আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন পইরেননা ১৬ ডিসেম্বর পাবলিশ হবে।এনডিজিটালএন ইনস্‌পেক্সন বিটুইন ১৯৭১ এন্ড ২০০৯ এন্ড একটিভ ইলিমেন্টস্‌ ইন বাংলাদেশ

Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd

গত দুইদিন যাবৎ যেহেতু আমরা দেশের অতীত নিয়ে এত কথা বলছি, তখন চলুন একটা সর্ট ফ্লাস ব্যাক করে টোটাল ইতিহাসটা বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত দেখে নেই। স্বাধিনতা যুদ্ধটা ছিল এদেশের সমস্ত মানুষের সন্মেলিত একটা যুদ্ধ। ৭ কোটি মানুষের যুদ্ধ। শুধু মাত্র কিছু স্বাধিনতা বিরোধীবাদে এদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে তার মূল্য দিতে হয়েছে। স্বাধিনতা যুদ্ধে আমাদের সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য।

যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক উল্লখযোগ্য অবদান আছে নানা কাজে। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধিনতা আন্দোলনে জাতির কান্ডারী হিসাবে অত্যন্ত দূরদর্শি নেতা হিসবে জাতির স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তার বিপরীত ক্রমে যুদ্ধ পরবর্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় ততটাই ব্যর্থ ছিলেন। তার এই ব্যর্থতা তার বক্তব্যের মধ্যেই প্রকাশ পায়। এক জায়গায় তিনি বলছেন পাকিস্তানিরা সব নিয়াগেছে খালি চোর রখে গেছে এখানে। তিনি বাকশালও তৈরী করেছিলেন।

যেটার সদস্য জিয়াউর রহমানও ছিলেন ২২৮ নম্বর সদস্য। এরপর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ঠ বাংলাদেশ সেনাবহিনী (অবশ্যই সবাইকে তার প্রাপ্য সঠিক ভাবেই দিতে হবে) বংঙ্গবন্ধু,জাতির জনকে নির্মম ভাবে স্বপরিবার হত্যা করে। তখন এটাকে দেখানো হলো জাতিকে একটা একদলীয় ডিক্টেটর এর হাত থেকে রক্ষা করা হলো। চার দিকে সেনাবাহিনীর লোকজন, সাধারন মানুষ এ হত্যা কান্ডের প্রতিবাদ করবে দূরের কথা আলোচনা করারও সাহস পেলোনা আর যাদের প্রতিবাদ করার কথা ছিল তারাও কে কোন অবস্থানে ছিলেন জানার সুযোগ কম। ৪ঠা নভেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে ঢুকে চার জাতিয় নেতাকে কুকুরের মত গুলিকরে হত্যা করে সেনাবাহিনী।

এই চার নেতাই যুদ্ধের সময় এদেশ এবং স্বধীনত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। এই হত্যা কান্ডের পরও কেউ কোন শব্দ করার সাহসও পায়নি, চারদিকে সেনাবাহিনী আর এমন অবস্থায় কি করা যায় তা অবশ্যই আমরা উপলবদ্ধি করতে পারি। অতপর সামরিক শাসন। জিয়উর রহমান নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। রাজনৈতিক ব্যাল্যান্চ আনার স্বার্থেই তাকে স্বধিনতা বিরধীদের কাছে টানতে হয়।

যারা ৭২ থেকেই একটু একটু করে ঢুকছিল তারা এবার নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নেয়। এরপর ১৯৮১ সালের ৩০ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। যে কিনা দুই দুইবার কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুহুর্তে জাতির হাল ধরে ছিলেন। একবার ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ আর ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর। আবার সামরিক শাসন টানা নয় বছর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।

জেনারেল এরশাদ। নানা কাজ অকাজ করেছেন। এসময়ই এদেশের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নিতি তার শেকড় বিস্তৃত করে। রাজনৈতিক ব্যল্যান্স আনার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই এবারকার চতুর্থ শক্তি স্বাধিনতা বিরোধীদের কাছেটানতে হয়। সংবিধান পরিবর্তন এনেও তাদের খুশি করেন জেনারেল এরশাদ।

