আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

... ... .. নো ম্যান'স ল্যান্ড... ... ... নো ব্লগার'স ল্যান্ড!!!

যদি কখনও সুযোগ পাই, সাত বাজারের চুড়ি এনে দেব, যত্ন করো!

মুখোমুখি বসনিয়ান আর সার্বিয়ান লাইন। মাঝখানে নো ম্যানস ল্যান্ড। দু'জন বসনিয়ান সৈনিক আটকা পড়ে ট্র্যাঞ্চে। একজন আহত, আরেকজন ট্যাংকের গোলার আঘাতে সংজ্ঞাহীন। সার্বিয়ানরা ২'জন সৈন্য পাঠায় ট্র্যাঞ্চে, কেউ জীবিত থাকলে হত্যা করার জন্য এবং মৃতদের শরীরের নিচে মাইন পুঁতে দেওয়ার জন্য যাতে লাশ উদ্ধার করতে আসলে বসনিয়ানরা নিহত হয়।

সংজ্ঞাহীন লোকটির শরীরের নিচে মাইন পোতার পর আরেক আহত বসনিয়ান এসে ব্রাশ ফায়ার করে ঐ ২ জন সার্বকে। ১ জন মারা যায় আর বেকুবটা আহত হয়। ট্র্যাঞ্চে আটকা পড়া তিনজনের নানা কাহিনী চলতে থাকে মুভিতে, তারা উভয়েই ইউনিফর্ম খুলে সাদা কাপড় উড়িয়ে তাদের নিজ নিজ লাইনের নিকট সাহায্য চায়। কিন্তু সীজ ফায়ার না করে কেউই আসতে পারবে না। ইউএন শান্তি রক্ষীর দলই একমাত্র নো ম্যানস ল্যান্ডে আসতে পারবে।

একটা টিম আসে। কিন্তু উদ্ধারের আগেই হেড কোয়ার্টার থেকে নির্দেশ আসে বেস ক্যাম্পে ফেরত যাবার। অনিচ্ছা সত্বেও ইউএন টিমটি ফেরত যায়। পথে এক টিভি সাংবাদিকের পাল্লায় পড়ে তারা। সাংবাদিক পুরা ঘটনা লাইভ ব্রডকাস্ট করে।

এবার ইউএন হেড কোয়ার্টারের টনক নড়ে। তারা আবারও ঐ টিমকে উদ্ধার করতে যেতে বলে, বোম ডিফিউশন স্কোয়াড পাঠায়। কিন্তু সেই স্কোয়াড আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। জনমতকে ধোকা দেওয়ার জন্য তারা দেখায় যে ঐ লোককে উদ্ধার করে একটি হেলিক্প্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপরদিকে প্রায় সবার সামনেই উদ্ধারপ্রাপ্ত ২ সার্বিয়ান আর বসনিয়ান পরস্পরকে খুন করে।

... ... ... মুভিটা শেষ হয় রাত হওয়ার মধ্য দিয়ে, আহত লোকটি তখনও মাইনের উপরে শুয়ে আছে, তার হাতে ধরা প্রিয়তমা স্ত্রীর ছবি, যাকে সে আবারও দেখতে চেয়েছিল, যার জন্য আবারও বাঁচতে চেয়েছিল। ২০০১ সালে রিলিজকৃত অস্কার জয়ী এক অসাধারণ মুভি "নো ম্যান'স ল্যান্ড" মুভির রিভিউ লেখা আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য না। মুভিটা দেখার সময়ই মনে হচ্ছিল এই কয়েকদিন ব্লগে যা চলছে সেসব ঘটনা। আমাদের ব্লগগুলোও এখন নো ম্যানস ল্যান্ড। ২ লাইনে বা গ্রুপে ২ পক্ষ পরস্পরের দিকে ট্যাংকের গোলার মত 'অক্ষর'এর গোলা নিক্ষেপ করছে।

