আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুভ জন্মদিন অমিতাভ; অথচ যে লোকটির ক্যানভাসার হওয়ার কথা ছিল



আমাদের দেশেও হয়তো অমিতাভ বচ্চনরা জন্মান। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন হয়ে ওঠতে পারেন না। টিকে থাকার জন্য তার ব্চ্চনীয় প্রতিভাকে নানা দিকে কাজে লাগায়। বছর দুয়েকের মধ্যে ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে যে কোনো ছবিতেই অভিনয় শুরু করে। এগুলোর মধ্যে বাদ পড়ে না অশ্লীল ছবিও।

তাই বিশেষ তকমা জুটতেও সময় লাগেনা। ভুল করেন না সামান্য ষ্টার ইমেজ ধারানোর পরপরই সাংবাদিকদের নামে বিষেধাগার করে নিজেকে বিতর্কীত করতে। সন্দেহ নেই, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো অবস্থান তৈরিতে রাজনৈতিক চাটুকারীতা শুরু করেন। নেমে পড়েন এফডিসির নির্বাচনেও। তাই শেষ অবধি, অভিনয় প্রতিভাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আসা অমিতাভদের আর অমিতাভ হয়ে ওঠে না।

অমিতাভরা ভারতেই বড় হন। কারন সেখানে রাজনৈতিক ছোবল দেশের সর্বত্র ছুয়ে যায় না। সুস্থ রাজনীতি সেখানে অন্য ইমেজে চলে আসে। সেখানে কোনো অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়িকাকে হয়তো টাকার বিনিময়ে সংসদে স্থান পেতে হয় না। যে কারনে একসময় রাজনীতি করা অমিতাভ ১৯৮৪ তে এলাহবাদের লোক সভায় নির্বাচন করে উত্তর প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন ইতিহাস গড়া ভোট পেয়ে।

ভারতে অমিতাভ ইশ্বর পর্যায়ের। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূঁজাও হয় এই জীবিত কিংবদন্তীর। কাজের প্রতি সততা, ভালোবাসা আর নিষ্ঠা যে একজন মানুষ কে কী উচ্চতায় তুলে ধরতে পারে তার অসামান্য উদাহরন এই অমিতাভ বচ্চন। কবি বাবা হারিভনাশ রাই বচ্চনের এই পুত্র একসময় গিয়েছিলেন এক রেডিওতে কাজ করবেন বলে। অডিশনের পর তাকে বলা হলো, এই ভয়েস নিয়ে রেডিওতে কাজ করতে হবে না।

ক্যানভাসারের কাজ করো। আজ যে কণ্ঠে ভারত তথা এই উপমহাদেশের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। বড় এমন কোনো পুরস্কার ভারতের ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে এখন আর অবশিষ্ট নেই যা অমিতাভ পাননি। উল্লেখ করে ভালো বলার মতো ফিল্ম অমিতাভ বচ্চন আলাদা করে রাখেননি। নিজের অভিনীত সব ছবিকেই তিনি করেছেন আকাশচুম্বি।

তা জনপ্রিয়তায় হোক আর হৃদয় ছোয়া অভিনয়ে। ছোট পর্দার অনুষ্ঠানেও অমিতাভ তার উচ্চতা খাটো করেননি। ক্রোড়পতি'র সে বিখ্যাত অনুষ্ঠান ভারতের ছোট পর্দায় ইতিহাসের নাম। সব মিরিয়ে অমিতাভের চলার পথে হাজার মাইলের মধ্যে অমিতাভ ছাড়া আর কেউ নেই। আজ ১১ অক্টোবর অমিতাভের জন্মদিন।

শুধু দীর্ঘজীবী হওয়ার প্রত্যাশা ছাড়া আর কোনো অর্জনের প্রত্যাশা করে লাভ নেই। সবই তার পাওয়া হয়ে গেছে। পুনশ্চ: ২০০৭ সালের মার্চের কোনো এক সময় বোম্বের জুহু বীচ সংলগ্ন দুটি বাড়ী সামনে গিয়ে দাড়িয়েছিলাম। একটার নাম, প্রতীক্ষা। অন্যটা জলসা।

অদ্ভুত বিষয়, মনে হলো এই বাড়ীগুলোও যেন আশেপাশের বাড়ী থেকে কেমন এক আলাদা উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হলো, বাড়ীগুলোও যেন আলাদা ব্যাক্তিত্বের আলোয় উজ্জ্বল। না হওয়ারও কোনো কারন নাই, এই বাড়ীর ভেতরেই থাকেন অমিতাভ ব্চ্চন নামে ভারতের এক ভদ্রলোক। ছবি: অমিতাভের দুই বাড়ী, মোবাইল ক্যামেরায় তোলা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।