আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭১- এ আলেমদের ভূমিকা নিয়ে রাখঢাক ছেলেমানুষী। অবশ্যই!

এই ব্লগটি নোমান বিন আরমান'র দায়িত্বে প্রবর্তিত। এখানে মাঝেমধ্যে তিনি আসেন। numanbinarmanbd@gmail.com

৭১- এ আলেমদের ভূমিকা নিয়ে রাখঢাক ছেলেমানুষী। অবশ্যই! প্রভাব ‘মারাত্মক’ একটি জিনিস আর প্রভাবিত হওয়া নিপাতকারী, দুষ্টপ্রকৃতির নাপাক একটি অভ্যাস। এই জনই কবি যামানাকে যারা বদলায় তাদের জয়গান করেেছন।

ব্লগে এই ভূমিকাটা দিতে হলো কারণ একশ্রেণীর লোককে প্রভাবিত হওয়ার নাপাক রোগটি ভীষণভাবে পেয়ে বসেছে! স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের হাওয়াটি তাদের গায়েও আছাড় খেয়েছে। শুধু আছাড় খেলে হয়তো কথা ছিলো না, তারা এই ‘আছাড়’ থেকে প্রেরণা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়টি খাড়া করে প্রগতিশীল ও একাত্তরের চেতনায় উজ্জিবিত হওয়াটাকে জরুরি করে নিয়েছেন। এই কাতারে টেনে আনছেন আলেমদেরও। তাদেরও মুক্তিযোদ্ধা বানানোর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এরা। এই সংগ্রামটা কতটা হালওয়া নির্ভর আর কতটা অন্তরিক সময়েই তা জানা যাবে।

অনেকে ইতোমধ্যে জেনেও গেছেন! ৭১- এ আলেমদের ভূমিকা নিয়ে রাখঢাক করা বা নূতন করে গবেষণার মাধ্যমে তাদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো নেহাতই ছেলেমানুষী। অবশ্যই! বরং সত্যটা বলা-ই সাহসিকতা। সত্যটা প্রকাশ করাই সব বিচারে কল্যাণকর। এতে হীনমন্যতার কিছু নেই। ৭১-এ আলেমরা যে ভূমিকায় ছিলেন, সেসময়ে অবশই সঠিক ও বাস্তব ভূমিকায় তারা ছিলেন, এটা হাজারবার প্রমাণ করা যাবেÑ মানুষের আদালতে, ইসলামী আদালতে ও বিবেেকর আদালতে।

চ্যালেঞ্জ। তার মানে এটা নয়, পাকিস্তানীদের কথিত (কথিত বলছি কারণ ৩৮ বছরে স্বাধীনতার ইতিহাস এতোই পরিবর্তন করা হয়েছে কোনটা বাস্তব তা আমাদের পে এখন হলফ করে বলা সম্ভব নয়) বর্ববর জুলুম নৃসংশতার বিরুধী ছিলেন না ওলামায়ে হযরাত। তারা সব নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরোধী ছিলেন। কিন্তু একে কেন্দ্র করে মহত একটি চেতনা নিয়ে জন্ম নেয়া ‘স্বদেশ’ কোনো ‘ফুতকারে’ ম্লান হয়ে যাক, ভেঙে যাক ‘মাতৃভূমি’ সেটা কখনো তারা চাননি। চাননি সঙ্গত কারণেই।

শেখ মুজিবুর রহমান বলতেন এমন একটি কথা শুনাই। তিনি বলতেন, মাথা কেটে ফেলা উঁকুন তাড়ানোর কোনো সমাধা নয়। এই সহজ কথাটির সবচে বোদ্ধা ছিলেন বিদগ্ধ আলেমরা। এ কারণেই পাকিস্তানি সেনাদের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতার পরও তাদের বিরদ্ধে অস্ত্র হাতে নেননি তারা । সহজ একটি দৃষ্টান্ত দিই।

এখন বাংলাদেশের কোনো এলাকা যদি ঢাকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আর ওই অঞ্চলের কেউ যদি তাদের বিদ্রোহের সমর্থন না করে তবে তাকে আমরা কী বলবো। ক্যারেক্ট। দেশপ্রেমিক। পারলে অভিধান ঘেঁটে যতটি বিশেষণ দেয়া যায় তা দিতেও কার্পণ্য করব না। তাদের ভূমিকাকে আমরা বস্তবিকই বলবো।

আর যারা বিদ্রোহ করেছে তাদের তো গাদ্দারই বলবো। নাকি? ৭১- এ আলেমরা দেশপ্রেমিকের এ্ই বাস্তব কাজটিই করেছেন। কিন্তু যখন দস্তখত নিয়ে আমরা পাকিস্তান থেকে ভাগ হয়ে গেলাম, গঠন করলাম স্বাধীন রাষ্ট্র তখনও আলেমরা বাস্তবানুগ। প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তখন তারা ভালোবাসলেন এই দেশকে।

নতুন রাষ্ট্রকে। এ সময় যদি আলেমরা বিরোধিতা করতেন তাহলে তাদের অপরাধী করা যেত। কিন্তু তাদের আগের ভূমিকা নিয়ে তাদের একটি কথা বলারও নৈতিক শক্তি কারো নেই। দুঃখ হলো এই জরুরি কথাগুলো এখন কেউ বলে না। শুধু আলেম মুক্তিযোদ্ধা খোঁজার ধান্ধা করে।

আলেম মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সাজার মাতলামি করে। আজ এটুকুই। নোমান বিন আরমান : সাংবাদিক, কবি, কলাম লেখক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।