আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বলদ মার্কা উপদেষ্ঠার বলদ মার্কা বয়ান

কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়

উপদেষ্টা কারা হন? যাদের কোন বিষয়ের উপর অগাধ জ্ঞান থাকে প্রচলিত ধারণায় তারাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপদেষ্টা হতে পারেন এবং সেটাই বাঞ্ছনিয়। কিন্তু আমরা বর্তমান সরকারের কিছু তথা কথিত উপদেষ্টার কবলে পড়ে শুধুই খাবি খাচ্ছি। নিন্দুকেরা বলেন, সরকারের মন্ত্রী আমলাদের চেয়েও এরা ক্ষমতাধর। সব জায়গায় নাক গলানো এদের স্বভাবে পরিনত হয়েছে। আমরা নিন্দুকের কথায় কান দেই না।

নিন্দুকের কথা শুনলে তো আমাদের দিন বদল হবে না। কিন্তু আমি ভাবি এসব বলদ মার্কা উপদেষ্টা পুষে সরকার বা দেশের লাভই বা কতটুকু হবে? চলতি বছরের জুনে দেশের ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা এগিয়ে এনে সাধারণ মানুষকে দারুণ ভোগান্তিতে ফেলেছিল সরকার। বলা হয়েছিল এটা নাকি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য মহা মূল্যবান পদ্ধতি। অফিস টাইম না এগিয়ে ঘড়ির কাটাই এগিয়ে দেয়ায় দারুণ সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল সরকার। আরও বলা হয়েছিল ১ অক্টোবর থেকে ঘড়ির কাটা আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।

আমরা তাই বিশ্বাস করেছিলাম। সরকার যে যু্ক্তি দেখিয়েছিল তা মেনে নেয়ার বাস্তব কারণও ছিল । কিন্তু দেখা গেল কাজের কাজ কিছুই হলো না। বিদ্যুতের লোড শেডিং কমা তো দুরে থাক আরও বেড়ে গেল। এখন সরকারের একজন উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী বলছেন আগের সময়ে আর ফিরে যাওয়া হবে না।

প্রয়োজনে অফিস সময় পিছিয়ে দেয়া হবে। এই কাজটি আগে করলেই তো ল্যাঠা চুকে যেত! এখন কেন আবার অফিস সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে? এসব উপদেষ্টা কি আম জনতাকে ভোদাই মনে করে নাকি? ভোদাই মার্কা এসব উপদেষ্টা পুষে আমাদের কি লাভ হচ্ছে তা জানি না। তবে ভোগান্তি যে বেড়েছে তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায়। সময় নিয়ে সাধারণ মানুষের যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা বোধ হয় এসব উপদেষ্টারা বুঝতে পারছে না। প্রকারান্তরে এই উপদেষ্টারা সরকারকে বিপদে ফেলে দেয়ার সকল উপাদান সক্রিয় করছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।