আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক সাহাবী(রাযিঃ)এর মেহমানের খাতিরে বাতি নিভাইয়া ফেলা

আমি বিশ্বাস করি সৃষ্টিকর্তাকে

একজন সাহাবী হুজুর আকরাম (সঃ)-এর খেদমতে হাজির হইয়া ক্ষুধা ও পেরেশানীর অবস্থা জানাইলেন। হুজুর আকরাম (সঃ) নিজের সকল ঘরে কাহাকেও পাঠাইলেন। কোন ঘরে কিছু পাওয়া গেল না। তখন হুজুর আকরাম (সঃ) সাহাবায়ে কেরামদেরকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, কেহ আছে কি? যে এক রাত্রির জন্য এই ব্যক্তির মেহমানদারী কবুল করিবে? এক আনসারী সাহাবী বলিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি মেহমানদারী করিব। তাহাকে ঘরে লইয়া গেলেন এবং আপন স্ত্রীকে বলিলেন, এই ব্যক্তি হুজুর আকরাম (সঃ) -এর মেহমান।

যতদূর সম্ভব তাহার মেহমানদারীতে কোনপ্রকার ত্রুটি করিবে না এবং কোন জিনিস লুকাইয়া রাখিবে না। স্ত্রী বলিলেন, আল্লাহর কসম, বাচ্চাদের উপযোগী সামান্য খাবার ব্যতীত ঘরে আর কিছুই নাই। ষাহাবী বলিলেন, বাচ্চাদেরকে ভুলাইয়া ঘুম পাড়াইয়া দাও এবং তাহারা ঘুমাইয়া যাইবে তখন খানা লইয়া মেহমানের সহিত বসিয়া যাইব আর তুমি বাতি ঠিক করার বাহানায় উঠিয়া উহা নিভাইয়া দিবে। সুতরাং স্ত্রী তাহাই করিল। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে এবং বাচ্চারা ক্ষধার্ত অবস্থায় রাত্রি কাটাইল।

এই অবস্থায় আয়াত নাজিল হইল- আয়াতের তরজমা-"আর তাহারা অন্যকে নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয় যদিও তাহারা ক্ষুধার্ত থাকে"। সোর্সঃ ফাযায়েলে আমাল(হেকায়েতে সাহাবা)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।