আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন রবিনের গল্প - ২

গর্ব করার মত এখন কিছুই চোখে পড়েনা। মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রয়োজন আর একটি বিপ্লব

আজ রবিন অনেক শান্ত । সেদিনের ঝড় তাকে অনেক এলোমেলো করে দিয়েছে সত্য, তবে সে চেষ্টা করছে নিজেকে শক্ত রাখার । পারবে কি-না সেই জানে । এই কয়েকটা দিনে অনেক বদলে গিয়েছিল সে ।

কোন সে জাদুর স্পর্শে । পৃথিবীটা অনেক সুন্দর লাগতো তখন ওর । আর আজ, ধুলো-ধুসরিত বর্ণহীন এক স্বার্থপর পৃথিবীর বাসিন্দা সে, হেঁটে চলেছে সেই ধানমন্ডি লেকের পাশ দিয়ে । আজ ও বড্ড একা । আরে, এই তো দেখা যাচ্ছে, লিজা আর রবিন পাশাপাশি বসে গল্প করছে আর নির্মল হাসিতে মেতে উঠছে দুজন ।

হাতে ঝালমুড়ির ঠোঙা । কি পরম আনন্দে হাসছে আর অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে ওরা আজকের এই হতভাগ্য রবিনের দিকে । নাহ, ভুল ভাঙলো রবিনের । কই? ওরাতো ওখানে নেই । সেই যে লিজা পিছন ফিরে চলে গেল, আর ফিরেও তো তাকালো না ওর দিকে ।

একটা তুচ্ছ খেলার পুতুলকে যেমন খেলার শেষে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে সবাই, তেমনই ওকে ছুড়ে ফেলল সে । এতটুকু দয়ামায়াও কি ছিল না ওর? কি নিষ্ঠুর ছিল এই অভিনয়। সাইন্সল্যাবের কাছে আসতেই একটা রিকশায় চাপল রবিন । চোখ দুটো ক্রমশ ভারী হয়ে আসছিল ওর । এই রাস্তাটা আজ ওর কাছে বিষাক্ত, কণ্টকাকীর্ণ মনে হচ্ছে ।

এই রাস্তা ধরেই কত বাসায় পৌঁছে দিয়েছে লিজাকে । আজ ওর মনে পড়ছে সেই নির্ঘুম রাতগুলোর কথা, যখন লিজা ওকে বলত, "কাল সকাল ছয়টায় কিন্তু আমাকে ডেকে দিও । " গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে জেগে থাকত ও । আর ছয়টা বাজতেই মোবাইলে কল দিয়ে গান শুনিয়ে শুনিয়ে ঘুম ভাঙাতো লিজার । হায় রে হায়! তখন কি আর জানত, আজকের এই দিনও আসবে তার জীবনে ।

(অসমাপ্ত) [বি.দ্র : সময় স্বল্পতার কারণে আজ এ পর্যন্তই লিখতে পারলাম । পরবর্তীতে বাকি অংশগুলো লিখব । সবাই ভালো থাকবেন । এই শুভকামনায় শেষ করছি । ]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.