আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৪ বিয়ের পর গ্রেপ্তার

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
নতুন বৌ ঘরে আনার পর মধুচন্দ্রিমার ঘোর কাটতে না কাটতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন, মুম্বাইয়ের এক বিয়ে পাগল প্লেবয় তুষার ভাগমারে। অপরাধ - তথ্য গোপন করে দেড় বছরে ১৪ জন মহিলার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসা। ভাগমারের ৫ স্ত্রী তার নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই খবর বেরিয়েছে। নাম বদলে খুব সহজেই উঁচু বংশের একজন দামি পাত্র হিসাবে নিজেকে উপস্থিত করতে পেরেছিলেন, তুষার ভাগমারে ওরফে তুষার বাপাট৷ নাম বদলের কারণ কি? উত্তর- পাত্র হিসাবে নিজের অবস্থানকে পোক্ত করা৷ বলা যায়, সোনার টুকরা পাত্র হিসাবে নিজের পরিচিতি তুলে ধরা।

অবশ্য এর জন্য তাকে আরো এক ধাপ সাহায্য করেছিল, তার পেশা ৷ পেশায় সে একজন প্রকৌশলী ৷ তাও আবার সরকারি সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার। বাপাট অবশ্য পাত্রী চাই ওয়েবসাইটে নিজের পরিচয় দিতেন এই বলে যে, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ২০০৬ সালে। আর এই অবস্থান নিয়েই তিনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন ঘটক বাড়িতে অথবা ঢুঁ মারতেন পাত্র পাত্রীর সন্ধান দিয়ে থাকে এমন সব ওয়েব সাইটে। শুধু তাই নয় তার ব্যক্তিগত ফ্ল্যাটে পছন্দের পাত্রীর পিতামাতাকে ডেকে নিয়ে আপ্যায়ন করতেও দ্বিধা করতেন না।

এসময় তিনি তার বিবাহ বিচ্ছেদের ছবি এবং নথিপত্র দেখাতেও ভুলতেননা যাতে পাত্রীর বাবা মা বুঝতে পারেন যে ভাগমারের আবার বিয়ে করার ব্যাপারে কোন বাধা নেই। সংবাদ মাধ্যমের তথ্য মতে, ভাগমারে খুবই ধৈর্যশীল এবং চালাক প্রকৃতির লোক। কেননা তিনি কখনোই তার এক স্ত্রীকে বুঝতে দিতেন না যে তিনি বিবাহিত বা তার অন্য কোন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তিনি একনাগাড়ে একজন স্ত্রীর সঙ্গে তিন দিন থাকতেন এবং তারপর অফিসের কাজের কথা বলে অন্য স্ত্রীর কাছে চলে যেতেন। মুম্বাইয়ের পুলিশ বলছে, তারা ভাগমারের ঘর থেকে বেশ কিছু ছবি উদ্ধার করেছে যা ভিন্ন ভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তোলা।

সবই বিয়ের ছবি। তবে সেই বিয়েগুলোতে এমন কিছু ব্যক্তির ছবি রয়েছে যারা সবগুলো বিয়েতেই উপস্থিত। ভাগমারে কখনো তাদের বাবা আবার কখনো তাদের কাকা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তবে ভাগমারের সাজানো বাগানে আগুন লাগে যখন তার সর্বশেষ স্ত্রী তাকে সন্দেহ করে বসেন। তিনি শেষ বিয়েটি করেন এই আগষ্টেরই ১১ তারিখে ৷ কনে পেশায় একজন প্রকৌশলী।

তাঁরও স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সংবাদ মাধ্যম ঐ মহিলার বরাত দিয়ে বলছে, মধুচন্দ্রিমার পর মহিলা যখন অফিসের কাজের কথা বলে দিল্লি যেতে চাইলেন, তখন ভাগমারে কোন আপত্তিই করেনি। বরং তিনি মহিলাকে যাবার জন্য উৎসাহ দেন। এর কিছু দিন পরেই এই স্ত্রী ভাগমারের অপর এক স্ত্রীকে আবিষ্কার করেন স্বামীর ফ্ল্যাটে। ভারতীয় পুলিশ বলছে যে , ব্যাপারটি খুবই অবাক করার মতো।

কেনো রকম খোঁজ খবর না নিয়ে এই ব্যক্তির সঙ্গে কেন একের পর এক মহিলা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তা তাদের বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করছে তারা। ভাগমারের ১৪ স্ত্রীর মধ্যে তিন জনই প্রকৌশলী এবং স্থপতি। বাকিরা গৃহবধূ। ভাগমারে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হবার সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া তাকে বরখাস্ত করেছে। তদন্তকারীদল বলছে, তারা এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষথেকে ভাগমারের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় তদন্তের চিঠিও পেয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার অভিযোগ, ২০০৬ সাল থেকে ভাগমারে মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করে গেছে। বিয়ে পাগল এই প্রকৌশলী তথ্য গোপন করে একাধিক বিয়ে করার অভিযোগে এখন পুলিশি হেফাজতে। তথ্যসূত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।