আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই ব্যার্থ হরতালে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থই রক্ষা হলো



একটা ব্যার্থ হরতাল কইরা তেল গ্যাস আন্দোলনের লোকজন সরকারকে অনকে সুবিধা কইরা দিল। সরকার এখন বলতে পারবে, তেল গ্যসের হরতাল সাধারন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তার মানে তাদের সঙ্গে কেউ নেই। কাজেই যা চুক্তি হইছে সেটা ঠিক আছে। এমন একটা ব্যার্থ হরতাল হবে সেটা দুদিন ধরেই বলছি।

কিন্তু অতি আশায় আশ্বান্বিত আমাদের জনবিচ্ছিন্ন তথাকথিত নেতারা সেটা বুঝে উঠতে পারে নাই। তারা ভাবছিল, হরতালের সমর্থনে লাখ লাখ লোক নেমে আসবে রাস্তায়। অচল হয়ে যাবে ঢাকা। কিন্তু দেড় কোটি লোকের এই ঢাকা শহরে দেড় হাজার লোকও ছিলো না তেল গ্যাসের আন্দোলনে। এমন ব্যার্থ নিষ্প্রান হরতাল স্বাধীন বাংলাদেশে আর কখনোই হয়নি।

জনবিচ্ছিন্ন আমাদের বাম নেতারা কখনোই এদেশের মানুষের মন বুঝলেন না। তাই তারা ব্যার্থ হয়ে গেলেন আরেকবার। তেল গ্যাস আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যেভাবে জনমত করতে পারতেন একটি হরতাল ডেকে তাকে কবর দেওয়া হলো। এটিও কারো স্বার্থে করা হলো কিনা কে জানে। রাজধানীর পল্টন থেকে শাহবাগ এই এলাকা বাদে কোথাও হরতালের কোন চিহৃ ছিল না।

সব কাজই ছিল স্বাভাবিক। মানুষ যেন হরতাল চায় না সেটি আবারো প্রমানিত। আর সাধারন মানুষকে বাদ দিয়ে যারা আন্দোলন করার স্বপ্ন দেখেন তারা যে দেশকে কিছু দিতে পারবেন না সেটি প্রমানিত। আমার কাছে মনে হয়, এই হরতালটি না ডেকে যদি ধীরে ধীরে আন্দোলন করা যেতো অনেক ভালো হতো। কে শোনে কার কথা? দেশ রক্ষার নামে রাতারাতি হরতাল ডাকা হলো।

ব্যার্থ করে দেওয়া হলো আন্দোলন। এখন নতুন করে কৌশল করে দ্রুত সাধারন মানুষের সমর্থন আদায় করা উচিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।