আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুনের পর খুন

একের পর এক নিজ গৃহে খুন হচ্ছেন নাগরিকেরা। এবারের শিকার পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ফজলুল করিম। এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় চাকরিরত এক কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী খুন হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ সারা দেশে খুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে উদ্বেগ বাড়ছে। তার চেয়েও বড় কথা হলো, রহস্যময় এ খুনের আসামিদের ধরা এবং প্রকৃত কার্যকারণ উদ্ঘাটন করার বেলায়ও ‘রহস্যময়’ ব্যর্থতা।

এ ধরনের অবস্থা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি।
রাজধানীর রামপুরায় নিজ বাড়িতে দিনদুপুরে খুন হওয়া অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিমের হত্যার মোটিভ বা উদ্দেশ্যটি কী ছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মুখোশ পরা সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে খুন করে বিনা বাধায় পালিয়ে যেতে পেরেছে। অথচ পাশেই র্যাবের টহল দল অবস্থান করছিল। খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনে হাত লাগানো তিন খুনি এবং খুনের পেছনের উদ্দেশ্য—এ তিনটি বিষয় জানার ওপরই নির্ভর করছে এ ঘটনার প্রকৃত তদন্তকাজ।

জমিজমার বিরোধ কিংবা অতীতে পেশাগত কারণে শত্রুতা, নাকি অন্য কোনো কারণ কাজ করেছিল, তা জানার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকেই।
সাধারণত সরকারের শেষ সময়ে খুনে-সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক কারণেও এ সময় এদের পৃষ্ঠপোষকতা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যেও দেখা দেয় শিথিলতা। তা ছাড়া রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও প্রতিপক্ষকে সামাল দেওয়ার কাজে পুলিশ বাহিনীকে অতিরিক্ত ব্যস্ত রাখার কারণেও, সাধারণ ফৌজদারি অপরাধ দমনে ভাটা আসে। এ ক্ষেত্রে কোন কারণটি কাজ করেছে, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও, সাধারণভাবে এ সময়টাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় সক্রিয়তা প্রয়োজন।

রাজধানী ও সারা দেশের অপরাধ নেটওয়ার্কগুলোকে চাপে রাখলে, চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত অপরাধীদের ওপর নজর রাখলে অপরাধ সংঘটনের হার কমতে পারে। নাগরিক সমাজকেও কেবল সতর্ক থাকলেই হবে না, পরস্পরের বিপদে সজাগ হয়ে সাড়া দেওয়ার মনোবৃত্তি পোষণ করতে হবে। তবে, সবার আগে প্রয়োজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং তার অধীনস্থ সব সংস্থার সদস্যদের দায়িত্বনিষ্ঠা। যখন পুলিশ বাহিনী নিজেই বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, তখন পুলিশকেই সত্ ও কঠোরভাবে অপরাধের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।