আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌরশক্তিতে চলবে মোবাইল ফোন সেট

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
বিদ্যুৎ যেখানে নেই সেখানে মোবাইল ফোন বা যে কোন বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রের উপস্থিতি খেলনার মতোই। কিন্তু শুধুমাত্র বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা একটি জাতিকে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার থেকে পিছপা করতে পারে না। তাইতো মোবাইলের মতো একটি প্রয়োজনীয় এবং জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহারে মানুষ এখন সৌর শক্তির উপর নির্ভর করতে চলেছে। উন্নয়নশীল এবং অপেক্ষাকৃত কম মানুষ যেখানে বিদ্যুৎ এর মতো একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত সেখানে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো সৌর শক্তিকে বিদ্যুৎএর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে এগিয়ে এসেছে। এই যেমন ধরা যাক আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার কথা।

দেশটিতে একজন মোবাইল ব্যবহারকারীকে তার মোবাইল ফোন চার্জ করতে হয়তো হেটে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার। তিন কোটি তের লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত জনসংখ্যার দেশটিতে মাত্র তের লাখ লোক সরকারী বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে থাকে। আবার যে তের লাখ লোক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় বাস করে তারাও ঠিক নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সুবিধা পায় না। এদিকে কেনিয়াতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭ লাখ। এই বিশাল সংখ্যার ফোন ব্যবহারকারীর কথা চিন্তা করে দেশটির অন্যতম বড় মোবইল ফোন কোম্পানি সাফারিকম লিমিটেড বাজারে নিয়ে আসছে এমন কিছু মোবাইল ফোন যার রয়েছে চার্জ করার জন্য সোলার প্ল্যান্ট।

অর্থ্যাৎ এই বিশেষ ফোন চার্জ করার জন্য এখন আর বিদ্যুতের উপর নির্ভর করতে হবে না। এবিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মিকেল জোসেফ একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, এমাসেই ফোনটি কেনিয়ার বাজারে ছাড়া হবে। এর দাম পড়বে ৩৫ ডলার। এই সোলার মোবাইল ফোনের প্রস্তুতকারী কোম্পানি চাইনিজ টেলিকমিউনিকেশনস। প্রথমে ফোনটির এক লক্ষ কপি কেনিয়ার বাজারে ছাড়া হবে।

মিকেল ফোনটির বাজার সম্পর্কে আশা প্রকাশ করে বলেন, তারা মনে করছেন এক সপ্তাহের মধ্যে সব কপি শেষ হয়ে যাবে। অবশ্য সোলার মোবাইল চার্জারের বিষয়টি বিশ্বে নতুন কিছু নয়। বিশ্ব খ্যাত ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এই বছরের শুরুতে বার্সেলোনার স্পেনে এই ধরণের ফোন এর উদ্বোধন করে। আর এবছরের জুনের মাঝামাঝি ভারতেও সৌর চার্জার মোবাইল ফোন বাজারে নিয়ে আসে স্যামসাং। তথসূত্রঃ
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।