আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিউবি ওয়াইম্যাক্সের মুলা সাথে তামাম ধইঞ্চা পাবলিক

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

বেশ মাসকয়েক ধরেই কিউবির টেষ্টিং চলছিল। তাদের বিভিন্ন পরিচিত জনকে তারা তাদের ডিভাইজ দিয়ে টেষ্টিং করাচ্ছিল। মোটামুটি একটা আখাম্বা সাইজের মোডেম পিসির ল্যানকার্ডের সাথে কানেক্ট করে দিয়েছিল। আমারই এক পরিচিত তাদের এই টেষ্টিং অফার পেয়ে ব্যাবহার করেছে।

তবে পারফরম্যান্স বেশ ভালই নাকি শুনলাম (ফ্রি পেয়ে)। তবে তারা এখন বেশ কয়েকদিন হলো ঢাকার কিছু লিমিটেড জায়গায় (বনানী, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা) সার্ভিস দিচ্ছে কমার্শিয়ালী। তাদের ব্রোশিয়রে বা সাইটে যে অংকের টাকার বিনিময়ে লাইন দিচ্ছে সেটা কি আদৌ দেশের তথ্যপ্রযুক্তির খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য দিচ্ছে? ডিভাইজের দাম ৭০০০টাকা এবং ৫১২ কেবিপিএস ব্যান্ডওইডথে ৬ জিবি ডাউনলোড ৩৪০০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি এমবি এর জন্য ১৫ পয়সা। অথচ কম দামে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা দিবে, এমন ধারনা নিয়েই ওয়াইম্যাক্সকে স্বাগতম জানিয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ। আর তেমনি ধারনা দিয়েছিল লাইসেন্সধারী কোম্পানীগুলো সর্বোপরি সরকার।

প্রথমে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলালায়ন একটা ভার্চুয়াল ইমেজ তৈরী করেছিল এদেশে। তারা কিছু জায়গায় মেলায় ষ্টল দিয়ে প্রচারনা চালিয়েছিল। বিরাট অংকের টাকা দিয়ে তারা লাইসেন্স কিনেছিল সরকারের কাছ থেকে। যেটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশী বিনিয়োগ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বাংলালায়নের নাম থেমে গেলো।

আর শোনা যাচ্ছে না আর কোথা থেকে ভুঁই ফুঁড়ে উঠে এলো অজেরী। সম্ভবত "আমরা নেটওয়ার্ক" এর সাথে যৌথ ভাবে কোন বিদেশী কোম্পানী কাজ করছে। অজেরীর আগে থেকে কাজ করছিল বাংলালায়ন। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের পর্দার পিছনে চলে যাওয়ায় কোন রাজনৈতিক হাত আছে কিনা অথবা সরকারের কোন হাত আছে কিনা সেটা ভেবে দেখার বিষয়। দেশী কোম্পানীকে প্রিফারেন্স না দিয়ে বিদেশী তথা ভারতীয় মালিকের কোম্পানীকে প্রিফারেন্স দেয়ায় ভুঁই ফুঁড়ে উঠে এসেছে অজেরী।

তবে এইকয়েকদিনে এতটুকু জেনেছি, অজেরীর এই রাজকীয় অফারে কোন ক্রেতার মন জয় হয়নি। তামাম পাবলিককে ধইঞ্চা ভেবে তারা ওয়াইম্যাক্সের মুলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আসলে কাজের কাজ কিছুই না। সরকার ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর পরেও বাস্তব চিত্রে দেখা যায়, বেশীরভাগ আইএসপি-ই তাদের স্পিড রি-টিউন করেনি অথবা গ্রাহকের সাথে ট্যারিফ এডযাষ্ট করেনি। কিন্তু সরকার এগুলো দেখেও দেখেনা।

যে দেশের সরকারের আইটি সেক্টরের উপর কোন নিয়ন্ত্রন নেই সেই দেশ সো-কল্ড (!) ডিজিটালাইজড হবে কিভাবে? মনে রাখা উচিত, ইয়াহু মেসেঞ্জারের ভিডিও চ্যাট করা মানেই "ডিজিটালাইজড বাংলাদেশ" নয়। সরকারের উচিত তাদের ভিতরের সমস্যটা আইডেন্টিফাই করা। মনে রাখা উচিত, জনগনের মধ্যে বিরাট একটা অংশ বেশ সচেতন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।