আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা!

একজন অলস মানুষ আমি

পুরো পিট আগুনের ছ্যাঁকায় দগদগে। হাতে পায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন নিয়ে শিশু কাতরাচ্ছিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেনের কক্ষে। গত ২ আগষ্ট রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৃহকর্তার নির্মম নির্যাতন থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন রাকিবকে। রাকিব জানিয়েছে, তার বাড়ি নোয়াখালীতে। তার বাবা সালাউদ্দীন ঢাকায় রিকশা চালানোর সুবাধে সেও বাবার সাথে ঢাকা কমলাপুর ষ্টেশনে থাকতো।

গত তিনমাস আগে কাজ দেয়ার নাম করে সাতকানিয়ার নুরুল কবির নামের এক ব্যক্তি রাকিবকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে। এরপর নুরুল কবির রাকিবকে তার বাড়ির কাজে নিয়োগ করে। আর তখন থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। কাজে সামান্য ত্রুটি হলেই শুরু হতো লাটি পেটা ও আগুনের ছ্যাঁকা। রাকিব জানায়, সে তার বাবার কাছে চলে যাওয়ার চেষ্টা করার পর থেকে গোয়াল ঘরে গরু পাহারা দেওয়ার নাম করে রাকিবকেই শিকল দিয়ে বেধে রাখা হতো।

সে জানায় দিনে তাকে একবার খাবার দেয়া হত। তাও প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত অপ্রতুল। রাকিবের পুরো শরীরে ক্ষতচিহ্ন ছাড়া আগুনে গরম করা লোহার ছ্যাঁকায় রাকিবের পিঠ দগদগে হয়ে গেছে। গৃহকর্তা রাকিবের একটি পায়ের রগও কেটে দিয়েছে। রাকিব জানায় গত একমাস থেকে সে চিৎ হয়ে কোনদিন ঘুমোতে পারেনি।

নির্যাতনে মৃত্যুপথযাত্রী হওয়ার পরও নুরুল কবিরের পরিবারের পক্ষ থেকে তার কোন চিকিৎসাও করা হয়নি। রবিবার রাতে গোপন সুত্রে খবর পাওয়ার পর পুলিশ চরতীর দক্ষিণ তুলাতলী নুরুল কবিরের বাড়ি থেকে গুরুতর আহত রাকিবকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উদ্যোগে চিকিৎসার ব্যবস'া করা হয়। উদ্ধার অভিযানের সময় গৃহকর্তা নুরুল কবিরকেও গ্রেফতার করে। এব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত নুরুল কবিরকে আদালতে পাঠিয়েছে। আদালত শিশু নির্যাতনকারী গৃহকর্তা নুরুল কবিরকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানা গেছে।

পুলিশ উদ্ধারকৃত শিশু রাকিবকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সরকারী শিশু সদনে প্রদান করার আবেদনও জানিয়েছে আদালতে। (তথ্যসুত্রঃ ৪ ই আগস্ট,দৈনিক আজাদী,চট্রগ্রাম)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।