১৯৯১ থেকে সেনাবাহিনী নানা সময় গৃস্থালী কাজে দেশ ও জনগনকে নানা সময় সাহায্য সহযোগিতা করে। ইতমধ্যে বিএনপির দুইটার্ম আর আওয়ামিলীগ এর একটার্ম মোট ষোল বছর, ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করেন। এরা কে কতটুকু দেশ পরিচালনা করেছে আর কতটুকু বিরোধীদের ঘায়েল করতে ব্যস্ত থেকেছে তা তাদের আউটপুট দেখলেই বোঝা যায়। যেকোন কাজেই যেহেতু তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বিরধী দল, তাই কোন কাজই জনগনের আকংখা পূরণে কাজে আসেনি। আবার দুর্নিতি স্বজনপ্রিতি বহুগুনে বৃদ্ধী করেছে দু দলই।

আবার ২০০৭ ও ২০০৮ সিভিল এইডে আসে সেনাবহিনী। এবার শুধু মাত্র পাকা ঘরই ভাঙ্গে দশ হাজার কোটি টাকার। খালেদা জিয়াযে একটা কথাবলে দুই বছরে তত্তাবধায়ক সরকার আর সেনাবাহিনী দেশকে বিশবছর পিছিয়ে দিয়ে গেছে। এটা তিনি কিভাবে বুঝলেন সেটাই বুঝিনা কারণ তিনি তার প্রথম টার্মে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তিতইে দেশটার কত বড় ক্ষতি করেছে তাই তিনি বুঝতে পারেন না। তাহলে দেখাযায় স্বাধিনতার ৩৯ বছরের মধ্যে সামরিক বাহিনী মোট ১৭ বছর দেশ শাসন করেছে।

দুজন রাষ্ট্রপতি সহ চার জন জাতিয় নেতা সহ আরও বহু নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছে। বন্যায় সহায়তা করেছে। বিল্ডিং ভেঙ্গেছে আর জাতিয় পরিচয় পত্র করেছে। স্বাধিনতা বিরোধীদের পুনর্বাসনে উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছে। আজ ২০০৯ এখন দেশে মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি আর সমস্যা ৩৪ কোটি।

আছে অতীতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী স্বাধীনতা বিরোধী ইলিমেন্টস। আছে সেনাবহিনী আছে বিএনপি। আর শেখ হাসিনার সরকার। মূলত এরাই হলো এদেশের ভাগ্য রাজনিত সবকিছু একটিভ ইলিমেন্টস। এই নিয়েই আমাদের দেশ বাংলাদেশ।

১৭ কোটি সাধারণ মানুষের দেশ, সুজলা সফলা শষ্য শ্যমলা আমাদের এ দেশ, জন্ম ভূমি, যাকে এদেশের প্রতিটা সন্তান মায়ের চেয়ে বেশী ভালোবাসি, কারণ মায়ের জন্যও কোন সন্তান এত অকাতরে প্রাণ দিতে পারবে না যা আমরা বারবার দিয়ে আসছি। গত দুইদিন যাবৎ আমরা যেহেতু দেশের অতীত নিয়ে এত কথা বললাম, তখন চলুনা একটা সর্ট ফ্লাস ব্যাক করে টোটাল ইতিহাসটা কেমন ছিল আর বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত কি ভাবে এলো তা একটু দেখে আসি। আতীত মানুষকে সুন্দর ভবিষ্যতের পথ দেখায় ! স্বাধিনতা যুদ্ধটা ছিল এদেশের সমস্ত মানুষের সন্মেলিত একটা যুদ্ধ। লুঙ্গি পরা খালি পায়ে অজ পাড়া গায়ের মূর্খ কিশোর থেকে শুরু করে লন্ডনে পড়তে যাওয়া সুটেড বুটেড বাঙ্গালী যুবকটি পর্যন্ত। যা আমরা নানা ভিডিও ক্লিপে খালি পায়ে লুঙ্গি পরা শুধু মাত্র আবেগটুকুর দক্ষতা হাতে নিয়ে অসীম সাহসী মুক্তি যোদ্ধাদের সুশিক্ষীত পাকিস্তান সেনাবহিনীর বিরুদ্ধে রেইড করতে এগিয়ে যাওয়া যে কোন একটা ছোট দল দখলেই উপলব্ধি করতে পারি।

