আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্যালারীজাত আর্ট-কালচার ও আমার ক্যামেরায় শাহাবুদ্দিন

যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।

আর্ট কালচারের সাথে আমার সম্পর্ক সমালোচোনামূলক বলাই ভালো। বরং এসবের মধ্যে আর্ট কালচারজনিত নেটওয়ার্ক পাঠ বেশ আকর্ষনীয়। দীর্ঘ বিরতির পর কিভাবে ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের আলিঙ্গনে অবশেষে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আবার মিডিয়া আলোতে উদ্ভাসিত হলেন সেটা নিয়ে মজার আলাপ হতে পারে।

তবে সেটা পরের কোন সুযোগের জন্য তোলা রইল বরং। শাহাবুদ্দিনের প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে বেঙ্গল গ্যালারীতে দুটো মজার ঘটনা প্রত্যক্ষ্য করলাম। এক আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বিভাগেরই রগচটা উন্নয়নবাদী প্রফেসর হঠাৎ করেই বেশ শিল্প মনষ্ক হয়ে উঠেছেন। তিনি সস্ত্রীক ও নিজ সন্তান সমেত আর্ট কালচার আড্ডায় আবির্ভুত হয়ে আমাকে অবাকই করে দিলেন। পরে অবশ্য বোঝা গিয়েছিল যে এটি পরিশেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষক মহলের নিজ আড্ডার একটা উপলক্ষ ছিল মাত্র।

কিন্তু আমি কসম কেটে বলতে পারবো না যে এই মহানদের মাঝে কেউই শিল্প রসিক নন। দ্বিতীয়টি রসনা সম্র্পকিত। বেঙ্গলের রান্না মন্দ নয় মোটেও কিন্তু যে চড়া দামে তা বিক্রী হয় এবং যে ভঙ্গিতে হয় সেটা বরং লক্ষ্যনীয়। ছবি দেখতে দেখতেই পরিচয় হল চারুকলার একজন প্রাক্তণ শিক্ষার্থীর সাথে। আলাপো বেশ জমে গেল।

তিনি কিছুটা মনমরা হওয়াতে আমি কারণ জিগ্গেস করলাম, তিনি উত্তর দিলেন, এখানে তো দেখি টাকা-পয়সা ছাড়া আর ঢোকাই যাবে না। চা চাইতে গেলে বলে কেবল চায়ের অর্ডার নেয়া হয় না, আর হলে এক কাপের নেয়া হয় না। তিনি স্পষ্টতই কিছুটা অপ্রস্তুত। আর এই অপ্রস্তুতির শেকড় অনেক গভীরে। শিল্প ক্ষেত্র বা অঞ্চলের যে পরিচিত উন্মুক্ততা, টাকা পয়সা দিয়ে দর্শনার্থীর মর্যাদা বিচার না করার যে চল ছিল, সেটা এরই মধ্যে কর্পোরেটকৃত।

সেটা কেবল একটি প্রদর্শনী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল বা চিত্রকের প্রবণতা তাই নয় বরং সমগ্র কর্পোরেট প্রবণতারই প্রকাশ। শাবানা আজমী শাহাবুদ্দিনের প্রদর্শনী শুরু করিয়ে দেয়াতে আমার কোন আপত্তি নেই, আমার খটকাটা শুধু এইখানে চাকরী না পেলে শত শিল্প রসিক/বি-রসিক হয়েও কি আমি এই প্রদর্শনী দেখতে যেতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতাম? পুন:নোট: প্রদর্শনীর ছবি তোলার ধরণটা আমার ঠিক পছন্দের না, আমি এখানে আমার মত করেই ছবিগুলো তুলেছি। শাহাবুদ্দিনের ছবি, প্রদর্শনী সম্র্পকে সব তথ্য পাবেন এখানেবিডি নিউজ এর আর্টস অংশে । আমি নিজের পছন্দ অনুযায়ী ছবি দিলাম। এইটা ডিজায়ার নাম ভুলে গেছি।

আমার বিয়াপক পছন্দের গান্ধী নাম ভুলে গেছি প্রদর্শনীর সব ছবি বেঙ্গল ও চিত্রক গ্যালারী থেকে তোলা। কতৃপক্ষের সাথে আলাপে জানি যে কোন মিডিয়াতে প্রদর্শনীর বর্ননা মূলক ব্যবহারে তাদের আপত্তি নেই।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।