আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১/১১-এ কূটনীতিক ভূমিকার কথা নাকচ করলেন আনোয়ার চৌধুরী

মাফিয়া গ্রুপে সকলকে স্বাগতম....

সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় আসার পেছনে ক ূটনীতিকদের ভূমিকার কথা নাকচ করে দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরিচালক হিসেবে রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশ আসেন আনোয়ার চৌধুরী। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আনোয়ার চৌধুরী বলেছেন, "১/১১ এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না। " বুধবার যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে তার বরাত দিয়ে একথা বলা হয়। বিএনপিপন্থী কয়েকটি সংগঠন আনোয়ার চৌধুরীর ঢাকা সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।

তাদের অভিযোগ ওই সময়কার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস,ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীসহ কয়েকজন ক ূটনীতিক ১/১১ এর ঘটনার পেছনে সমর্থন দিয়েছেন। বিবৃতি অনুযায়ী এই ব্রিটিশ ক ূটনীতিক বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ঘটনা প্রবাহের প্রেক্ষাপটেই ওই পরিবর্তন হয়েছিল। ...যুক্তরাজ্যের বর্তমান বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী দেশটি অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আনোয়ার চৌধুরী ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সালের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আরো বলেছেন, "গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্য সমর্থন করে আসছে এবং আমাদের বিশ্বাস যেকোনো স্বাধীন দেশ নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে।

" এর আগে জুলাই মাসে বর্তমান ব্রিটিশ হাইকমিশনার স্টিফান ইভান্সও ২০০৭ সালে ১/১১ এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ক ূটনীতিকদের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন। স¤প্রতি বিদায় নেওয়া জার্মান রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক মেইকেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পেছনে কূটনীতিকদের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছিলেন। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার পর নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তারা সমর্থন জানিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন তিনি। মেইকে বলেন, সংঘাত এড়াতেই তারা তা করেছিলেন। ইতোমধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের বেশ কিছু নেতা 'অসাংবিধানিক' অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জরুরি অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

ফখরুদ্দীন সরকারের দুই বছরের শাসনামল সম্পর্কে মন্তব্য চাওয়া হলে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, তা বাংলাদেশের জনগণের মূল্যায়নের বিষয়। বাংলাদেশে সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছ গণতন্ত্রায়নে যুক্তরাজ্যের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হবে। এছাড়া যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে কাজ করে যাওয়ার আশা প্রকাশ করে আনোয়ার চৌধুরী আরো বলেন, "আশা করি সরকারি ও বিরোধী দল একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এক হয়ে কাজ করে যাবে। " আনোয়ার চৌধুরী আরো বলেন, "বর্তমান বিরোধী দল ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আন্তরিক সম্পর্ক বজায় ছিল। আমাদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ দমনেও যৌথভাবে কাজ করেছি।

"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।