আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাভ আমাদের না ভারতের।। ৬ টাকার ইট ৪টাকায় রফতানি; ৪০ কোটি ইট রফতানি হলে মোট লোকসান হবে ১০০ কোটি টাকা

কথা বলি মানুষের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর ও কুমিল্লা বিবির বাজার স্থল বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ভারতে ইট রফতানিতে লাভবান কে হবে ভারত না বাংলাদেশ এ নিয়ে ব্যবসায়ীসহ সর্বমহলে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। ৬ টাকার ইট ৪টাকায় রফতানিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিরাট লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা। বাজার দরের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য কম হওয়ায় এই লোকসান গুনতে হবে বলে তাদের ধারণা। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ৪০ কোটি ইট রফতানি হলে মোট লোকসান হবে ১০০ কোটি টাকা। এদিকে এলাকার একটি অভিজ্ঞ মহল মনে করেন ভারতের এ বিপুল পরিমান ইটের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

তাছাড়া লোকসান হওয়ার আশাঙ্কা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা ইট রফতানিতে কেন আগ্রহ দেখাচ্ছেন এ নিয়ে নানা কথা উঠেছে। অনেকেই বলছেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্য আদায় করতে হুন্ডির দ্বারস্থ হতে হবে। বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ইট রফতানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রী লেঃ কর্ণেল(অবঃ) মোঃ ফারুক খান। উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশ থেকে দু'ট্রাকে মোট ১৬ মেঃ টঃ ইট রফতানি করা হয়। রফতানি শেষে বন্দরের ব্যবসায়ীরাও হিসাব মেলাতে শুরু করেছেন।

সরাকার নির্ধারিত বর্তমান মূল্যে রফতানিতে লোকসান গুনতে হবে বলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অকপটে স্বীকার করেছেন। স্থল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে মোট ৪০ কোটি ইট রফতানির একটি চুক্তি হয়েছে। রফতানির মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে প্রতি মেঃটঃ ইট ২০ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী প্রায় ১৪০০ টাকা। এদিকে বৃহস্পতিবার আমদানি রফতানি প্রতিষ্ঠান মার্জিয়া এন্টারপ্রাইজ ও সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রীতম এন্টারপ্রাইজ ২ ট্রাকে ১৬ মেঃটঃ ইট রফতানি করে। ব্যবসায়ীদের সূত্র মতে ট্রাকে মোট ইট ছিল ৬ হাজার পিস।

সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ইটের মূল্য দাঁড়ায় ৩২০ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় ২২৪০০। সে হিসেবে প্রতিটি ইটের মূল্য পড়েছে প্রায় পৌণে ৪টাকা। অথচ আখাউড়া ও আশেপাশের ইটভাটা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি পিস ইটের দাম বর্তমান বাজার দরে ৫-৬ টাকা। এ অবস্থায় ট্রাক ভাড়াসহ আনুষাঙ্গিক খরচ মিটিয়ে কিভাবে পৌণে ৪ টাকায় ইট রফতানি সম্ভব তা বোধগম্য নয়। মার্জিয়া এন্টারপ্রাইজের মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, তাড়াহুড়া করে ২ ট্রাক ইট পাঠিয়েছি।

লাভ ক্ষতির হিসেব মিলিয়ে দেখিনি। তবে মনে হচ্ছে বর্তমান দরে ভারতে ইট রফতানি সম্ভব নয়। এব্যাপারে আখাউড়া স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও প্রীতম এন্টার প্রাইজের মালিক মনির হোসেন বাবুল বলেন, অন্যান্য বন্দর দিয়ে যে মূল্যে রফতানি হচ্ছে তা আমাদের এখানেও করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যদি লোকসান হয় তবে এ বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলব। এব্যাপারে স্থল শুল্ক কর্মকর্তা কাজী হারুন রশীদ বলেন, কাষ্টমস কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যেই ইট রফতানি হচ্ছে।

এ বিষয়ে আমাদের কোন হাত নেই। তথ্য সূত্র- Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।