আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমাদান কোরআন ও তাকওয়া।

হটডগ্‌

রমাদানকে আমরা কোরআনের মাস হিসাবে জানি, এ কারণে যে কোরআন এ মাসে অবতীর্ন হওয়া শুরু হয়। তবে একটি বিষয় আমাদের দৃস্টি এড়িয়ে যায়, আর তা হচ্ছে রমাদান কোরআন অবতীর্ন শুরু হওয়ার সময় সিয়ামের (রোজার) মাস ছিল না, সিয়াম ফরজ্‌ হয় আরো বহু পরে। তা হলে প্রশ্ন থাকে 'রমাদান কোরআনের মাস' এ কথার তাৎপর্য কোথায়? বিষয়টি অনুধাবন করতে হলে কোরআন এবং রমাদানের উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে হবে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সুরা বাকারার প্রথম আয়ায় জানিয়েছেন কোরআন 'মুত্তাকী'দের জন্য পথ প্রদর্শক এবং একই সুরার ১৮৫ নং আয়ায় জানাচ্ছেন যে, সিয়াম নির্দেশিত হয়েছে যাতে আমরা 'তাকওয়া' অবলম্বন করতে পারি বা 'মুত্তাকী হতে পারি। প্রনিধান যোগ্য, কোরআনের পথ নির্দেশনা পাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে আমাদের মধ্যে 'তাকওয়া' থাকা জরুরী এবং 'তাকওয়া' অর্জনের জন্য সিয়াম সাধনা জরুরী, এখানেই 'রমাদান কোরআনের মাস' এ কথার তাৎপর্য নিহিত।

এবার দেখা যাক 'তাকওয়া' শব্দের অর্থ কি? কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে 'তাকওয়া' শব্দের ব্যবহার ছিল 'হর্স স্যু' বা ঘোড়ার পায়ের খুর রর্ক্ষার্থে ব্যবহৃত লৌহ বেস্টনি অর্থে। এবার দেখুন 'হর্স স্যু'র কাজ কি?এটি প্রশ্তরময়, কন্টকময় বা অন্দ্ধকারে ধাবমান ঘোড়াকে আহত হওয়া থেকে রক্ষা করে। মহিমান্বিত কোরআন একটি নূতন ব্যান্জনা দান কোরলো এ শব্দের ব্যবহারে, বলা হোলো আমাদের অন্তঃকরনের এমন একটি সার্বক্ষণিক সচেতনতা অবলম্বনের কথা যা প্রশ্তরময়, কন্টকময় বা অন্দ্ধকারেও আমাদের জীবনের মুল লক্ষ্যের দিকে চলতে সাহায্য কোরবে। এই সচেতনতা অর্জনের জন্য রমাদানের সিয়াম বা Abstention সাহায্য করে, রমাদানে আমরা কথা আর কাজে সাবধান হতে চেষ্টা করে থাকি। আমার এ লেখায় কারো উপকার হলে সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার আর যে কোন ভুল ত্রুটির জন্য তিনি পরম করুণাময়, পরম ক্ষমাশীল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.