আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্ঞানী,গুনী ও বিজ্ঞ : বেশী দূর যেতে হবে না...!



বেশী দূর যেতে হবে না, আমরা মুটামুটি সবাই সাকা চৌধুরির নামের সাথে পরিচিত। লোক্টা নাকি বৃটিশ আমল থেকে ভোটে জিতে আসছে, এই নিয়ে তার যথেষ্ট গর্বও আছে। থাকাটাই সাভাবিক, সবাইত আর চাইলেই জনপ্রতিনিধি হতে পারে না!জনগনের ভোট পেতে হয়। মি:সাকাও শুধু অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত মানুষের ভোটে নন, হয়ত তার এলাকার অনেক আত্ত্ব সীকৃত জ্ঞানী ও বিজ্ঞ মানুষের ভোটে জিতেই প্রতিনিধি। তাই তিনি যে নিজেকে যথেষ্ট জ্ঞ্যানী ও মহান নেতা ভাববেন সেটাই সাভাবিক! রিতিমত আমারা পেপার পত্রিকার মারফত সাকার অপকর্মের কথা অনেক জানি, তার এলাকার অশিক্ষিত সরল কৃষক শ্রেনীর মানুষ গুলোর দোষ দিব না, তারাতো এত খবর পাইও না, রাখেও না কিংবা তারাতো সাকার সাথে এক বাড়িতে থাকেও না! কিন্তু বাকিদের কথা কি আর বলব! শুধু কি তাই!তাকে তো রিতিমত অনেক তথাকথিত গুনিজনের সভা ও সমাবেশেও দাওয়াত করা হয় তার মহামুল্যবান কথা শোনার জন্যে।

উনিও সু্যোগ পেয়ে বিজ্ঞের মত কিছু জ্ঞানের কথা শুনায়ে দেন। উনিত রিতিমত নিজেকে সাধারনের থেকে অসাধারন কিছুই ভাবেন! সেটাই সাভাবিক, তার কারন বৃটিশ আমল থেকে তিনি যে দাপটের সাথে অপকর্ম করে চলেছেন, আজ অবধি কে তার কতটুকো ক্ষতি করতে পেরেছে! বরং পাবলিক তাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে, অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছে। কয়েকদিন আগে একজন মন্ত্রি এতটাই বিরক্ত হলেন যে, নিজেকে সামাল না দিতে পেরে বলেই ফেললেন, সাকা রাজনৈতিক শিষ্টাচার জানে না, তাই তাকে রাজনিতি থেকে বিদায় দেওয়া উচিত। মন্ত্রি মহদয় হয়ত ভাবেন নাই, এবার সাকার পালা! সাকা হয়ত পরবর্তী কোন গুনিজনদের সমাবেশে বলে বসবেন , সেতো (মন্ত্রি মহদয়) বউয়ের কাছে রাজনীতি শিখেছে, আর আমিতো বৃটিশ থেকে শুরু করে, মিরজাফর, পাকিস্তানি দের কাছ থেকে রাজণীতি শিখে আজ এত দূর আইছি, আমারে বাদ দেয় কোন ...? আত্ত্ব সীকৃত জ্ঞানী,গুণী তো আমরা সবাই, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী কে! তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। ইন্ডিয়াতে ভোটের আগে জনাব আদভানী জনাব মনমোহন কে সরাসরি তর্কযুদ্ধের আহবান জানালেন।

কিন্তু মনমোহন বিনয়ের সাথে আহবান প্রতাখ্যান করলেন। দুইজনই যথেষ্ট জ্ঞানী ও বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেই জানি। তাহলে কি মনমোহন বিতর্ক কে ভয় পেয়েছিল! তা বোধহয় না! আমার ধারনা, মনমোহন জানত দুইজন সম্পুর্ন ভিন্ন মেরুর মানুষ। তর্কের সময় আদভানী তাকে হায়েনার মত আক্রমন করবে, আদভানীর উদ্দেশ্যই হয়ত ছিল সেটা! আর তর্কের খাতিরে তর্ক করতে গিয়ে হয়ত তখন এমন কিছু বিষয় উঠে আসবে যা তিক্ত। তখন পাব্লিক আরও বেশী বেশী সমালোচনার সুযোগ পাবে, তার চেয়ে বরং বিতর্ক এড়িয়ে সামান্য সমালোচনা গায়ে মাখায় ভাল মনে হয়েছে! হয়ত শেষে জনাব আদভানী আহবান জানিয়ে নিজেই সামান্য ঠকে গেছেন।

কিন্তু আমি আবারও সীকার করব, তারা দুজনই সেই দেশে যথেষ্ট জ্ঞানী,বিজ্ঞ ও সন্মানী ব্যক্তি। তবে, কে অধিক জ্ঞানী ও বিজ্ঞ তাহা ইন্ডিয়ার জনগন ই ভাল জানে!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।