আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন অভিমানী বাবার আত্নহত্যা এবং আমাদের ধর্ম শিক্ষক

কোন কালে এক কদর্য কাছিম দৌড়ে হারিয়েছিলো এক খরগোশকে, সে-গল্পে কয়েক হাজার বছর ধরে মানুষ মুখর। তারপর খরগোশ কতো সহস্রবার হারিয়েছে কাছিমকে, সে-কথা কেউ বলে না।

ঘটনার স্থানঃ লালবাগ তোষন রফিক উচ্চ বিদ্যালয়, থানাঃ সদর দক্ষিন,কুমিল্লা সময়ঃ কয়েক মাস আগে ঘটনার পাত্রপাত্রীঃ অত্র বিদ্যালয়ের ধর্মশিক্ষক পাশের গ্রাম সামুকসারবাসী মাওলানা লতিফুর রহমান ওরফে লতিফ হুজুর এবং বিদ্যালয়ের দপ্তরি বিবরনঃ কয়েক মাস আগে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা মিলে চাদা তুলে বনভোজন করে । মুরগী, পোলাও আর বিরানির গন্ধ তখনও বিদ্যালয় প্রাঙনে। উচ্ছিষ্ট মুরগীর চামড়াগুলো গরিব দপ্তরী বাসায় নিয়ে যায় পরে রান্না করে বৌ-বাচ্ছাসহ খাবে বলে।

পরের দিন, অতিলোভী লতিফ হুজুর দপ্তরির কাছে মুরগীর চামড়ার কথা জানতে চায়। দপ্তরী জানায় কেউ নেবে না ভেবে সে এগুলো বাসায় নিয়ে গেছে। অনুমতি না নিয়ে কেন এগুলো বাসায় নিয়েছে-এই অপরাধে হুজুর ক্ষেপে গিয়ে দপ্তরিকে কষে চড় লাগায় দপ্তরীর দশম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের সামনে। বাবা-মেয়ের চোখ থেকে অশ্রু ঝরে একসাথে। সাথে চলে হুজুরের অশ্রাব্য গালাগাল।

মুরগীর চামড়া চোর বলে অভিযোগ আনে দপ্তরীর বিরুদ্ধে। মেয়ের সামনে এমন অপবাদ সহ্য হয় নি অভিমানী বাবার। সে রাতেই বিষ খেয়ে জীবন দেয় সে। হুজুরের শাস্তিঃ গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে হুজুরকে বিদ্যালয় থেকে অপসারন করা হয়েছে। হুজুরের অতীতঃ তালাক ও বিয়ে সংক্রান্ত বিতর্কিত ফতোয়া দিতে গিয়ে নিজ পাড়ার মসজিদ থেকে ইমামতির চাকরি হারিয়েছিলেন ২৫ বছর আগে এবং আজো সেই মসজিদে ঢুকতে পারেন না এলাকাবাসীর বাধার কারনে।

এখন নিজে আলাদা মসজিদ,হেফজখানা ও জৈনপুরের পীরসাহেবের খানকা দিয়েছেন বাড়ির পাশে। গ্রামের মানুষকে তাবিজ,পানিপড়া,বানমারা ও বানখোলা ইত্যাদি করে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। বাদশা সোলেমান নামে এক জালনোট ব্যবসায়ী তার সাগরেদ। আমার দাবিঃ শুধু চাকরিচ্যুত করা এই অপরাধের শাস্তি হতে পারে না। সামুতে মিডিয়ার যারা আছেন,তাদের কাছে আমার অনুরোধ-সত্য ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রচার করুন এবং এমন ভন্ড হুজুরের বিচার করতে সাহায্য করুন।

আসুন গরীব দপ্তরীর পরিবারটির পাশে দাড়াই। পুনঃশ্চ ঃ আমি ক্ষমাপ্রার্থী এত দেরীতে পোষ্টটি দেয়ার জন্য। ভার্সিটির বন্ধে বাড়ী গিয়ে এই খবর জেনেছি একটু দেরিতে। আর আমি সেই অভিমানী দপ্তরি ভাইটির নাম জানি না। তাই তাকে তার পদের নাম ধরে ডেকেছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.