আর ট্র্যাঞ্চে কিছু কিছূ লোক আটকা পড়ছে, এরা হল ব্যান খাওয়া ব্লগার। মডারেটরদের অবস্থা ইউএন এর মত। বাঁচাতে গিয়ে উল্টা আরও জীবিতদের মেরে ফেলছে। আর কিছু ব্লগার আছে ঐ সাংবাদিকটার মতই সকল কন্সপিরেসি ফাঁস করে দিচ্ছে। বাবুয়া নামক পুরোনো ইস্যূ আবার চাঙ্গা হয়েছে মডারেটরদের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে।

কারণে অকারণে তারা ব্লগারদের 'নীতিমালার' দোহায় দিয়ে ব্যান করে। অথচ ব্যান করাটাই যে সকল সমস্যার সমাধান না সেটা বোঝা যায় প্রায় ১ বছরের পুরোনো ইস্যূ এখন নতুন করে চাঙ্গা হওয়াতে। এবারও আবার নতুন করে ব্যানের ঘটনা ঘটছে। 'অচেনা বাঙ্গালী' আর 'মুকুল' আবারও ব্যান খাইছে, শুধু মাত্র কমেন্ট করার কারণে। এই দুইজন অনেকদিন ধরেই সামুতে এমনিতেই অনিয়মিত, পোস্টও দেয় না অনেকদিন, তারপর ও ব্যানড।

অথচ তার চেয়েও অনেক জঘন্য কমেন্ট করেও বহাল তবিয়তে থাকে অনেকেই। আমিও এর চেয়ে অনেক আজে বাজে কমেন্ট করছি অনেক জায়গায়, কর্তৃপক্ষ সেগুলো দেখে না। তার মানে তারা শুধূমাত্র বিশেষ কাউকে ওয়াচে রাখে, যাদের সাথে তাদের অন্তরঙ্গদের ক্যাচাল, তারা উল্টা-পাল্টা কোন কমেন্ট করলেই ব্যান। ড়েসিডেন্ট কি আর সাধেই বলে!!!! আরও একটা কাহিনী ঘটছে ডাঃ আইজুদ্দিনের আমারব্লগ.কম এ আইরিন সুলতানার বিরুদ্ধে বিষোদাগার। অনেকেই পড়েছেন সেই পোস্ট।

অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন আবার অনেকেই আইজুর সমর্থন করেছে। সে যাই হোক, অন্য ব্লগে আইরিনের বিরুদ্ধে লেখার লিংক/সমালোচনা তিনি যেমন এইখানে না দিলেও পারতেন (নিতান্তই আমার মতামত)। তবে এটাও ঠিক যে তারেও নিজেকে ডিফেন্ড করার মত গ্রাউন্ড দিতে হবে। এইক্ষেত্রে মডারেটরদের যেমন কিছুই করার নাই, কারণ মূল ক্যাচাল অন্য ব্লগে ঠিক তেমনি ক্যাচাল লাগলে সেইটা সমাধান না করে শুধূ মাত্র ব্যান করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা এক প্রকার কূপমন্ডুকতা। ধামাচাপা দেওয়ার কারণেই পুরোনো ক্ষোভ বার বার আলোচনায় ফিরে আসে।

ব্লগারদের সমস্যা সমাধান করতে না পারলে ঘাটতে আইসেন না। নিজেদেরকেই সমাধান করতে দেন। ইউএনের মত জীবিতদের মৃত আর মৃতকে জীবিত বানায়া খাওয়াইতে যাইয়েন না। এই ধরণের কর্মকান্ড কখনও ভাল ফল বয়ে আনে না। শেষ করার আগে একটু হালকা করি পরিবেশ।

ড়েসিডেন্টদের সংজ্ঞা আমরা সবাই জানি। আর যারা ড়েসিডেন্টদের কাজে সহায়তা করে কিংবা যাদের পরামর্শ ড়েসিডেন্টরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তাদেরকে কি বলবো? ... ... ... "প্রেসিডেন্ট"???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।