এ ছিল ৭ কোটি মানুষের যুদ্ধ ! শুধু মাত্র কিছু স্বাধিনতা বিরোধী বাদে - মূলত এই বিরোধীদের মধ্যেউ একটা প্রকট কনফিউশন দেখা যায়। এদের একটা দল রাজনৈতিক ভাবে ওয়েল মোটিভেটেড এবং সম্পুর্ণ ডেডিকেটেড আর অনান্যদের মধ্যে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেকই প্রাণ ভয়ে আবার ভিটে মাটি ছেড়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ বেশী ভীতিকর ছিল বিধায় - এদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে এই স্বাধিনতা যুদ্ধে কোথাও না কোথাও মূল্য দিতে হয়েছে। স্বাধিনতা যুদ্ধে আমাদের সেনাবাহিনীর অবদান ছিল অনস্বীকার্য, অনিবার্য, যুদ্ধ পূর্ববর্তী দিন গুলো থেকে শুরু করে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক উল্লখযোগ্য অবদান আছে অসংখ্য ক্ষেত্রে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বরণ কালের এই ইউনিফাইড জাতির প্রতিক। তার জন্ম না হলে এই ভূক্ষন্ড যে অন্য ভাবে অরগানাজড হতো এটা স্পষ্ট।

বঙ্গবন্ধু যেভাবে স্বাধিনতা আন্দোলনে জাতির কান্ডারী রুপে অত্যন্ত দূরদর্শি নেতার মত জাতির স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তার বিপরীত ক্রমে যুদ্ধ পরবর্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি ততটাই ব্যর্থ ছিলেন। আবেগী কোমল মনের এই মানুষটার চার পাশে চতুর ও সুযোগ সন্ধানী ইলিমেন্ট গুলী শুরু থেকেই জায়গা করে নিতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর সরলতার সর্বোচ্চ এবিউস করে এরা। আর এই কথার প্রমাণ পাওয়া যায় এক জায়গায় তার বক্তব্যের মধ্যে, সেখানে তিনি বলছে, "সব চোর, এত চোর যে কোথ্থেকে পয়দা হল ? পাকিস্তানিরা সব নিয়েগেছে খালি চোর কয়ডা রখে গেছে এখানে। " আর রাষ্ট্রটা নতুন হলেও আমলাতন্ত্র বোথ সিভিল এন্ড আর্মি সবটাই ছিল লাহরে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং করে আসা সিএসপি কর্মকর্তা উইট্থ দেয়ার ফুল সেট অফ টুলস এন্ড রুলস।

আমার শুধু সংবিধানটা করে জাতি করেছে কাজ শেষ বাকি সব আইন কানুন যেভাবে ছিল সেভাবে এবজর্ব করে নিয়ে শুধু পাকিস্তান নামটা কেটে দিয়ে বাংলাদেশ লিখেনেয়া। আজও খুজে পাওয়া যাবে কোথাও পাকিস্তান লেখা। আমলারা স্বীয় স্বার্থেই এগুলো কখনও সামনে আনেনি। এই পরিস্থিতিতে জাতির জনক বাকশালের ভুল স্বিদ্ধান্ত। উল্লেক্ষ্য, অনেকের মত জিয়াউর রহমানও ছিলেন বাকশালের ২২৮ নম্বর সদস্য।

এ সব আবর্তের ভেতরে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ঠ ভোর ৫ টা সময় বাংলাদেশ সেনাবহিনী (অবশ্যই সবাইকে তার প্রাপ্য সঠিক ভাবেই দিতে হবে) জাতির জনকে নির্মম ভাবে স্বপরিবার হত্যা করে। সমগ্র জাতির কাছে বিষটা অবিস্বাশ্য হলেও সময় এগিয়ে চলার সাথে সাথে দেখা যায় ঘটনার কিছুদিন আগে থেকেই একটা মিক্সড নেট ওয়ার্ক ওফ ইলিমেন্টস ভবিতব্য ঘটনাটা বিভিন্ন মাত্রায় জানত, এখানে যেমন ছিল স্বাধিনতা বিরোধী আদর্শের প্লে মেকারদের একটিভ ইনফ্লুয়েন্স তেমনি ছিল অনিবর্য ধরে নেয়া কিছু সংখ্যক ব্যাক্তিবর্গ। সেনাবাহিনীর পক্ষে তখন এই হত্যাকান্ডকে দেখানো হলোঃ জাতিকে একটা একদলীয় ডিক্টেটর এর হাত থেকে রক্ষা করা হলো। চারদিকে সেনাবাহিনীর লোকজন উপস্থিতি, থমথমে স্তব্ধ, এবং অনেকর অপ্রত্যাশিত নিরবতা মধ্যে সাধারন মানুষ এ হত্যা কান্ডের প্রতিবাদ করবেতো দূরের কথা আলোচনা করারও সাহস পেলোনা। এসময় সেনাবাহিনীর ভেতরে নানা ছোট ছোট বিপ্লব প্রতিবিপ্লব ঘটতে থাকে যদিও বিপ্লবের সংঙ্গায় কোন ভাবেই এগুলো আসেনা, সোভিয়েত রাশিয়ায় বিপ্লবে ইনভল্বমেন্টের ওফ কমন পিপলস এর স্পস্ট রুপটা দেখা যায় যাচাই হিসাবে।

