আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবি ব্লগঃ ইনচ'ন ট্যুর(২)

মিলে মিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ!

এর আগে ইনচ'ন ট্যুরের প্রথম দিনের ছবিগুলো নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম। আজ পরের দিন যে ইনচ'ন গ্লোবাল ফেয়ার এন্ড ফ্যাস্টিভাল-এ গিয়েছিলাম আজ দিচ্ছি তার কিছু ছবি। কি নেই এতে -- আধুনিক বিজ্ঞান, রোবট, ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, থিম থিয়েটার, ওয়াটার পাপেট শো, ইউরোপিয়ান মিউজিক এবং কালচার, বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতা, আধুনিক যুগের বিভিন্ন নগরীর প্রতীকি উপস্থাপন, আছে আগেকার কোরিয়ার আদল, ভবিষ্যত ইনচ'ন সিটির নমুনা, নবায়নযোগ্য শক্তির বিভিন্ন রূপ, অনেক রকমের ফুল ও সব্জির প্রদর্শনী ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রথমে ফেয়ারে ঢুকেই সবাই অটোমেটিক ক্যামেরায়(পিসি , ওয়েবক্যাম, সেন্সর, ইন্টারনেট সমন্বিত মেশিন, বিভিন্ন রকমের ইনফরমেশনও আপনি এ পিসিতে পাবেন) নিজেদের একেকটা ছবি তুলে নিজেদের ইমেইলে পাঠিয়ে দিলাম, যদিও পরসেবায় নিয়োজিত ঐ যন্ত্রখানার ছবি তুলতেই ভুলেই গেছি। এরপর গেলাম রোবোট দেখতে, রোবোট চিড়িয়াখানায় হরেকরকম ইলেক্ট্রনিক জন্তু দেখা গেল, কিছু ঘরের কাজে সহায়তাকারী রোবোট দেখা হলো।

এরপর ঢুকলাম কৃষ্ণ গহব্বরে, তারপর জিরো গ্র্যাভিটি মেশিনে, বের হয়ে এসে তো দেখি মাথা ঘোরে ভো ভো । তারপর মার্সের রোভার রোবট, এপোলো ১৩-র নভোচারীর সাথে একটু হাই-হ্যালো করে বের হলাম। মার্সের রোভারঃ এপোলোর নভোচারীঃ তারপর দেখলাম ট্রয়ের ঘোড়া, ভিতরে একটু ঢু মেরে আসলাম। ঘোড়ার সামনে নীচে বাঁপাশে খেয়াল করুন দুটো বৌদ্ধ মূর্তি, তার সামনে মাটির পানির পাত্র। মিথ আছে সেখানে পয়সা ফেললে নাকি প্রেমিক-প্রেমিকাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।

ট্রয়ের ঘোড়াঃ তারপর ঢুকলাম ইউরোপীয়ান কালচার দেখতে, যত পুরোনো যন্ত্র আছে, প্রথম টিভি, প্রথম ছাপাখানা, প্রথম লন্ড্রি মেশিন, সেলাই মেশিন, পিয়ানো, বিভিন্ন মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট,.........দেখা হলো। আরো দেখা হলো টমাস আলভা এডিসনের বিখ্যাত সেই গ্রামোফোন। গ্রামোফোনঃ এরপর যীশুর আর মা মেরীর বিভিন্ন মূর্তি, হরেক রকমের ইউরোপীয়ান পুতুল, মুখোশ...... ইউরোপীয়ান পুতুলঃ তারপর গেলাম প্রাচীন সভ্যতাগুলো দেখতে। মোট সাতটি সভ্যতা ছিলঃ মিশরীয় সভ্যতাঃ মিশরীয় সভ্যতাঃ মিশরীয় সভ্যতাঃ চৈনিক সভ্যতাঃ চৈনিক সভ্যতাঃ মায়া সভ্যতাঃ ইনকান সভ্যতাঃ ইন্ডান সভ্যতা মানে ভারতীয় সভ্যতার বৌদ্ধমূর্তি ছিল, সে তো আমরা অনেকই দেখি, তাই আর ছবি তুললাম না। আরো দুটো কি কি সভ্যতা ছিল, সেতো ভুলে গেলাম।

তারপর ঢুকলাম নতুন, পুরোনো বিভিন্ন নগরীর আর বিভিন্ন দেশের কালচারের নমুনা দেখতে, কোরিয়ান গ্রামীণ জনপদঃ কোরিয়ার আগামী শহর(২০২০ সাল নাগাদ এমন হবে, কাজ চলছে): সানফ্রান্সিসকোর নৌকাঃ আফ্রিকান কালচারঃ এতো এতো নগরী, সব ছবি এখানে দেয়া সম্ভব না, হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যাথা। তারপর গেলাম ২০২০ সাল নাগাদ এই ইনচ'ন শহরটি কেমন হবে, তার নমুনা দেখতে। সে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ হচ্ছে এখানে। বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, নতুন ইউ(ইউবিক্যুইটাস)-সিটি, অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির (আইপিভি৬), নবায়নযোগ্য শক্তির বিশাল পরিবেশবান্ধব ব্যবহার, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং কোম্পানীগুলো গবেষণাগার স্থাপন............অনেক অনেক কর্মপরিকল্পনা আছে এর পেছনে, এবং পুরোদ্যমে কাজ এগিয়ে চলছে। এ কোন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নয়, সরকার বদলাতে পারে, কিন্তু এ উন্নয়ন কাজ থেমে যাবে না, কোন পরিকল্পনাও পরিবর্তন, কাটছাট হবে না, আপন গতিতে চলতে থাকবে।

ইনচ'ন সিটিঃ সোলার সেল, বায়ুকল, বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন, আরো নানা প্রযুক্তি আর পরিকল্পনা। বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনঃ নিউক্লিয়ার রিএক্টরঃ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি দেখতে দেখতে কাহিল, তাই গেলাম চোখ জুড়াতে নয়নাভিরাম ফুলের বাগান দেখে, যার সৌন্দর্য কিছু স্থিরচিত্র দিয়ে বোঝানো সম্ভব না। ফুলঃ এর মাঝে কোন এক সব্জিবাগানের ভিতর দিয়ে আসছিলাম, কৃত্রিমভাবে তাপমাত্রা দিয়ে বিদেশী সব্জী উৎপাদন। ওরেরে!! এগুলো তো আমাদের দেশী। একটু রোগা-মোটা ভিন্ন ফ্যাশানের আর কি!! এর আগে এক চিড়িয়াখানায় আমাদের দেশী মুরগী, আর রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখে এমনি চমকিত হয়েছিলাম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।