংশও ফিউনারেল ওয়্যার বিক্রি করে থাকে। কোম্পানির সেমসক্লাব ডট কম ৩০০ ডলারের বিনিময়ে ক্যাসকেটের সঙ্গে ফুল দিয়ে সাজানোর ব্যবস্থা করে থাকে। ওয়াল-মার্ট তাদের নতুন এই ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে ক্রেতাদের জন্য বিনা সুদে ১২ মাসের বেশি সময়ে ক্যাসকেটের মূল্য পরিশোধের সুবিধা দিচ্ছে।

‘ইয়োর ফিউনারেল গাই’ শীর্ষক ব্লগ পরিচালনাকারী ফিউনারেল ডিরেক্টর আর ব্রায়ান বুরখারডাট জানান, এর ফলে ক্রেতারা লাভবান হবেন। তাদেরকে চড়া দামে ক্যাসকেট কিনতে হবেনা। ফিউনারেল হোমকে দুই হাজার, তিন হাজার বা পাঁচ হাজার ডলার দেওয়ার পরিবর্তে এখন মাত্র এক হাজার ডলার খরচায় একটি মান সম্পন্ন ক্যাসকেট মিলবে। ন্যাশনাল ফিউনারেল হোম ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্যাট লিঞ্চ জানান, ওয়াল-মার্ট ক্যাসকেট বিক্রি শুরু করায় তাদের শিল্প চিন্তিত নয়। ক্রেতারা গত কয়েক বছর ধরেই অনলাইনে ক্যাসকেট কিনতে পারছেন।

এর ফলে ফিউনারেল শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, ফিউনারেল হোমগুলো পাঁচশ ডলার থেকে পাঁচ হাজার ডলারের মধ্যে ক্যাসকেট বিক্রি করে। ওয়াল-মার্টের ক্যাসকেটের দাম ক্রেতাদের কাছে বিশেষ কিছু নয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, ফিউনারেল ডিরেক্টররা ক্রাসকেট কিনতে আসা ব্যক্তিদের সান্ত্বনা দিতে পারেন যা ওয়াল-মার্ট দিতে পারেনা। ৪০ বছর ধরে ফিউনারেল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনের পর তিনি মনে করেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মানুষে মানুষে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই।

source: newspaper.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।