বিষয়টা ছিল এরকম, দ্যা সিচুয়েশন ইস ভেরী মাচ আন্ডার কন্ট্রোল ওনলী ইনটারনাল ডিভিশনস্‌স ওব ওপিনিয়নস। ৪ঠা নভেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে ঢুকে চার জাতিয় নেতাকে কুকুরের মত গুলিকরে হত্যা করে সেনাবাহিনী। এই চার নেতাই যুদ্ধের সময় এদেশ এবং স্বধীনত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন, তাদের মুখ, তাদের কথা সারাক্ষণ অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ১৭ই এপ্রিল থেকেই। এই হত্যা কান্ডের পরও সাধারণ জনগন কেউ কোন শব্দ করারও সাহস পায়নি। চারদিকে সেনাবাহিনী, আর এমন অবস্থায় কি করা যায় তা অবশ্যই আমরা উপলবদ্ধি করতে পারি অতি সম্প্রতি অভিগগ্‌তা থেকে।

শুরু হয় সামরিক শাসন। সেক্রিফাই করতে হয় বেশ কিছু সেনা অফিসাকে যাদের জন্য গত কয়েক মাসের ইনটারনাল ডিভিশনস গুলোছিল বিপ্লবের নামে। জিয়উর রহমান নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। । এদিকে জিয়াউর রহমান এর চারপাশে যারা অংশিদারীতর্বে দাবী নিয়ে জায়গা করে নিয়েছিল তাদের মধ্যে দেখা যায় আদর্শগত ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় তাদের আধিক্য এবং কিছু অপারচুনিষ্ট এবং অবশ্যই নিষ্ক্রীয় স্বাধিনতাকামী ও গনতন্ত্রে ফেরার মানসিকতা সমৃদ্ধ শ্রদ্ধা ভাজনদের।

ফর দ্যা কনসলিডেশন এন্ড রিটার্ন টু ডেমক্রেসী জিয়াউর রহমান চিরাচরিত নিয়মে শত্রুর শত্রু বন্ধু সূত্র মেনে নিয়ে স্বধিনতা বিরধীদের কাছে টানে এবং সাংবিধানিক ভাবে তাদের প্রতিষ্ঠিত করেন। যেই ইলিমেন্টসগুলো ৭২ সাল থেকেই একটু একটু করে ঢুকছিল তারা এবার নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নেয়, দে হেভ মেইড দেয়ার ল্যান্ডস্‌ টু স্ট্যান্ড ওন। আর আমলাতন্ত্র তার স্বীয় আদিম গুনাবলী আরও সমৃদ্ধ করে রাষ্ট্র যন্ত্রকে সাধারন জনগনকে আরও বেশী রেসট্রিকটেড করতে থাকে। অতঃপর ১৯৮১ সালের ৩০ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে নির্মম ভাবে। যে লোকটা কিনা দুই দুইবার কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুহুর্তে জাতির হাল ধরে ছিলেন।

একবার ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন ও দিকবেদিক শূণ্য আতংকিত সাতকোটি মানুষকে পেছন থেকে ডাক দিয়ে স্বাধিনতার বানী শুনিয়ে আর একবার ১৯৭৫ সালে যখন বিপ্লব প্রতিবিপ্লবীর* গেরা কলে ভাসমান এ জাতি। এদিকে অস্থায়ী আনকনসলিডেটড সময়ের সাত্তার সরকার পরে সামরিক শাসন, টানা নয় বছর, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত। জেনারেল এরশাদ ! নানা কাজ অকাজ করেছেন। এসময়ই এদেশের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নিতি তার শেকড় বিস্তার করে। সিভিল সার্ভিস পরিনতি পায় দুর্নিতির নিজস্ব ফাউন্ডেশনের।

