আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা দুদু মিয়ার ১৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।

পরাজিত হতে হতে আমি উঠে দাড়িয়েছি এবার ফিরে যাবো না খালি হাতে, স্তব্ধতা আর সৌন্দর্যের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই যে কবি সে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে পারে না ।

আজ বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন আহমদ ওরফে দুদু মিয়ার ১৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির অম্রকাননে স্বাধীনতার সূ্র্য অস্তমিত হবার পর পর্যায়ক্রমে মীর কাশিম,ফকির মজনু শাহ , শাহ ওয়ালিঊল্লাহ, সৈয়দ আহমদ প্রমুখ ইংরেজদের বিরুদ্ধে নানা বিদ্রোহের সুচনা করেন । ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাংলায় সর্বাত্মক বিদ্রোহের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেন ফরিদপুরের হাজী শরিয়তউল্লাহ । তার আন্দোলন 'ফরায়েজি আন্দোলন' হিসেবে পরিচিত ।

১৮৪০ সালে তাঁর মৃত্যু হলে তার পুত্র দুদু মিয়া পিতার কাজ সমাপ্ত করার দায়িত্ব গ্রহন করেন । তিনি তীব্র গতিতে এ আন্দোলন পরিচালনা করেন। দুদু মিয়া কার্যত ফরিদপুর, পাবনা, বাখরগন্জ, ঢাকা ও নোয়াখালী এলাকায় তাঁর আধিপত্য কায়েম করেন । সাধারণ মানুষের জন্য স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেই বিদ্রোহ পরিচালনা করে তিনি সফলকাম হয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের ওপর থেকে কর বিলোপ করে তিনি শোষক শ্রেণীর কাছ থেকে কর আদায় করতেন এবং গ্রামে গ্রামে বৃদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে আদালত প্রতিষ্ঠা করে বিচারকার্য চালাতেন।

১৮৩৮, ১৮৪৪ ও ১৮৪৭ সালে লুণ্ঠনের অভিযোগে গ্রেফতার করেও প্রমাণাভাবে প্রত্যেকবারেই সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বাংলার কৃষক সমাজে দুদু মিয়ার জনপ্রিয়তা এতই প্রবল ছিল যে সরকার তাকে বন্দি করতে সাহস পায়নি। ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য কলকাতায় ‘রাজবন্দি’ হিসেবে তাকে আটক রাখা হয়। এভাবে সমগ্র জীবন সংগ্রাম ও কারাবাসের ফলে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। সিপাহী বিদ্রোহের অবসানের পর ১৮৬০ সালে তাকে মুক্ত করা হয়।

এর দু’বছর পর ১৮৬২ সালে দুদু মিয়া ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহান নেতাকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সুত্রঃ ১। স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা, নুরুজ্জামান মানিক, শুদ্ধস্বর ২০০৯ । ২। উইকি নিবন্ধ-পলাশির যুদ্ধ ,হাজী শরিয়তউল্লাহ , ফরায়েজি আন্দোলন ।

৩। ইত্তেফাক ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।