আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাই আদর্শের দখলদারিত্ব

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............

চাই আদর্শের দখলদারিত্ব দেশের সর্বত্র আজ পেশীশক্তির দাপট। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে ন্যায় কথা বলার লোক আস্তে আস্তে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে তা ক্রমান্বয়ে সংঘর্ষের রূপ পরিগ্রহ করছে। আর স্বার্থবাদীদের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্বার্থবাদী মিডিয়া চলছে বাতাসের অনুকুলে! তাই জাতীয় নেতৃত্ব তথা আমাদেরমত সাধারন মানুষদেরকে এই সংকট এড়াতে এবং প্রভাব সুদীর্ঘকাল স্থায়ী করতে কিছু কথা বলতে চাইঃ- ব্যক্তি, দল কিংবা ত্রসের দখলদারিত্ব ক্ষণস্থায়ী।

আদর্শের দীর্ঘস্থায়ী দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করুন সর্বত্র। কেননা, ব্যক্তির দখলদারিত্ব ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেই শেষ হয়ে যায়। চমৎকার ব্যক্তিত্ব থাকলেও রক্ত সম্পর্কের কেউ বা অতিআন্তরিক কেউ প্রতিনিধিত্ব না করলে তাও স্বল্প সময়ের মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। দলের দখলদারিত্ব দলের ক্ষমতা হারানোর পূর্ব পর্যন্ত বহাল থাকে। দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য কেউ কেউ দলকে আলিঙ্গন করলেও তারাই ক্ষমতা হারানোর পর বিরোধী শিবিরে অবস্থান নেয়।

আর ত্রাসের মাধ্যমে দখলদারিত্ব ভালো মানুষ পছন্দ করে না, করতে পারে না। করলে সেখানে সুন্দর নিহত হয়। সন্ত্রাস সৃষ্টি করে কোথাও দখলদারিত্ব চালালে ভুক্তভোগীরা সুবিধামতো তার প্রতিশোধ নিতে চাইবেই। ঘৃণাবোধ ও প্রতিশোধপরায়ণতা সর্বক্ষণ বিষিয়ে তোলে ত্রাসের শিকার মানুষদের। সুতরাং এই দখলদারিত্ব স্থায়ীও নয়, কাম্যও নয়।

এবার আসি আদর্শিক দখলদারিত্বের দিকে। নাতি দীর্ঘ জীবনে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর শান্তির আদর্শ দিয়ে দীর্ঘ দেড় হাজার বছর ধরে তাঁর আদর্শিক প্রভাবের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে রেখেছেন। পৃথিবীর সকল ধর্মের ধর্ম যাযকগন সর্বদা শান্তি এবং সহমর্মিতার কথা বলেছেন। পৃথিবীতে এমন কোন ধর্ম নাই-যেখানে শান্তির কথা বলা হয়নি। প্রায় আড়াই হাজার তিন হাজার বছর আগে জন্মগ্রহণ করার পরও যীশুখৃস্ট, গৌতম বুদ্ধ, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টোটলের পরবর্তীতে স্বামী বিবেকানন্দ 'র আদর্শ আজ জগদ্ব্যাপী প্রচারিত।

পাশাপাশি মীরজাফর ক্ষমতায় এসেছিল ত্রাসের দখলদারিত্ব নিয়ে। তাকে মানুষ ঘৃণাভরে স্মরণ করে। সুতরাং আসুন আদর্শের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করি সর্বত্র। ব্যক্তি, দল ও ত্রাসের দখলদারিত্বকে বিসর্জন দিই চিরতরে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।