জাতির বিশ্বাস এবং আচরনে আসে কিছু মৌলিক পরিবর্তন। আর রাজনৈতিক ফর্মূলাতে তখন জেনারেল এরশাদের সামনে মোষ্ট পটেনশিয়াল এন্ড ট্রাকটএবল ইলিমেন্টস্‌ স্বাভাবিক ভাবই স্বাধীনতা বিরোধী আদর্শের লোকজন। এছাড়া ওল টাইম ওপারচুনিষ্টরাতো ছিলই। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালের বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে দাড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ১৯৯১ সালে দেশে পুনরায় গনতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। চিরাচরিত বাঙ্গালী নারী ব্যক্তিত্বগত দুর্বলতা থেকে বেগম জিয়া কোন ব্যতিক্রম নয়, এছাড়া ধারাবাহিক আমলাতন্ত্রের নাগপাস এবং বিএনপির জন্ম লগ্নের স্বাধিনতা বিরোধী গ্রুপ আর ন্যয়নিতি বর্জিত কিছু লোক এসময়ে দেশের উন্নতির চেয়ে ক্ষতি করে অনেক গুনবেশী। এদিকে সেনাবাহিনী নানা সময় গৃস্থালী কাজে দেশ ও জনগনকে নানা সময় সাহায্য সহযোগিতা করে। ১৯৯৬ সালে আসে আওয়ামিলীগ সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। একই ভাবে বাঙ্গালী মহিলা হিসাবে শেখ হাসিনা লক্ষ্য এবং কর্মে যোগ রাখতে পারেনি।

তাছাড়া অতদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামিলীগের নেতাদের ভেতর স্বল্পতম সময়ে পুষিয়ে নেয়ার একটা প্রতিযোগিতাও প্রকট ছিল। এই পাঁচ বছরে আমলাতন্ত্র সিস্‌টেমের ভেতর দুষটু চক্রেরের সাথে রাজনিতি জড়িয়ে পরাক্রমশালী হয়ে ওঠে। এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগনের পাশাপাশি অনেক কাজ করেছে। একইসাথে রাষ্ট্রেরর স্বার্থের চেয়ে সেনাবাহিনীর স্বার্থ আরও প্রাতিষ্ঠানিক ভিক্তি লাভ করেছে। ১৯৯১ থেকে সেনাবাহিনী নানা সময় গৃস্থালী কাজে দেশ ও জনগনকে নানা সময় সাহায্য সহযোগিতা করে।

ইতমধ্যে বিএনপির দুইটার্ম আর আওয়ামিলীগ এর একটার্ম মোট ষোল বছর, ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করেন। এরা কে কতটুকু দেশ পরিচালনা করেছে আর কতটুকু বিরোধীদের ঘায়েল করতে ব্যস্ত থেকেছে তা তাদের আউটপুট দেখলেই বোঝা যায়। যেকোন কাজেই যেহেতু তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বিরধী দল, তাই কোন কাজই জনগনের আকংখা পূরণে কাজে আসেনি। আবার দুর্নিতি স্বজনপ্রিতি বহুগুনে বৃদ্ধী করেছে দু দলই। ২০০১ সালে আবার আসে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল।

এবার আরও ম্যচিয়ুর্ড এবং ডবল স্ট্রেন্থ নিয়ে মা আর দুই ছেলে আর দলের প্রভাবশালী নেতানত্রীর যুবক সন্তানেরা পুরা দেশটা উত্তরাধীকার সূত্রে পাওয়া বাবার সম্পত্তি হিসাবে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামে সবাই। কমিশন খাওয়া থেকে ছিন্তাই এবং খুনের মামলায় দালালী করার মত কাজ ছড়িয়ে পরে ক্ষমতার সর্ব্বচ্চ লেভেল পর্যন্ত। জনগনকে কিভাবে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা থকে দূরে রাখা যায় আমলাতন্ত্র থেকে শুরু করে হাওয়া ভবন পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা সফল ভাবে গাথুনি পায়। আর দলের শরিক হিসাবে স্বাধীনতা বিরোধীরা অতীতের সমস্ত রের্কড ভেঙ্গে দুইপায়ে শক্ত হয়ে এদেশের মাটিতে দাড়িয়ে যায়। তার পর ২০০৭ ও ২০০৮ সিভিল এইডে আসে সেনাবহিনী।

