দেশ প্রেমিক শুধু কথায় নয় কাজে হতে চাই। ওরা(কর্মীরা) কি করে তা ওরা(নেতারা) নাকি জানেনা।
ভাংচুর এর কোন নির্দেশ নাকি ছিলনা। তারপর ও নাকি ওরা নিজ দায়িত্বে(!) ভাংচুর করেছে।
পরনিন্দা করার কথা নেতারা না বললেও এবং ইসলামে নিষেধ করা হলেও তারা জাফর ইকবাল এর পরনিন্দা করে।
তার মেয়ের এর সচিত্র পরনিন্দা করে।
গালি দেয়ার কথা ইসলামে নিষেধ থাকলেও শেখ মুজিব ও তার পরিবার কে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়।
রগ কাটার ও কোন নির্দেশ ছিলনা। নিজের শত্রু বিনাসের দায়িত্ব(!) থেকেই এই কাজ করেছে ।
পুলিশের উপর গুলাগুলির ও কোন নির্দেশ ছিলনা।
আত্মরক্ষায়(!) করেছে।
কুরআনে নাকি (ব্যাখ্যা জানলে বুঝবেন, নাই) বলা আছে নাস্তিকদের হত্যা করো। তাই নেতাদের নির্দেশ ছাড়াই রাজিব কে(থাবা-বাবা) জবাই করে মেরেছে। হুমায়ুন আজাদ কে মেরেছে।
না নেতারা এমন নির্দেশ দেন নি।
কিভাবে এমন নির্দেশ নেতারা দিবেন?
তারা তো মুসলমান(!)। আর যারা এমন কাজ করেছে তারা?
না তারাও নিজেদের মুসলমান(!) বলেই পরিচয় দেন।
তাহলে অন্যরা(আমরা) কি? যারা শান্তির কথা বলে? যারা জানি ইসলাম মানে শান্তি?
না আমরা তো মুসলমান হতে পারিনা(!)। কিভাবে হব আমরা নাকি খিলাফা(ইসলামী শাসন ব্যবস্থা) নিয়ে চিন্তাই করিনা।
কারণ(!) আমরা মনে করি ইসলাম শান্তির ধর্ম।
ইসলামে সবই শান্তি দিয়ে হয়। আমরা নামাজ-কালিমা পড়ি। টাকা হলে যাকাত দেই। হজ্বে/ওমরায় যাই। দান করি।
খিলাফা অর্জনে(! নাকি জঙ্গি বানাতে) ব্যয় করিনা। মিথ্যা বলিনা।
ইসলামের পাঁচটি রূকন নিয়ে আগে চিন্তা করি। দুনিয়ার সামান্য খিলাফা নিয়ে চিন্তা করি অনেক পরে। আমরা দুনিয়ার খিলাফাকে ভাল কাজের পুরস্কার মনে করি।
মামা বাড়ির আবদার মনে করিনা।
আমরা নাকি কাফের। নাস্তিক ও ফ্যাসিবাদী দের দালাল(!)। কারণ(!) তাদের মত অরাজগতা দিয়ে, মিথ্যা দিয়ে, মানুষ মেরে, ধর্ষণ করে, মা-বোন দের নর-পিচাসের হাতে তুলে দিয়ে খিলাফা অর্জনের চিন্তাকে সমর্থন করিনা।
চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে, মানুষ মেরে খিলাফা কায়েম সমর্থন করিনা।
মহিলা নেতৃত্বের(খালেদা/হাসিনা) গোলামি করা উচিৎ মনে করিনা। একপাশে বসে গোলামি করে খিলাফা(সামান্য মন্ত্রিত্ব) পাওয়ার গৌরব অর্জন করাকে পছন্দ করিনা।
এমনভাবে ওয়াজ করতে পারিনা যেখানে হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) নামের পরে ''সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম'' উচ্চারণ না করার সাহস থাকে।
হযরত উমর (রা) কে তালত ভাইয়ের মত উমর ডাকতে পারিনা। আয়েশা (রা) কে শুধু আয়েশা (আস্তাগফিরুল্লাহ) ডাকতে পারিনা।
আমরা নাকি পথভ্রষ্ট মুসলমান(!) কারণ (!) আমরা মাওলানা মতিউর রহমান মাদানী কে শ্রদ্ধা করি। কারণ তিনি সত্যবাদি, সত্য দিয়ে সাঈদির ভুল ব্যাখ্যা কে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।
সাঈদিকে fake scholer বলি কারণ তিনি মিথ্যাবাদী। বেঈমান।
আমরা কিভাবে মুসলমান হব আপনি বলেন? আর্ন্তজাতিক
ইসলামী সংঘটন ও কি নাস্তিক হয়ে যায়!!! কারণ আর্ন্তজাতিক
ইসলামী সংঘটন হতে জামাতী ইসলামি বাংলাদেশের নাম বাদ
দেওয়া হয়েছে ।
তাদের কোন ভুল ধরিয়ে দিলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক পর্যন্ত হয়ে যান কাফের। শোলাকিয়ার ইমাম হয়ে যান দালাল। আমরা তো নাদান। অসহায়। (!!!)
আল্লাহ তাদের হেদায়েত দাও।
সকল যুদ্ধ-অপরাধীদের দের যথার্থ বিচার কর।
আমিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।