আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় পিতা, ক্ষমা করে দিও অকৃতজ্ঞ জাতিকে

কেউ কেউ একা

আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বরেণ্য এই ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তার ধানমণ্ডির বাসাতে। সবার কাছে স্বীকার্য যে, তিনি ছিলেন মানুষের প্রকৃত বন্ধু। দেশের মঙ্গলকামী একজন মানুষ। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের জনগণ মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।

স্বাধীনতার সোনালি সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলেন। তিনি সবার কাছে শ্রদ্ধেয়। দেশের জন্যে প্রাণ বাজি রাখা এই মহান ব্যক্তিকে আমরা রাতের আঁধারে খুন করলাম। আমাদের খাঁচা থেকে মুক্ত করার, আকাশে অবাধে উড়ার স্বাধীনতা যে দিল, অকৃতজ্ঞর মত তাঁকে খুন করে আমি আমার জাতির মুখে কালি দিলাম। আমরা অনেক কিছুই করতে পারি।

আমরা খুন করে পারি জাতির ভবিষ্যতকে এটাই তার প্রমাণ। ক্ষমতার লোভ এমনি একটা লোভ যার মোহে মোহিত হয়ে মানুষ জঘন্য থেকে জঘন্যতম কাজ করতে পারে। মুজিবুর রহমানের অহেতুক প্রসংশায় পঞ্চমুখ আমি না। সবারই স্বীকার করতে হবে তিনি সত্যি আমাদের ভাগ্য নির্মাতা জাতির পিতা। বাংলাদেশীদের জন্য সত্যি তিনি আশীর্বাদস্বরূপ।

কদিন ধরেই দেখছি ঢাকার শহরে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। অলিগলি-রাজপথ সবখানেই ছেয়ে গেছে কালো ব্যানারে। তাতে নানা শোকগাঁথা লেখা। তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে ঢাকা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা চাঁদা তুলছে মহল্লা মহল্লায়, দোকানে, অফিসে।

একই মহল্লার একই দল মতবিরোধের কারণে তিনটি দলে ভাগ হয়ে একই লোকের কাছে তিনবার যাচ্ছে চাঁদার জন্য। অনেকেই অতিষ্ঠ ছিল এই বিষয়গুলো নিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করা মানে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা নয়। আর অশ্রদ্ধ করা মানে অন্যদল সমর্থন করা নয়। শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধু সবার শিরোমণি।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। দিন বদলের শ্লোগানে এ দলটির কার্যক্রম অনেক বদলেছে। বদলেছে দলের মানুষগুলো। এখন আর বঙ্গবন্ধুর মত দরদী নেতা দলে নেই। হয়তো সময় পাল্টেছে তাই।

তারপরও আজ তাঁরই (বঙ্গবন্ধুর) আদর্শে যদি দল চলে তাহলে তাঁর মত (তাঁর মত আর হবে না, কাছাকাছি) সহিষ্ণু ও বিবেকবান মানুষ, লিপ্সা ত্যাগ করে রাজনীতিতে নামলে ভবিষ্যতে আমরা এমন দেশ দরদী দ্বিতীয় মুজিব পেতে পারি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।