আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিপোস্টঃ প্লিজ জাতির স্বার্থসংশ্লিষ্ট পোস্টটি ডিলিট করবেন না---- গণভোটের চ্যালেঞ্জঃ আবারও এদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠিত হচ্ছে

সুন্দর আগামী একটি সুন্দর আমি, একটি সুন্দর পরিবার, একটি সুন্দর সমাজ, একটি সুন্দর দেশ সুন্দর পৃথিবী। আসুন আমরা আমিকে সবচেয়ে সুন্দর করে তৈরী করি। ব্যর্থতাকে থ্যাকস দিয়ে পথ চলি। চলার পথে সফলতাকে বলি স্বাগতম। অপর দিনে দ্রষ্টব্য............
গণভোটের চ্যালেঞ্জ এই বাংলার মানুষ শোষিত নিষ্পেষিত আর লুন্ঠিত হয়েছে বার বার।

বর্গি এসেছে, এসেছে ইংরেজ, তারপর উপমহাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অবস্থায় লুন্ঠিত হয়েছে পাক শাসক জান্তার হাতে। ধন-ধান্যে পুষ্পে ভরা আমার এই দেশ ক্রমে হয়ে পড়েছে রিক্ত আর দীন। আজ ২০০৯ সালের শেষ প্রান্তে এসে ঠিক তেমন একটি যুগসন্ধিক্ষণে আমরা দাঁড়িয়েছি যখন বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস দেশের বাইরে পাচার হওয়ার মত একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ২ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা গঠিত, যা কিনা দেশের মোট স্থলভাগের আয়তন এর চেয়েও বিশাল। আর এই জলরাশির নিচে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস প্রাপ্তির অমিত সম্ভাবনা।

ভৌগলিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত এবং মিয়ানমার। সমুদ্রসীমাও এরা আমাদের প্রতিবেশী। ১৯৮২ সালে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন এবং তারও আগে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সমুদ্র আইন ঘোষিত হলেও আজও পর্যন্ত বাংলাদেশ তার সমুদ্রসীমা নির্ধারণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ দিতে পারেনি, ফলশ্রুতিতে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দেখিয়ে দেশের সমুদ্রসীমায় প্রতিবেশী ভারত এবং মিয়ানমার পুনঃপুনঃ অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। কিন্তু বাৎসরিক জাতীয় বাজেরটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ নিয়েও তুলনামূলকভাবে দূর্বল সামরিক বাহিনী তার প্রতিকার করতে ব্যর্থ। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে করা “উৎপাদনবণ্টন চুক্তি” অনুযায়ী দুইটি কোম্পানী কানকো ফিলিপস এবং তাল্লো এর সাথে করা চুক্তিতে দেশের সমুদ্রসীমায় ৩ টি গ্যাস ব্লক ইজারা প্রদান করা হয়েছে।

এই চুক্তিতে উৎপাদিত গ্যাসের ৮০% রপ্তানীর সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য যে ২০% থাকছে তা পাইপলাইন বসিয়ে মূল ভুখন্ডে আনা অলাভজনক হওয়ায় এই ২০% রপ্তানী ব্যাতীত অন্য কোন উপায় থাকবে না, যেখানে বাংলাদেশে উত্তোলনযোগ্য মজুদ গ্যাস আগামী ২০১৫ সালে নিঃশেষ হয়ে যাবে সেখানে গ্যাস রফতানির সুযোগ রেখে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য নয়। বর্তমানে সরকার ভিনদেশী কয়েকটি কোম্পানির সাথে এমন একটি গ্যাস উত্তোলন চুক্তি করতে সচেষ্ট যাতে দেশের অতি সম্ভাবনাময় গ্যাস সম্পদ বাইরে পাচারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন দেশের তরুন সমাজ শিক্ষিত এবং পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় অধিক বোধশক্তি সম্পন্ন। কিন্তু সরকার এমন একটি প্রয়াস নিয়েছে যেখানে জনগণের তথ্য অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হয়নি।

সরকার জনগণকে জানায়নি এই চুক্তিতে আসলে কি কি শর্ত আছে। এই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ আমাদের। সুতরাং এই সম্পদ কোথায়, কখন, কিভাবে এবং কার কাছে বিক্রি করা হবে তা জানা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা জনগণের। এমনই প্রেক্ষাপটে দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি গঠিত হয় যার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ্‌। গত মাসে সরকারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই কমিটি পেট্রোবাংলা ঘেরাও করে এবং শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধনে পুলিশ লাঠি চার্জ করলে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ সহ অনেকে গুরুতর আহত হন।

এমনই একটি প্রেক্ষাপটে আজ আসুন আমরা সকলে সরব কন্ঠে আওয়াজ তুলি, ৭১ এর লক্ষ শহীদের রক্তরাঙা এই বাংলার মাটির প্রকৃত মালিক আমরা জনগণ। সুতরাং দেশের অতি মূল্যবান গ্যাস সম্পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত আমরা জনগণই নিবো। সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান একটি গণভোটের আয়োজন করা হোক যেখানে আপামর জনগণ সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে, গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে। তাই আসুন এই গণভোটের চ্যালেঞ্জে শামিল হই। সূত্রঃ ইমন দাশগুপ্ত খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.