এবার শুধু মাত্র পাকা ঘরই ভাঙ্গে দশ হাজার কোটি টাকার। যেগুলোর সবগুলো তৈরী করতে এদেশের মানুষের ঘামের আর রক্তের অর্জিত টাকা খরচ করে তৈরী। খালেদা জিয়াযে একটা কথাবলে দুই বছরে তত্তাবধায়ক সরকার আর সেনাবাহিনী দেশকে বিশবছর পিছিয়ে দিয়ে গেছে। এটা তিনি কিভাবে বুঝলেন সেটাই বুঝিনা কারণ তিনি তার প্রথম টার্মে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তিতইে দেশটার কত বড় ক্ষতি করেছে তাই তিনি বুঝতে পারেন না। বিশ্লেষনঃ তাহলে দেখাযায় স্বাধিনতার ৩৯ বছরের মধ্যে সামরিক বাহিনী মোট ১৭ বছর দেশ শাসন করেছে।

দুজন রাষ্ট্রপতি সহ চার জন জাতিয় নেতা সহ আরও বহু নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছে। বন্যায় সহায়তা করেছে। বিল্ডিং ভেঙ্গেছে আর জাতিয় পরিচয় পত্র করেছে। স্বাধিনতা বিরোধীদের পুনর্বাসনে উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছে। আজ ২০০৯ এখন দেশে মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি আর সমস্যা ৩৪ কোটি।

আছে অতীতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী স্বাধীনতা বিরোধী ইলিমেন্টস। আছে সেনাবহিনী আছে বিএনপি। আর শেখ হাসিনার সরকার। মূলত এরাই হলো এদেশের ভাগ্য রাজনিত সবকিছু একটিভ ইলিমেন্টস। এই নিয়েই আমাদের দেশ বাংলাদেশ।

১৭ কোটি সাধারণ মানুষের দেশ, সুজলা সফলা শষ্য শ্যমলা আমাদের এ দেশ, জন্ম ভূমি, যাকে এদেশের প্রতিটা সন্তান মায়ের চেয়ে বেশী ভালোবাসি, কারণ মায়ের জন্যও কোন সন্তান এত অকাতরে প্রাণ দিতে পারবে না যা আমরা বারবার দিয়ে আসছি। গত দুইদিন যাবৎ যেহেতু আমরা দেশের অতীত নিয়ে এত কথা বলছি, তখন চলুন একটা সর্ট ফ্লাস ব্যাক করে টোটাল ইতিহাসটা বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত দেখে নেই। স্বাধিনতা যুদ্ধটা ছিল এদেশের সমস্ত মানুষের সন্মেলিত একটা যুদ্ধ। ৭ কোটি মানুষের যুদ্ধ। শুধু মাত্র কিছু স্বাধিনতা বিরোধীবাদে এদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে তার মূল্য দিতে হয়েছে।

স্বাধিনতা যুদ্ধে আমাদের সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক উল্লখযোগ্য অবদান আছে নানা কাজে। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধিনতা আন্দোলনে জাতির কান্ডারী হিসাবে অত্যন্ত দূরদর্শি নেতা হিসবে জাতির স্বাধিনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তার বিপরীত ক্রমে যুদ্ধ পরবর্তি রাষ্ট্র পরিচালনায় ততটাই ব্যর্থ ছিলেন। তার এই ব্যর্থতা তার বক্তব্যের মধ্যেই প্রকাশ পায়। এক জায়গায় তিনি বলছেন পাকিস্তানিরা সব নিয়াগেছে খালি চোর রখে গেছে এখানে।

