আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানতন্ত্রী(মন্ত্রী) বললেন, সবাই সুটকোট খোল, তাহলেই বিদ্যুত বেচে যাবে।



বিদ্যুৎ বাচাতে সরকার এবার আহবান জানালেন যে সবাই সুট কোট বাদ দিয়ে শার্ট প্যান্ট পড়ে অফিসে যেতে । এতে করে এসি বন্ধ থাকবে, আর বেচেযাবে অনেক বিদ্যুৎ। আপনিকি তা মনে করেন। আমি মনে করি এটি ছেলে মানুষিক আচরণ। জ্ঞান হবার পরথেকেই দেখছি আমাদের দেশে যারাই ক্ষমতায আসে তারাই দেশ পরিচালনা করে একেবারে ছেলেমানুষিক পদ্ধতিতে।

এযেন একেবারেই ছেলেখেলা। হাস্যকর সব সিদ্ধান্ত এবং কিছু বিষয়ে বাল্যকালিক প্রতিযোগিতায় মেতে উঠা ছাড়া এদের আর কোন জ্ঞান যেন তাদের নেই। আসলেকি তাই ? তাদের কি আর কোন জ্ঞান নেই ? আসলে কিন্তু তা নয়। এরা সব বুঝে এবং দূরনীতিতে এরা স্বীদ্ধ হস্ত। এইসব ছেলে মানুষিল অন্তরালে বড় বড় দূনীতিগুলোকে ঢাকা দেয়া হয়।

আর মানুষ কে এক টা ধান্দার মধ্যে ফেলাহয় এইসব ছোট ছোট ছেলে মানুষিক কর্মকান্ড ঘটিয়ে। আর আমরা বোকা জনতা তাদের সেই সকর হাস্যকর আচরন দেখে তাই নিয়েই মত্ত থাকি। আর তারা ফাইদা হাসিল করে। পুরা জাতিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্ত করে নিজদের দলভুক্ত করে রাখার যে পদ্ধতি তারা প্রয়োগ করছে আমরা বোকা জনতা তা ১০০ ভাগ সফলতায় গ্রহণ করছি। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।

আর এবারের সরকার যেন আধিক্ষেতার দিকে একটু বেশি মনোযোগী। যাকে গ্রাম বাংলার ভাসার বলে আদিখলামী। আজ বাড়ি বাড়ি বিদেশী চ্যানেল দেখা হচ্ছে টিভিতে। কেন ? দেশী চেনেল কেন দেখছেনা, সবাই ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ করে টিভি কিনে কেও চায়না আজাইরা বকর বকর শোনতে। মনের চাহিদা যেখানে মিঠে সেখাই মানুষের গমন।

যেভাবে দেশীয় টিভিতে সারাদিন দলীয় অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে সরকার ক্ষমতা এসেছে তারা কি চিজ সেইটা দেশবাসীরে বোঝাবার জন্য। এই কয়েক মাসেই সরকার যে নীতির বাহার দেখাচ্ছে তাতে আমাদের মন থেকে চার দলের মন থেকে চার দলের দাগা মুছে যাচ্ছে। আমরাও আজব। আবার সেই ফলাফল হবে তাত নিশ্চয। আবার আসবে চার দল।

আবার শুরু হবে নতুন বাহার। নির্বাচনী অঙ্গিকার ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। এইটাযে সরকার না বোঝে বলেছিল সেইটা বোঝার আর বাকিনাই। যেখানে বিদ্যুতের চমকে সরকার নিজেই একখন খালি চমক খাচ্ছে সেখানে ডিজিটাল ভাবাটা একদম আকামা। কিভাবে কি করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি তা ভেবেই সরকার দিশাহারা।

এক একবার এক এক পদক্ষেপ। একবার বলল ঘড়ির কাটা একঘন্টা আগাইয়া দিলেই কেল্লা ফতে। ২০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুত শ্রাস্রয় হয়ে যাবে। তার পর আর কো সমস্যা নেই। কিন্তু না, কিছুই হলনা।

সমস্যা আরো প্রকট হল। একন কি করি কি করি ভাবতে ভাবতে মনেহয় সত্যই মাথা কজ করতেছেনা। আর তাই এইবার প্রধান মন্ত্রী আহ্বান জানালেন সকল অফিসারদের প্রতি, সাই সুটকোট খোলে ফেলুন। তাহলেই এসি বন্ধ থাকবে। দেশে বিদ্যুত সাশ্রয় হবে অনেট হায়রে আজব দেশের আজব সরকার।

এই করে যদি বিদ্যুত বাছিত? আহা হা । কেমন দেশে বাসকরি কিছুই বুঝিনা। দেশে পরযাপ্ত বিদ্যুত থাকলে দেশকে কেও ডিজিটাল বানাইতে হবেনা। জনগণ নিজেই দেশরে ডিজিটাল বানাইব। সেইটা হবে সময়ের সমীকরণে স্বীদ্ধ হয়ে।

দেশকে ডিজিটাল বানাইতে হবেনা। দেশের সমস্যাগুলির দিকে নজরদিন। অসংখ্য সমস্যা এই মূহুর্তে ঝুলে আছে আমাদের নাকের ডগায়। আদিখ্যেতা ছেড়ে দিয়ে দেশের কথা ভাবেন। টিভির জন্য সরকারে প্রয়োজন নেই।

টিভি ছেড়ে দিয়ে আমারেদ দিকে নজর দিন। দেশের দিকে নজর দিন। ব্যার্থতার দায় থেকে বাছতে নতুন করে শপথ নিয়ে দেশের কাজে লেগে পড়েন। নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে কোন লাভ নেই । কেও বড় হলে লোকেই তাকে বড় বলে ।

টিভি টাবি ছেড়ে দিযে আমাদের কথা ভাবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।