আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতির জনককে সম্মান দেখানো বাধ্যতামূলক কর্তব্য!!



আরেকটা ১৫ আগস্ট কড়া নাড়ছে। এ দফা ১৫ আগস্ট শোক দিবসকে সামনে রেখে ১লা আগস্ট থেকেই নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সবাই। (সবাই বলতে তাদের বুঝিয়েছি যারা সরকারি কর্মচারী, যারা আসলেই দিবসটির মর্মার্থ বোঝেন, যারা দলের অন্ধভক্ত, যারা চাটুকার..আরো অন্যান্যরা)। জাতির জনকের হত্যাদিবসকে পালনের ক্ষেত্রে কোন প্রশ্নতো উঠতোই না। ওঠা উচিতও না।

কিন্তু প্রশ্ন ওঠে। রাজধানীর রাস্তায় ১আগষ্ট থেকে শোক দিবসের শ্রদ্ধা জানিয়ে বড় বড় ব্যানার প্রায় প্রতিটা বিল্ডিং-এ, ফুট ওভার ব্রিজের দেয়ালে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আগামীকাল জাতি সেই দিনটির সামনে দাড়াবে। কিন্তু এতো আয়োজন দেখে কি মনে হয়না সব চাটুকারের দল। কেন বলছি? ভুল বুঝবেন না।

আমি আওয়ামী বিরোধী না। পক্ষের কিনা সেটাও বুঝবেন নিশ্চয়। আমি শুধু সাধারণ কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করবো। প্রথম প্রশ্ন: যারা মুখে ফ্যানা তুলে ফেলছেন তারা আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে কোথায় থাকেন? নম্বর দুই. যখন জোট সরকার শোক দিবসকে জন্মদিবস বানিয়ে ফেলে উৎসব করে, সরকারি ছুটি বাতিল করে দেয় তখন এরা কোথায় থাকে? আরেক ধরনের প্রশ্নও কিন্তু উঠতে পারে। যারা এখন এসব করছেন তারা কি এই ভয়ে করছেন যে এসব না করলে সরকারের সুদৃষ্টি পাবেন না।

চাকরি খোয়ানোর ভয়ে শুধু দায়সারা কাজ হিসেবে দেখে নিয়ে এগুলো করছেন? এই প্রশ্নটার পক্ষেই বেশি যুক্তি দাড় হয়ে যায় যখন তখন আমরা মুশকিলে পড়ে যাই। কিন্তু হিসাব বলছে এই শেষ প্রশ্নটাই সব কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু তার কিছুই যদি না হতো। অনেকগুলো যদির মধ্য দিয়ে গেলে আমরা কি দেখবো? ধরুন যদি আমরা কেউ সরকারের ভয়ে জাতির জনককে স্মরণ না করতাম?? ধরুন যদি আমরা সরকারের ভয়েই জাতির জনককে স্মরণ করতাম?? তাহলে কি হতো? যারা নিজে থেকে দেশকে ভালোবাসতে শিখতো তারা জানতো কোন কোন নেতাদের আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবো। এরজন্য দরকার কেবল একটাই জিনিস- ইতিহাসকে সামনে তুলে ধরুন।

বিবেচনা বোধ নিশ্চয় আছে। কাকে এদেশের জনগন নেতা মানবেন তাতো ১৯৬৯এ শিখিয়ে দিতে হয়নি, '৫২তে বলে দিতে হয়নি। তাহলে এখন এতো ভয় দেখিয়ে কাজ কেনো করাতে হবে। জোট সরকারের শাসনামলে যাদের এই দিবসটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে ইচ্ছে করেছে তারা তো সেটা করতে পারেন নি বা এবার যাদের স্মরণ করতে মন চাইছে না তারাতো শোক দিবসকে সম্মান না দেখিয়ে পারবেন না, ব্যানার না ঝুলিয়ে পারবেন না। জাতিকে এই প্রশ্নের মুখে না ফেলার পথ কি আমাদের রানৈতিক নেতারা জানতেন না? নাকি তারা বোঝেন না এভাবে জোরজবরদস্তি করে খুব বেশি শ্রদ্ধা আনানো বা শ্রদ্ধা তাড়ানো যায় না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.