আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয় আর-একটিবার আয় রে সখা...(শেষ পর্ব)



স্কুল থেকে যে লেখাটা শুরু হয়েছিল সেটা কলেজ পর্যন্ত টেনে নিয়ে শেষ করছি। আমি ভাবিনি ওই পিচ্চি ডায়রিটায় কলেজে এসেও কিছু লিখব...কিন্তু লিখে যখন ফেললামই তখন কী আর করা...। পাঠকের সুবিধার্থে প্রথম পর্ব আর দ্বিতীয় পর্বের লিংক দিয়ে দিলাম, দেখে আসতে পারেন। 12 July 2009 Sunday 9:25 a.m. বিশ্বাস করা না করা পাঠকের উপর নির্ভর করছে। কিন্তু আমি আসলেই কলেজ এর একটা রুম এ বসে আছি।

আর যে সময়ে লিখছি, সে সময়ে ঘুম থেকে ওঠার কথা আমি even গতকালও ভাবিনি। কলেজে এসেও এসব লেখার কথা ছিল না...all thanks to শাপলা [আমার অসম্ভব ভাল বন্ধু...একই কলেজে না যদিও...কী দুঃখ, কী বেদনা। ]। ও না বললে লিখতাম না বোধহয়। আজকে প্রথম দিন... প্রথম দুটা ক্লাস বাদই দিলাম, তৃতীয় ক্লাসটা হল 'ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ'।

যিনি ক্লাস এ এলেন তার নামটা এখনও জানিনা। প্রথমে চোখে পড়ল ওনার শার্ট। শার্ট এ কোনও সমস্যা নাই। কিন্তু ডিজাইনটা না কেমন যেন। ব্রাউন কালার এর ছোপ ছোপ।

মনে হচ্ছিল কেউ কাদা ছিটিয়ে দিয়েছে। আচ্ছা না থাক, এভাবে বলা ঠিক হলনা। ওনাকে পছন্দই হয়েছে। তবে যেই জিনিসটা পছন্দ হলনা তা হল, উনি গণহারে সবার নাম-ধাম জিজ্ঞেস করলেন এবং লাস্ট মোমেন্ট এ এসে বললেন যে সবার নাম মনে রাখা ওনার পক্ষে সম্ভব না, ভুল-টুল হলে আমরা যেন নিজগুণে ক্ষমা করে দেই (!)। [একথা না বললেই নয় যে পরে আমরা বুঝতে পেরেছি উনি শিক্ষক হিসেবে অসাধারণ।

] এই সাবজেক্ট এর ক্লাস দুইজন নিবেন। আরেকজন যিনি নিবেন, তিনি ক্লাসে এসেই বললেন যে তিনি মানুষ বিশেষ সুবিধার না। উনি স্বৈরাচারী। ওনার ক্লাসে ইনি একাই কথা বলবেন, আর কেউ বলবেনা। একটু আগেও বললেন, "আমাকে কী দেখা যায়? যতক্ষণ আমাকে দেখা যাবে ততক্ষণ কেউ কোন কথা বলবে না।

" ভাল মুসিবত। [ এবং ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, আমরা পরে জানতে পারলাম যে উনি আমাদের ক্লাস টিচার... তবে এখন ওনাকে অতটা স্বৈরাচারী (!) মনে হয়না। ] এরপর বাংলা ক্লাস। ম্যাডাম ক্লাসে এসেই বললেন, "নড়াচড়া বন্ধ, গুনগুন বন্ধ। " তাও ভাল বলেন নাই যে নিঃশ্বাস নেওয়াও বন্ধ।

সবাই শুধু লেকচার দেয়... সারাজীবনকে মানুষকে লেকচার শুনায় আসলাম, আর এখন শুনতে হবে। কী দিন যে আসল... 21 July 2009 Tuesday 8:15 a.m. আজকে আমরা আলোচনা করব আমাদের ক্লাসের লিভিং লেজেন্ড 'S' কে নিয়ে। ওর মত piece আমি দ্বিতীয়টা দেখিনাই। অস্বাভাবিক না... কারণ এরকম দ্বিতীয়টা নাই। তার স্পিড (হাত এবং মুখ উভয়েরই) যে কী স্পিড, না দেখলে বোঝা যাবেনা।

কোনও ক্লাস এ তার হাত স্থির থাকেনা। প্রতিটা লেকচার হুবহু কপি না করলে ওর ভাল্লাগেনা। হাত চলতেই থাকে, লাগাতার... আর কোন টিচার কিছু জিজ্ঞেস করলে, যেভাবে বলে... সেদিন আমাদের স্ট্যাটস্ ক্লাসে F স্যার বললেন, "তোমার পড়া শুনলে মনে হয় ক্রিকেট কমেন্টেটর কথা বলছে (!)। " আজকে আমি পিংকি আর নোভার মাঝখানে বসছি। পিংকি নিজের নামটাকে হাইলাইট করার জন্যই বোধহয় পিংক কালার এর নেইল পলিশ লাগায় আসছে।

কেমন যেন, হাওয়াই মিঠাই টাইপের রং। আবার বলল কালকে বলে ম্যাংগো কালার এর একটা লাগায় আসবে (!)। আমাদের ক্লাস এর অধিকাংশ স্টুডেন্ট বোরিং প্রকৃতির। তবে আশার কথা হল, আমাদের বিচ্ছু মৌমিতা কিছুদিন একটু শান্ত হয়ে গেলেও আবার ফর্মে ফিরেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।