আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোঘল শাসন

কি যে বুঝি তাও বুঝি না।

মোঘল শাসন ১. বাবর শব্দের অর্থ সিংহ। ২. ১৪৯৪ সালে বাবর ফরগনার সিংহাসন আরোহন করেন। ৩. ১৫২৭ সালে ২১ এপ্রিল বাবর পানি পথের প্রথম যুদ্ধে লোদী বংশের শেষ সুলতান ইব্রাহীম লোদীকে পরাজিত করে আগ্রা দখল করে ভারতে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ৪. ১৫২৭ সালে বাবরের সাথে খানুয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

খানুয়ার যুদ্ধে বাবর গাজী উপাধি ধারণ করেন। ৫. ২৬ ডিসেম্বর ১৫৩০ সালে বাবর আগ্রায় মারা যান। তার শেষ ইচ্ছা অনুসারে তাকে কাবুলে সমাহিত করা হয়। পরবর্তী কালে সম্রাট শাহজাহান সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ৬. শের শাহের আসল নাম হলো ফরিদ।

বাঘকে হত্যা করার ফলে বিহারী খান তাকে শেরশাহ উপাদি দেন। ১৫৩১ সালে শেরখান জালাল খানকে পরাজিত করে বিহারের শাসন মতা গ্রহণ করেন। ৭. ১৫৩১ সালে উত্তর প্রদেশে অবস্থিত চুনার দূর্ঘ দখল করেন। ৮. ১৫৩৭ সালে হুমায়ুন চনারদুর্গ পুনরায় দখল করেন। ৯. শেরখান ১৫৩৮ সালে বাংলার শাসক গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে বাংলা দখল করেন।

১০. হুমায়ুন গৌড় দখল করে নামকরণ করেন ‘‘জান্নাতাবাদ”। ১১. ১৫৩৯ সালে বক্্রারের নিকট চৌশা নামক স্থানে হুমায়ুনের বাহিনীর সাথে শেরখানের যুদ্ধ হয় । এই যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয় । ১২. ১৫৪০ সালে হুমায়ুনের সাথে কৌনজের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে হুমায়ুন পরাজিত হয়ে দেশান্তর হতে বাধ্য হন।

অতঃপর সমগ্র ভারতের মতা দখল করে নিজেকে সুলতান বলে ঘোষণা করেন। শেরশাহ উপাধিতে ভূষিত হন। ১৩. কুবলিয়ত পাট্রা প্রথা শেরশাহ প্রবর্তন করেন । ১৪. শেরশাহ যখন দিল্লীর সুলতান তখন বাংলার প্রধান শাসকের পদবী ছিল ‘‘ আমিন- ই- বাংলা’’। ১৫. শেরশাহ ‘দাম’ নামের তাম্র মুদ্রা চালু করেন ।

১৬. শেরশাহ সোনার গাঁ হতে সিন্ধু প্রায় ১৫০০ ক্রোশ সড়ক নির্মাণ করেন যা ‘‘গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড’’ নামে পরিচিত। ১৭. শেরশাহ ‘‘ঘোড়ার ডাকের’’ প্রবর্তন করেন । এই ব্যবস্থাকে ‘‘ডাকচৌকি’’ বলা হতো। ১৮. ১৫৪৫ সালে শেরশাহের মৃত্যুর পর তারপুত্র জালাল উদ্দিন ‘‘ ইসলাম খা শুর” উপাধি নিয়ে দিল্লীর সুলতান হন। ১৯. ১৫৫৫ সালে প্রথম দিকে হুমায়ুন লাহোরে প্রবেশ করেন।

হুমায়ূনের আগমনকে প্রতিহত করার জন্য ‘‘সিকান্দর শাহ’’ অগ্রসর হলে ‘স্বরহিন্দে’’ যুদ্ধ হয়। এত সিকান্দর শাহ পরাজিত হয় এবং পালিয়ে যায়। এরই সুবাদে ‘‘শুর বংশের” পতন হয়। মুঘল শাসন শুরু হয়। ২০.সম্রাট আকবরের শাসন কাল ১৫৫৬- ১৬০৫।

২১. ১৩ বছর বয়সে আকবর সিংহাসনে আরোহন করেন। ২২. বৈরাম খান ‘‘খান- ই- খানান’ সম্রাট আকবরের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন। ২৩.১৫৫৬ পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধ বৈরাম খা বনাম আদিল শাহের প্রধান ও সুদ সেনাপতি হিমু মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। হিমুর ডান চোখে তীর বিদ্ধ হয় জ্ঞান হীন অবস্থায় মোঘলদের হাতে ধরা পড়ে। বৈরাম খা নিজ হাতে তাকে হত্যা করে।

২৪.রাজপ্রাসাদের ষড়যন্ত্রে বৈরাম খানকে ১৫৬০ সালে মতা চ্যুতকরে আকবর নিজে শাসনভার গ্রহণ করে। ১৫৬১ সালে বৈরাম খাকে হত্যা করা হয়। ২৫.সম্রাট আকবর সুবা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন । ২৬.সম্রাট আকবর সমগ্র ভারতকে ১৫ টি প্রশাসনিক এককে বিভক্ত করেন । এর প্রত্যেকটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বলা হত সুবেদার।

২৭.সম্রাট আকবর মনসবদারী প্রথা প্রচলন করেন। মনসবদার হলো অধিনায়ক বা কমান্ডার। ২৮.সম্রাট আকবর সুলতানী আমলের অমুসলিমদের উপর ধার্যকৃত জিজিয়া কর প্রত্যাহার করেন। এত হিন্দুরা বেশ খুশী হয়। ২৯.সম্রাট আকবর ১৫৮২ সালে দীন- ই- এলাহী ’ধর্মের প্রবর্তন করেন ।

