আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুপ করে রই.... (১)

নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে জীবনে আর কোনো বড় সম্পদ নেই। প্রথমে তারা নাস্তিকদের মারল... আমি চুপ থাকলাম। কারন আমি নাস্তিক না। তারপর তারা কমিউনিস্টদের মারল... আমি চুপ থাকলাম। কারন আমি কমিউনিস্ট না।

তারপর তারা ইহুদীদের মারল... আমি চুপ থাকলাম। কারন আমি ইহুদী না। তারপর তারা আওয়ামীদের মারল... আমি চুপ থাকলাম। কারন আমি আওয়ামী না। তারপর তারা বিএনপি দের মারল... আমি চুপ থাকলাম।

কারন আমি বিএনপি না। .................................... .................................... এরপর তারা আমাকে মারতে আসলো... আমার পক্ষে বলার মত কেউ আর ততক্ষণে বাকি নেই... [Martin Niemöller (1892–1984) এর "First they came…" অবলম্বনে। ] নাস্তিক বহু প্রকারের দেখি। এক দল লেখাপড়া করে... জানে ... বুঝে। এদের সাথে মানুষের সামাজিকতা রক্ষায় তেমন কোন সমস্যা হয় না।

এই নাস্তিকদের জ্ঞানের পরিধি তাদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। মানুষ হিসাবেও তারা সম্মানিত হন। আর ছ্যাবলা নাস্তিক আছেন একদল। যাদের নিজস্ব কোন দর্শন নেই। অন্য ধর্মের ছিদ্রান্বেষণ করে, ধর্ম ও ধর্মীয় নেতাদের নামে স্যাটায়ার লিখে, কুৎসা রটিয়ে তারা তাদের 'অবিশ্বাসের দর্শন'কে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেন।

এরা বেশিরভাগই ফেইমসিকার। এই আবাল নাস্তিকদের মনোযোগ দিলেন ... তো হেরে গেলেন! আমার মতে এই ছ্যাবলা, অসহনশীল, চরমপন্থি নাস্তিকরা পুরা নাস্তিক জাতির কলংক। আস্তিকও বহু প্রকারের দেখি। এক দল লেখাপড়া করে... জানে ... বুঝে। এদের সাথে মানুষের সামাজিকতা রক্ষায় তেমন কোন সমস্যা হয় না।

এই আস্তিকদের জ্ঞানের পরিধি তাদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। মানুষ হিসাবেও তারা সম্মানিত হন। আর ছ্যাবলা আস্তিক আছেন একদল। যাদের নিজস্ব ভুল দর্শন আছে। ধর্মের নামে রাজনীতি করে, অপরাধ ও অপরাধীদের লালন পালন করে, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে সেটাকে জাস্টিফাই করে , তুচ্ছ ব্যাপারে নিজেরদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এরা তাদের 'ধর্মের' প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেন।

এরা বেশিরভাগই সুবিধাসিকার। এই আবাল আস্তিকদের মনোযোগ দিলেন ... তো হেরে গেলেন! আমার মতে এই ছ্যাবলা, অসহনশীল, চরমপন্থি আস্তিকরা পুরা আস্তিক জাতির কলংক। এই চরমপন্থি আস্তিক আর নাস্তিকদের কার্যকলাপে আমরা সাধারন মানুষ বিব্রত। মানবতা- ধর্ম- মুক্তবুদ্ধিও বিব্রত। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।