তিনি বাকশালও তৈরী করেছিলেন। যেটার সদস্য জিয়াউর রহমানও ছিলেন ২২৮ নম্বর সদস্য। এরপর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ঠ বাংলাদেশ সেনাবহিনী (অবশ্যই সবাইকে তার প্রাপ্য সঠিক ভাবেই দিতে হবে) বংঙ্গবন্ধু,জাতির জনকে নির্মম ভাবে স্বপরিবার হত্যা করে। তখন এটাকে দেখানো হলো জাতিকে একটা একদলীয় ডিক্টেটর এর হাত থেকে রক্ষা করা হলো। চার দিকে সেনাবাহিনীর লোকজন, সাধারন মানুষ এ হত্যা কান্ডের প্রতিবাদ করবে দূরের কথা আলোচনা করারও সাহস পেলোনা আর যাদের প্রতিবাদ করার কথা ছিল তারাও কে কোন অবস্থানে ছিলেন জানার সুযোগ কম।

৪ঠা নভেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে ঢুকে চার জাতিয় নেতাকে কুকুরের মত গুলিকরে হত্যা করে সেনাবাহিনী। এই চার নেতাই যুদ্ধের সময় এদেশ এবং স্বধীনত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। এই হত্যা কান্ডের পরও কেউ কোন শব্দ করার সাহসও পায়নি, চারদিকে সেনাবাহিনী আর এমন অবস্থায় কি করা যায় তা অবশ্যই আমরা উপলবদ্ধি করতে পারি। অতপর সামরিক শাসন। জিয়উর রহমান নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন।

রাজনৈতিক ব্যাল্যান্চ আনার স্বার্থেই তাকে স্বধিনতা বিরধীদের কাছে টানতে হয়। যারা ৭২ থেকেই একটু একটু করে ঢুকছিল তারা এবার নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নেয়। এরপর ১৯৮১ সালের ৩০ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। যে কিনা দুই দুইবার কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুহুর্তে জাতির হাল ধরে ছিলেন। একবার ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ আর ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর।

আবার সামরিক শাসন টানা নয় বছর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত। জেনারেল এরশাদ। নানা কাজ অকাজ করেছেন। এসময়ই এদেশের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নিতি তার শেকড় বিস্তৃত করে। রাজনৈতিক ব্যল্যান্স আনার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই এবারকার চতুর্থ শক্তি স্বাধিনতা বিরোধীদের কাছেটানতে হয়।

সংবিধান পরিবর্তন এনেও তাদের খুশি করেন জেনারেল এরশাদ। আবার ২০০৭ ও ২০০৮ সিভিল এইডে আসে সেনাবহিনী। এবার শুধু মাত্র পাকা ঘরই ভাঙ্গে দশ হাজার কোটি টাকার। খালেদা জিয়াযে একটা কথাবলে দুই বছরে তত্তাবধায়ক সরকার আর সেনাবাহিনী দেশকে বিশবছর পিছিয়ে দিয়ে গেছে। এটা তিনি কিভাবে বুঝলেন সেটাই বুঝিনা কারণ তিনি তার প্রথম টার্মে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তিতইে দেশটার কত বড় ক্ষতি করেছে তাই তিনি বুঝতে পারেন না।

তাহলে দেখাযায় স্বাধিনতার ৩৯ বছরের মধ্যে সামরিক বাহিনী মোট ১৭ বছর দেশ শাসন করেছে। দুজন রাষ্ট্রপতি সহ চার জন জাতিয় নেতা সহ আরও বহু নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছে। বন্যায় সহায়তা করেছে। বিল্ডিং ভেঙ্গেছে আর জাতিয় পরিচয় পত্র করেছে। স্বাধিনতা বিরোধীদের পুনর্বাসনে উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছে।

আজ ২০০৯ এখন দেশে মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি আর সমস্যা ৩৪ কোটি। আছে অতীতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী স্বাধীনতা বিরোধী ইলিমেন্টস। আছে সেনাবহিনী আছে বিএনপি। আর শেখ হাসিনার সরকার। মূলত এরাই হলো এদেশের ভাগ্য রাজনিত সবকিছু একটিভ ইলিমেন্টস।

এই নিয়েই আমাদের দেশ বাংলাদেশ। ১৭ কোটি সাধারণ মানুষের দেশ, সুজলা সফলা শষ্য শ্যমলা আমাদের এ দেশ, জন্ম ভূমি, যাকে এদেশের প্রতিটা সন্তান মায়ের চেয়ে বেশী ভালোবাসি, কারণ মায়ের জন্যও কোন সন্তান এত অকাতরে প্রাণ দিতে পারবে না যা আমরা বারবার দিয়ে আসছি।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।