আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুন করলেও জামিন হয়, কিন্তু ফেসবুকে লাইক দেবার অপরাধে জামিন নাই।

মানুষ হবার প্রচেষ্টায়
একে তো সংখ্যালঘু, তার উপর গরীব ঘরের ছেলে বিজয়। এতোটা দিন ধরে জেলের মধ্যে আটকে আছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে নাকি অ্যান্টি-ইসলামিক কোনো একটা ছবিতে লাইক মেরেছে আর তাতেই ধর্মানুভূতি আহত হয়ে "হাসপাতালে" ছুটেছেন ধর্মের পাহারাদাররা! পরবর্তীতে লাঠি, বাঁশ, মশাল নিয়ে বিজয় চন্দের ঘরবাড়ি আক্রমণ, লুটপাট। জনতার বন্ধু(!) পুলিশ বিজয় চন্দকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল, তার বাড়িঘরে যারা আগুন লাগালো, লুটপাট করলো তাদেরকে পুলিশ শুধু নিবৃত্ত করলো। হাজার হাজার দুর্নীতিবাজ কোটি কোটি টাকা মেরে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, হাজারে হাজারে সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া চালায় তাদের (হিন্দি) "চুল" পরিমাণ স্পর্শ করতে পারে না কেউ, শয়ে শয়ে জঙ্গি গ্রেফতার হয় বোমা, রামদা-কিরিচ নিয়ে আবার জামিনও হয়ে যায় এদের ঝটপট, রক্তচোষা গার্মেন্টস্ মালিকরা হাজারও গরিব মেহনতি শ্রমিকের শরীরকে অঙ্গার করে, পিষে চ্যাপ্টা করে টাকা কামাই করে।

এই ড্রাকুলাররা সমাজের মাতব্বর, হর্তাকর্তা। এদেশের মুক্ত হাওয়ায় তাদের অবাধ বিচরণ। কিন্তু মফস্বলের এক গরীব ঘরের কিশোর সন্তান বিজয় চন্দের জন্য বাংলার মুক্ত আকাশ, মুক্ত বাতাস নিষিদ্ধ। সে ফেসবুকে "লাইক" মেরেছে! বুঝে হোক, না-বুঝে হোক লাইক মেরেছে এটাই তার অপরাধ !(তথাকথিত) ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বিজয় চন্দের জামিন আবেদন আবারও প্রত্যাখান করেছেন আদালত। খুন করেও মানুষ জামিনে বের হয়, কিন্তু ফেসবুকে লাইক দিয়ে জামিন পায়না সংখ্যালঘু বিজয়।

একটা প্রশ্ন মনের মধ্যে উকি দেয় তা হল,---বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র কি শুধু মৌলবাদীদের জন্য হয়ে যাচ্ছে? রাষ্ট্রে কি সংখ্যালঘু এবং প্রচলিত ধর্মে অবিশ্বাসীদের কোন জায়গা নাই??? (এই পোস্টে সাবধানে লাইক দিবেন বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা। বলা তো যায়না, আপনাকেও ধর্ম অবমাননার জন্য ধরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। )একে তো সংখ্যালঘু, তার উপর গরীব ঘরের ছেলে বিজয়। এতোটা দিন ধরে জেলের মধ্যে আটকে আছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে নাকি অ্যান্টি-ইসলামিক কোনো একটা ছবিতে লাইক মেরেছে আর তাতেই ধর্মানুভূতি আহত হয়ে "হাসপাতালে" ছুটেছেন ধর্মের পাহারাদাররা! পরবর্তীতে লাঠি, বাঁশ, মশাল নিয়ে বিজয় চন্দের ঘরবাড়ি আক্রমণ, লুটপাট।

জনতার বন্ধু(!) পুলিশ বিজয় চন্দকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল, তার বাড়িঘরে যারা আগুন লাগালো, লুটপাট করলো তাদেরকে পুলিশ শুধু নিবৃত্ত করলো। হাজার হাজার দুর্নীতিবাজ কোটি কোটি টাকা মেরে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, হাজারে হাজারে সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মহড়া চালায় তাদের (হিন্দি) "চুল" পরিমাণ স্পর্শ করতে পারে না কেউ, শয়ে শয়ে জঙ্গি গ্রেফতার হয় বোমা, রামদা-কিরিচ নিয়ে আবার জামিনও হয়ে যায় এদের ঝটপট, রক্তচোষা গার্মেন্টস্ মালিকরা হাজারও গরিব মেহনতি শ্রমিকের শরীরকে অঙ্গার করে, পিষে চ্যাপ্টা করে টাকা কামাই করে। এই ড্রাকুলাররা সমাজের মাতব্বর, হর্তাকর্তা। এদেশের মুক্ত হাওয়ায় তাদের অবাধ বিচরণ। কিন্তু মফস্বলের এক গরীব ঘরের কিশোর সন্তান বিজয় চন্দের জন্য বাংলার মুক্ত আকাশ, মুক্ত বাতাস নিষিদ্ধ।

সে ফেসবুকে "লাইক" মেরেছে! বুঝে হোক, না-বুঝে হোক লাইক মেরেছে এটাই তার অপরাধ !(তথাকথিত) ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বিজয় চন্দের জামিন আবেদন আবারও প্রত্যাখান করেছেন আদালত। খুন করেও মানুষ জামিনে বের হয়, কিন্তু ফেসবুকে লাইক দিয়ে জামিন পায়না সংখ্যালঘু বিজয়। একটা প্রশ্ন মনের মধ্যে উকি দেয় তা হল,---বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র কি শুধু মৌলবাদীদের জন্য হয়ে যাচ্ছে? রাষ্ট্রে কি সংখ্যালঘু এবং প্রচলিত ধর্মে অবিশ্বাসীদের কোন জায়গা নাই??? (এই পোস্টে সাবধানে লাইক দিবেন বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা। বলা তো যায়না, আপনাকেও ধর্ম অবমাননার জন্য ধরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। )
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।