আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আধুনিক স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমের গল্পকথা(পর্ব ০-প্রারম্ভিকতা)

.................।
কোন এক বই/ওয়েবে(সম্ভবত ট্যানেনবামের কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বইয়ে)পড়েছিলাম প্রসেসর টেকনলজী থেকে নেটওয়ার্ক টেকনলজীর উদ্ভাবনের গতিময়তা অনেক বেশি। কম্পিউটারের ছাত্র মাত্র জানে যে, যে কোন কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের গঠন প্রকৃতির সাথে প্রসেসর কত নিবিড়ভাবে জড়িত। তাই পারসোনাল কম্পিউটারের আদি ইতিহাসে মাইক্রোসফটের আগে নাম চলে আসে ইন্টেলের ৮০৮৬ অথবা ৮০৮৮ সিরিজ। অ্যাপলের সহ জন্মদাতা ওজনিয়াককে অপেক্ষা করতে হয়েছিল কখন ১৭০ ডলারের মাইক্রোপ্রসেসর মটরোলার-৬৮০০ দাম কমবে, তারপর সে তার ভাবনাকৃত অপারেটিং সিস্টেম সেই প্রসেসরের উপর প্রয়োগ করবে।

আমি আপাততঃ সেই আদি যুগের পারসোনাল কম্পিউটারের ইতিহাসে যাচ্ছি না। বিশ্বের প্রথম স্বীকৃত স্মার্টফোন হল আইবিএমের সাইমন(তাহলে দেখা যাচ্ছে পারসোনাল কম্পিউটিং এর মত মোবাইল কম্পিউটিং এর যাত্রা শুরু হয়েছে আইবিএম এর হাত ধরে) যা ১৯৯৩ সালে রিলিজ হয়েছিল। তারপর একে একে মার্কেটে আসতে নকিয়া কমিউনিকেটর, পাম, ব্ল্যাকবেরি এবং ইত্যাদি। কিছুদিন আগ পর্যন্ত এসব স্মার্টফোনের মার্কেট ছিল খুব ছোট কারন স্মার্টফোনের অন্যতম জ্বালানী মোবাইল ইন্টারনেটের পালে বাতাস ছিল না। ছবিঃ আইবিএমের সাইমন ফোন (বিশ্বের প্রথম স্বীকৃত স্মার্টফোন) যুগের পরিবর্তন হচ্ছে খুব দ্রুত এখন, নতুন ঢেউ খেলছে প্রযুক্তি বিশ্বে,যোগ হচ্ছে মোবিলিটি।

প্রথম যুগের যেসব অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে অন্য অ্যাপ্লিকেশনের দিকে রুপ নিচ্ছে, যার অধিকাংশ হচ্ছে অনলাইন বেসড অথার্ৎ আড়ালে ইন্টারনেট। সেই নতুন ঢেউয়ের জোয়ারে আমাদের পুরানো অপারেটিং সিস্টেম মনে হয় বদলে যাচ্ছে। গুগলের নতুন পদক্ষেপ 'ক্রোম ওস' একটি তার বড় উদাহরণ। এই ইকোনমিকাল দূরবস্থার যুগে সবকিছুর বিক্রি কমে গেলে ও স্মার্টফোনের বিক্রি ২৭% বেড়েছে গত কোয়ার্টারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২০১১ সালের মধ্য স্মার্টফোনের বিক্রি পিসি বিক্রিকে ছাড়িয়ে যাবে।

আমার এই ব্লগের আলোচনার বিষয় হল এখনকার মোবিলিটি তথা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম সবোর্পরি মোবাইল কোম্পানিগুলর পদক্ষেপ কোন দিকে। সেখানে হয়ত অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি চলে আসতে পারে অন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়। প্রথমে এক ব্লগেই সবটুকু দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে ও অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে বিধায় লেখাটিকে কয়েক ভাগে ভাগ করে ফেললাম। প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক কোন কোম্পানির কত শেয়ার। ছবিঃ মোবাইল শেয়ার( স্মার্টফোনসহ নরমাল মোবাইল) ছবিঃস্মার্টফোন শেয়ার এখন প্রশ্ন আসতে পারে স্মার্টফোনের সাথে ইন্টারনেটের স্পীডের কি সম্পর্ক।

তার জন্য নিচের ছবি দেখুন ছবিঃস্মার্টফোনের ব্যবহার(২০০৯ এর শুরুর দিকে ডাটা)। এখানে মোবাইল ওয়েব বলতে বুঝান হয়েছে যে, ওয়াপ সাইট অথবা মোবাইলের জন্য স্পেজালাইজড সাইট। পক্ষান্তরে HTML সাইট হল আমরা সাধারণত যেসব সাইট পিসি থেকে ব্যবহার করি। ভাল উদাহরণ মনে হয়,মোবাইল সাইট - m.facebook.com এবং HTML সাইট- facebook.com। মোবাইল/ওয়াপ সাইটের উদ্ভাবন হয়েছিল লো স্পীডের GPRS(not EDGE) টেকনলজীতে কম পাওয়ারফুল প্রসেসর সম্পন্ন মোবাইলগুলো যেন ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারে।

কিন্তু যে কোন ব্যবহারকারি যদি facebook.com ব্যবহার করতে পারে মোবাইল থেকে তাহলে সে নিশ্চয়ই m.facebook.com এ যাবে না। উপরের ছবি থেকে একটা জিনিস স্পস্ট যে, অ্যাপলের আইফোনের মার্কেট শেয়ার অনেক কম থাকা সত্ত্বেও ব্রাউজিং এর জন্য আইফোন অনেক ফ্লেক্সিবল এবং অপারেটরদের রেভিনিউ আনার জন্য অ্যাপল অনেক বেশি যুগোপযগী তথা মোবাইল ইন্টারনেটে বর্তমান স্পীডের সাথে সময়োপযোগী। বস্তুত এই ইন্টারনেট ফ্লেক্সিবিলিটির কারণে অ্যাপল তার অ্যাপল স্টোরের মাধ্যমে ভাল লাভ করে নিচ্ছে। যেমন, ধরুন কোন এক জন প্রোগ্রামার একটি সফটওয়্যার তৈরি করল অ্যাপল ফোনের জন্য তাহলে সে এই সফটওয়্যার অ্যাপল স্টোরে জমা রাখতে পারবে। একজন অ্যাপল ফোন ব্যবহারকারী অর্থের বিনিময়ে ঐ সফটওয়্যার নিজের মোবাইলে ডাউনলোড করতে পারবে।

সেই উপার্জনকৃত অর্থের একটা অংশ পাবে অ্যাপল আরেকটা চলে যাবে প্রোগ্রামারের কাছে। পরবর্তীকালে, স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং তার সাথে কোম্পানিদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আসতে পারে- ১। নকিয়া(সিম্বিয়ান,লিনাক্স-মায়েমো,ল্যাপটপ,আরও কিছু) । ২। আইফোন এবং তার অপারেটিং সিস্টেম, গুগলের সন্তান অ্যানরয়েড ।

৩। উইন্ডোজ, ব্ল্যাকবেরি,পামের webOS এবং সমাপনী।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।