আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের মন পড়ার চেষ্টায় আরো খানিকটা এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ শীঘ্রই হয়তো তারা আপনার মস্তিষ্ক স্ক্যানকরেই বলে দিতে পারবেন জীবনে কি কি দেখেছেন আপনি৷ কিংবা ঠিক এই মুহূর্তে আপনার ভাবনাই বা কি?

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,

মানুষের মন পড়ার এই যন্ত্র আবিষ্কার এখনো খানিকটা দূরে হলেও স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ এজন্য তাঁরা গবেষণা করছেন কিভাবে মস্তিষ্কে যেকোন চিত্র বা ঘটনাপ্রবাহ জমা হয় তা নিয়ে৷ একইসঙ্গে তারা নিউরাল প্যাটার্ন গবেষণা করে বের করার চেষ্টা করছেন সেখানে জমে থাকা তথ্যকে কিভাবে চিত্রে রূপ দেয়া যায়৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার স্নায়ুবিজ্ঞানী জ্যাক গ্যালান্ট জানান, ব্রেইন রিডিং ডিভাইস বা মন পড়তে সক্ষম কোন যন্ত্র তৈরি করতে হলে এই গবেষণায় সফল হতে হবে৷ মানুষের মস্তিষ্ক পড়ার জটিল গবেষণা চালাচ্ছেন জ্যাক গ্যালান্ট এবং থমাস ন্যাসেলারিস৷ তাঁরা এই গবেষণাকে তুলনা করছেন জাদুকরের কার্ড সনাক্তের সঙ্গে৷ প্রায়শই দেখা যায় চোখ বাঁধা জাদুকর একের পর এক বলে দিচ্ছেন তার সামনে ধরা কার্ডগুলো সম্পর্কে৷ গ্যালেন্ট জানিয়েছেন, তাদের গবেষণায় জাদুকরের সামনে ধরা কার্ডগুলো হচ্ছে কোন বস্তু বা অন্য কিছুর ছবি৷ আর গবেষণা সফল হলে মানুষের মনের মধ্যে থাকা এমন হাজারো কার্ড পড়া সম্ভব হবে যন্ত্রের সহায়তায়৷ ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞানী ফ্রাংক টং অবশ্য জানিয়েছেন নিউরোন গবেষণায় পাওয়া ফলাফল পুরোপুরি ঠিক নয়৷ মস্তিষ্কের এমন এমন স্থানে নিউরনের অবস্থান রয়েছে যা মানুষের মাথার খুলি না খুলে রিড করা সম্ভব নয় বলেও মত তাঁর৷ তবে গ্যালান্ট জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে অপটিক্যাল লেজার স্ক্যানার ব্যবহার করে এধরণের নিউরনও রিড করা যেতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তাদের গবেষণা সফল হলে কোন একদিন হয়তো ড্রিম-রিডার কিংবা থট কন্ট্রোলড কম্পিউটার তৈরি সম্ভব হবে৷ তবে সেদিন কবে আসবে তার কোন নির্দিষ্ট তথ্য জানা নেই তাদের৷ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.