আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

::: দিল্লি কা লাড্ডু ::: খাইলেও যন্ত্রণা, না খাইলেও যন্ত্রণা!

মনের খোলা জানালয় কত আলো কত রঙ, খেলা করে চুপি সারে, আসে যায় কড়া নাড়ে ... ...

আমার এক বন্ধু সব সময় খুব আফসোস করে, সারা জীবনে একটাও সফল প্রেম করতে পারে নাই। কখনো জোড়া লাগে নাই আবার কখনো বেশি দূর আগায় নাই। এ বিষয়ে অবশ্য ওর সব চাইতে বড় অভিযোগ খোদার কাছে। সে অসুন্দর, পকেটে টাকা কম, টাকা থাকলেও মন উদার না হওয়া ছাড়াও খোদা নাকি তাকে মেয়েদের ন্যাকমি সহ্য করার ক্ষমতা দেন নি। কারন, সে দেখেছে, প্রেম প্রেম ভাব নিয়ে কিছুক্ষন কথা বলার পর তার মাথা ধরে যায়, আরও কিছুক্ষন পর হাস-ফাস ভাব লাগে, দম বন্ধ হয়ে আসে।

তখন নাকি সে ভদ্রতার খাতিরে ফোন কাটতে পারে না, কারন সে-ই উদ্যোগতা! তাই কানে হেডফোন লাগিয়ে হ্যা হু করে তাল দিয়ে যায়, আর হাত থাকে কি বোর্ডে। ব্রাউজিংয়ের ফাঁকে তাল দিতে থাকে। কথার খেই হারিয়ে ফেলে। একটু পর মেয়েটা বলে - আপনি কি বিজি? - আরে না! কই? এই একটু নেটে চোখ বুলাই আর কি? তেমন কিছু না! অতপর পূর্বাপর একই ঘটনার পূণরাবৃত্ত্বি ঘটে চলে। আমার বন্ধুও দোকলা হয় না আর।

তাই সব সময় তার আফসোস, একটা প্রেমিকা নাই। পাশের রিকসায় 'জোড়া' দেখলেই ওর তাই মেজাজ খিচড়ে যায়। আবার তার মন উশখুশ করে, উচাটান দেয়। কিন্তু যখনই প্রেমিক বন্ধুদের খরচের ফিরিস্তি শোনে, গিফটের ফর্দ দেখে, আর রাত জেগে প্যাচালের গল্প শোনে তার চেহারায় স্বস্তির সুস্পষ্ট ছাপ দেখা যায়!!! বলে ''শালার ভালই আছি, কোন টেনশান নাই, কারো ঝাড়ি নাই, ঝাড়া হাত-পা ব্যাচেলর, যতদিন পারি এই থাকতে চাই। বাসার পছন্দই আমার জন্য ভাল।

'' পালিয়ে বা সম্মতিতে যেসব বন্ধু এর মাঝে বিয়ে করে ফেলেছে, বেশির ভাগই আছে মাইনকা চিপায়। সারা মাস পকেট থাকে ফাকা। ধার দেনা কথা হজম করে বউয়ের চাহিদা মেটায়। দোস্তের মা এই দিকে মেয়ে দেখছে। আমার বন্ধু পড়ে গেছে উভয় সংকটে।

বিয়া করবার মনচায় মাগার বিয়ার পর জীবনটা নির্ঘাৎ ফানা হয়ে যাবে!! রোমান্স কাটতে কয়দিন, মিস্টি মিস্টি প্রেমের কথা, চোখে চোখ, হাতে হাত, কাটতে কয়দিন! তারপর শুরু হবে টেরেম টেরম যুদ্ধ! পিলোফাইট বদলে গিয়ে কদিন পর বউয়ের ছুড়ে দেয়া বেলন বা ফ্রাইপেনে মাথায় আলু দেখা দেবে। অভিমান করে খাওয়া বন্ধের ব্যাপারটা পাল্টে হয়ে যেবে কিচেন স্ট্রাইক, রান্না বন্ধ, ফ্রিজে তালা। প্রেমিক প্রবরও কদিন পর বাসায় ফিরতে শুরু করবে দেরি করে, আগের মত টান লাগে না বুকে। মনে থাকবেনা সিগারেট না খাবার প্রমিজের কথা। হয়ত পাশের কামরার নতুন কলিগের সাথে লান্চটাও বেশি মজাদার লাগা শরু হবে অনেক দিন পর! দিল্লি কা লাড্ডু; খাইলেও যন্ত্রণা, না খাইলেও যন্ত্রণা! ( এই লিখা আমার ড্রাফটে ছিল ৬/৭ মাস, শেষ করা হয়নাই।

আজকে ২/৩ লাইন এদিক ওদিক করে ছেড়ে দিলাম। উৎসর্গ: মারহুম জামিল সাহেবকে, ৩১ জুলাইর পর বেচারার ফোনে চার্জ আর ব্যলেন্স দুইটার উপরই প্রেসার বেড়ে গেছে!)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।