৩০.কাজী উল কাহাৎ পদবী ছিল সম্রাটের অধীনে সর্বোচ্চ বিচারপতির পদবী। সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসন কাল সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য ১.সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজ্য পরিচালনার জন্য ১২ টি আইন প্রণয়ন করেন । এই আইন গুলোকে বলা হয় ‘‘দস্তর- উল- আলম”। ২.সম্রাট জাহাঙ্গীর এর আমলে প্রথম ১৬০৬ সালে ‘‘নওরোজ উৎসব” পালন করা শুরু হয়। ৩.১৬১১ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর মেহেরুন্নেছাকে বিবাহ করেন।

তিনি সম্রাজ্ঞীকে প্রথমে ‘নুরমহল’ প্রাসাদের আলো পরে ‘‘নুরজাহান’’ অর্থাৎ পৃথিবীর আলো উপাধিতে ভূষিত করেন। ৪.সম্রাট জাহাঙ্গীর এর শাসন আমলে ফররফ ছিলেন শ্রেষ্ঠ চিত্রকর। সম্রাট শাহজাহান এর শাসনামল হলো ১৬২৮-১৬৬০। ১.সম্রাট শাহজাহান পঞ্জিকা বা কাল গণনার পদ্ধতির পরিবর্তন করেন। সৌর মাসের পরিবর্তে তিনি চন্দ্র মাসের গণনার রীতি প্রবর্তন করেন।

২.সম্রাট আকবর এবং জাহাঙ্গীরের আমলে সম্রাটকে সিজদা করার প্রথা ছিল । সম্রাট শাহজাহান এই প্রথা ইসলাম বিরোধী বলে ইহা বিলোপ করেন। ৩.১৬৮৫ সালে জুন মাসে আওরাঙ্গ জেব আগ্রা দখল করে পিতা শাহজাহান ও বোন জাহান আরাকে বন্দী করেন। শাহাজাহানকে আগ্রার দূর্গে সাধারণ কয়েদীদের মত কারারুদ্ধ করে সিংহাসন দখল করেন। ৪.সম্রাট শাহজাহান আগ্রার দূর্গে আট বছর বন্দী থাকার পর ৭৪ বছর বয়সে ১৬৬৬ সালে ২২ জানুয়ারি মারা যান।

৫.সম্রাট শাহজাহান এর আমলে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ সাধিত হয়। তার অমর কীর্তি হলো ঃ * তাজমহল * মোতি মসজিদ * দেওয়ান ই আশ * জা-ই মসজিদ * আগ্রার দূর্গের অভ্যন্তরে * খাস মহল * শিশু মহল সম্রাট আওরাঙ্গ জেব এর শাসন আমল ১৬৫৮- ১৭০৭ ১.সম্রাট আওরাঙ্গজেব নতুন তারিখ ঘোষণা করেন । রমজান মাসের প্রথম তারিখ হইতে বৎসরের শুরু ঘোষনা করেন। ২.১৬৬৯ সালে আওরাঙ্গজেব পুনরায় জিজিয়াকর অমুসলিমদের উপর ধার্য করেন। ৩.সম্রাট আওরাঙ্গজেব নিজ হাতে পবিত্র কোরআন অনুলিপি ও সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

৪.১৭০৭ সালে ৯০ বছর বয়সে আহম্মদ নগরে মারা যান। তাকে দৌলতাবাদে বিখ্যাত সুফী সাধক শেখ বুরহানউদ্দিন এর সমাধি পাশে সমাহিত করা হয়। মোঘল আমলের অন্যান্য তথ্য সমুহ ১.স্রমাট আকবর গুজরাট রাজ্য জয় উপল্েয ‘বুলন্দ দরওয়াজ’ নির্মান করেন। ২.‘তুযক- ই- বাবর’ বাবরের আত্মজীবনী মুলক গ্রন্থের নাম ৩.সম্রাট আকবরের সময় সমগ্র বঙ্গদেশ ‘‘সুবহ- ই বাঙ্গালাহ” নামে পরিচিত ছিল। ৪.শেরশাহ আফগান বংশের শাসক ছিলেন।

৫.কনৌজের যুদ্ধে শেরশাহ ১৫৩৯ সালে সম্রাট হুমায়ূনকে পরাজিত করে দিলী দখল করেন। ৬.১৫২৬ সালে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭.মোঘল আমলে বিখ্যাত মসলিন বস্ত্র উৎকৃষ্ট কার্পাস দিয়ে তৈরী হত। ৮. মোঘল সুবেদার শায়েস্তা খাঁ পর্তুগীজ দের বিতারিত করেন। ৯. সম্রাট হুমায়ূন গ্রন্থাগারের সিঁড়ি থেকে পড়েগিয়ে মারা যান।

শিবাজী ইতিহাসে ‘‘পার্বত্য মুষিক” নামে পরিচিত ছিলেন। ১০.ইসলাম খাঁ ‘দোলাই খাল ’ খনন করেন। ১১.ওস্তাদ ইসা সিরাজী ‘‘তাজমহলের” স্থপতি। ১২.সম্রাট শাহজাহান ‘‘ময়ূর সিংহাসন ” নির্মান করেন। ১৩.‘‘ময়ূর সিংহাসন’ বর্তমানে ইরানে আছে।

১৪.শিল্পী বেবাদন খাঁন ময়ূর সিংহাসনের তৈরীর শিল্পী ছিলেন। ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের আগমন

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।