আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না



দৃশ্য গাঁথা যায় না, দৃশ্য আছেই| দৃশ্য দেখার, আঁকার, লেখার··· কিছু দৃশ্য তুলে নিয়ে গেছে নওয়াজেশ আহমদ, সত্যজিৎ রায়| কিছু দৃশ্য পড়ে থাকে, তাকে কেউ-ই নেয় না, কিছু দৃশ্য কোনোদিন ভোলা যায় না| মনে আছে, রাজকন্যা ছাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়াল, তাকে হয়তো কেউ ডাকছিল মানে তখন এক আনাড়ি বাদকের বাঁশি শোনা যাচ্ছিল|···রাজদণ্ডে বাদকের শূল, আহা আকুল হইল প্রাণ, ধরণী ব্যাকুল| হিয়া-অনুরাগী রাজকন্যা আত্মঘাতী হলো| দিনে দিনে, ক্ষমতাই পেড়ে ফ্যালে শাসকের ধড়| আজ সেই রাজারা তো আর নেই, অত্যন্ত মন খারাপ করে কোনোমতে মনে হলো দেখে আসিময় পর্যটনের অধীনে টিকে আছে এই রাজবাড়ি| হঠাৎ কী জানি কেন রে খুব দু:খ হচ্ছে| দু:খ দু:খ ভাব আমাকে জানতে উৎসাহিত করছে-স্নৃতিচিহ্ন কীভাবে দু:খ দেখানোর দৃশ্য হয়ে থাকে! কার জন্য দু:খ? রাজকন্যার জন্যে? পোড়ো পোড়ো রাজবাড়ির জন্যে? দু:খের কত অংশই বা আর বরাদ্দ পাচ্ছে শূলবিদ্ধ আনাড়ি বাদক? আলটিমেটলি, কী দেখার নেশায় রাজবাড়িতে ঢুকে আমি কী পেলাম? এর নাম কি দু:খদৃশ্যগাথা? অভিজ্ঞতায়, নদীর ধারে বসে থাকা দিন আমারও আছে| নদীরা নদীর মতোই···নদী যেমন হয় আর কি-নদী যেমন বুকটা চিতিয়ে ধরে, আমরা বলি ঢেউ, তখন নদীর বুকে বুক মেলাতে ইচ্ছে হলেই ঝাঁপ দি আমি, নো প্রবলেম, নদী কখনো নিষেধ করতে শেখেনি, সে দৌলতেই সাধ্যমতো সাঁতার দিয়ে ফিরি, ফিরি কিংবা বসেই থাকি ঘাটে, নদীর ধারে; এই থাকাটার নামই কি তবে সুখ? ও তাইলে আরেকটু বলি, নদীর নাম চিত্রা সাহা, বাড়ির ছোট মেয়ে, উচ্চতা পাঁচ ফুট চার, যার হাঁটাচলাই তো দেখতি ইচ্ছে করে, সুখ লাগে সুখ-দু:খের পরে আর কি বাকি থাকে? প্রেম? অন্যের কী হয় জানিনে, কিন্তু আমার···? অনলাইনে হটলাইনে যেখানেই যাই, প্রেম স্রেফ পাওনাদার হয়ে সামনে দাঁড়ায়| এবং এই সঙ্গে আমি এও সবীকার করছি, লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রেম কতটা পাওনাদারের আচরণ করে-সেই দৃশ্য আঁকা যায় না, লেখা যায় না, এমনকি তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না, সরি··· প্রথম আলো সাময়িকী ৪.৯.২০০৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।