আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদে টিভি চ্যানেলগুলোর সিন্ডিকেটেড অত্যাচার



এবার যারা ঈদের অনুষ্ঠান দেখার জন্য টিভি চ্যানেলের সামনে বসেছিলেন, তারা নি:সন্দেহে বড় একটা ধাক্কা খেয়েছেন। অনুষ্ঠান না দেখে সবাই বিজ্ঞাপন দেখেছেন। এবারে টিভি চ্যানেলগুলো সকল শালীনতা ভঙ্গ করে এ্যাডের যাঁতাকলে দর্শকদের পিষ্ট করেছেন সবচেয়ে বেশী। কোন অনুষ্ঠান দেখতে বসে স্বস্তিতে তা দেখেছেন এমন কেউই বলতে পারবেন না। এমনকি পত্রিকান্তরে দেখলাম বিজ্ঞাপন বেশী দেয়ার জন্যে নাটকের এক তৃতীয়াংশ কেটে দেয়া হয়েছে- এই অভিযোগ খোদ একজন নাট্যকারের।

বিজ্ঞাপন ছাড়া টিভি চলে না এটা সত্যি। কিন্তু সব কিছুর মতো এখানেও কিছু ইথিকস থাকা দরকার। জনগণকে অনুষ্ঠানের নামে জিম্মি করে তাদেরকে জোর করে বিজ্ঞাপন গেলানো কিন্তু কোন নীতির কথা নয়। সীমা অতিক্রম করে গেলে তা সবার জন্যই ক্ষতিকর হতে বাধ্য। যেমন আমার মতো অনেকেই বিরক্ত হয়ে অনেক নাটক/অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়েছেন।

আমাদের টিভিগুলোর যেমন টাইমটেবিলের কোন বালাই নেই তেমনি নেই সিডিউল ফলো করার মানসিকতা। পার্শ্ববর্তী দেশের ভারতের চ্যানেলগুলোওতো বিজ্ঞাপন নির্ভর। ওখানে আমাদের চাইতে ইন্ডাস্ট্রী বেশী এবং বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনীয়তাও বেশী। কিন্তু তারা একটা সীমা মেনে চলার চেষ্টা করে। তাদের অনুষ্ঠানগুলো নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ হয়।

সেখান থেকে আমাদের কিছু শেখার আছে কি ? সম্প্রতি চিনি সিন্ডিকেট নিয়ে আমাদের চ্যানেলগুলো সোচ্চার ছিলো। কিন্তু এবারের ঈদে তারা যে কাজটা করলো , সেটাও কি এক ধরনের সিন্ডিকেট নয়? সবশেষে চ্যানেলগুলোর কাছে প্রশ্ন : এই মাল্টিন্যাশনালস এর যুগে নি:সন্দেহে বিজ্ঞাপন ছাড়া কোন গত্যান্তর নেই , কিন্তু তার পরিমান কতো হবে? অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ না কি বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ ? দর্শকের গুরুত্বই বা টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে কতটুকু? আমরা কি অবশেষে দেশী চ্যানেল দেখা ছেড়ে দেবো , নাকি তারা সংশোধন হবেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।