আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যা করা যেতে পারে ইসলামী ব্যংক সহ জামায়াতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোর

জন্মের প্রয়োজনে ছোট ছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে যখন সোচ্চার দেশবাসী তখন তারই ধারাবাহিকতায় দাবি উঠেছে যুদ্ধাপরাধী কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বর্জনের দাবি। এ দাবির যোক্তিকতা থাকলেও তার গ্রহনযোগ্যতা ও বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব ? জামায়াতী অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন খাতে পরিচালনা করে আসছে। তারা এক সুনিপুন নীল নকশার মাধ্যমে ব্যাংক, বীমা, স্বাস্থ্য সেবা, পরিবহন, আইটি, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সর্ব খাতে নিজেদের কে প্রতিষ্ঠিত করেছে যাতে সহজে তাদেরকে উপরে না ফেলা যায় এবং তাদের দল পরিচালনার জন্য যেনো কোন প্রকার অর্থনৈতিক প্রবাহের বিষয়ে চিন্তা করতে না হয়। তাদের এই নীল-নকশা বাস্তবায়নের দায় কোন সরকারই এড়াতে পারবেন না। জিয়াউর রহমান নিশিদ্ধ জামায়াতে ইসলামকে পুনরায় রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়েছে, এরশাদ সরকার ইসলামী ব্যাংকের লাইসেন্স দিয়ে তাদের আর্থিক সমস্যার সমাধান করেছে, খালেদার সরকার তো জোট বেধে নির্বাচনই করছে আর কিছুদিন আগে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইসলামী ব্যাংকে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দ্বায়িত্ব দিয়ে আরেকদফা মাথা নত করল।

কেবলমাত্র ইসলামী ব্যাংকের কথা যদি বলি ২০১২ সালে ইসলামী ব্যাংক বিশ্বের টপ ১০০০ ব্যাংকের মধ্যে একটি হয়েছে। বর্তমানে এর আমানত (গ্রাহকরা যে টাকা জমা রাখেন) এর পরিমান ৩৯৯৫ কোটি টাকারো বেশি। এতেই অনুমেয় কি বিশাল জনগোষ্ঠিকে ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে এই ব্যাংকে আমানত রাখতে সক্ষম হয়েছে। আর এই আমানতের বিপরীতে লোন দিয়ে যে লাভ হয় তারই একটা বড় অংশ চলে যায় জামায়তে ইসলামীর পরিচালনার খরচের খাতে। এ তো গেলো কেবল মাত্র ইসলামী ব্যংকের কথা।

এমনকরেই তারা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক স্কুল এন্ড কলেজ, ফাউন্ডেশন নানা কিছু প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। আর এসব প্রতিষ্ঠন এমনভাবে সকলের কাছে প্রয়োজনীয় হয়েছে যে চাইলেই এগুলোকে বর্জন কিংবা বন্ধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা চাই এ থেকে পরিত্রান পেতে। এসব উৎস থেকে জামায়াতের অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়া ভেঙ্গে দিতে। যদি সেটা করা সম্ভব হয় তবে জামায়াতের সহজেই অর্থ সংগ্রহের উৎস বন্ধ হবে।

এর সবচেয়ে সহজ সমাধান এসব প্রতিষ্ঠান গুলো রাষ্ট্রীয়করন করে ফেলা। যেটা সরকাল চাইলেই করতে পারে। এর ফলে এর মুনাফার অর্থ জামায়াতে ইসলামীর বদলে রাষ্ট্রীয়কোষাগারে জমা পড়বে। সরকারের কাছে অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে জামায়াতে ইসলাক কর্তৃক পরিচালিত সবগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে সেগুলোকে রাষ্ট্রয়াত্ব করার প্রক্রিয়া শুরু করে এই দুষ্টচক্র ভেঙ্গে দেবার ব্যাবস্থা নেবার জন্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।