আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে হলাম জেডসিই!

...

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গতকাল বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলাম জেডসিই(জেন্ড সার্টিফায়েড ইঞ্জিনিয়ার)। অনেক দিন থেকেই মনে ইচ্ছাটা ছিলো কিন্তু বাস্তবে রূপ দিতে একটু বেশি সময় লেগে গেলো। কাজ আর এটা নিয়ে পড়াশোনা-প্রাকটিস এর কারণে ব্লগে বড়-সড়ো একটা বিরতিতে ছিলাম। এর আগে জেডসিই, পিএইচপি ইত্যাদি নিয়ে লেখার মূল কারণ ছিলো মূলত নিজেকেও অনুপ্রণিত করা আর টেকনোলজীকে সবার কাছে সহজবোধ্য এবং আকর্ষণীয় করে তোলা। কিন্তু নিজে সেটি অর্জন না করে কতো বলা যায় লোকজনকে? দারুণ পীড়ায় ভূগছিলাম।

এদিকে ফেব্রুয়ারিতে তাড়াহুড়া করে একবার পরীক্ষা দিয়ে অল্পের জন্য মিস হয়ে গেলো.... ভেবেছি সাথে সাথেই আবার দিয়ে ফেলবো। কিন্তু পে-প্যাল শুরু করলো বাড়াবাড়ি। কথা নেই বার্তা নেই দিলো লিমিটেড এক্সেস করে। সুতরাং কিনতে পারছিলাম না ভাউচার। তারপর দেরি হয়ে যাওয়ায় আরো দেরি হয়ে গেলো।

ল্যাপটপটা শুরু করলো বাড়াবাড়ি... মাত্র এক বছর যেতে না যেতেই প্রচণ্ড গরম হওয়া... মাত্র ২০ মিনিট চার্জ থাকা... হঠাৎ অফ হয়ে যাওয়া... ডিভিডি-রি-রাইটার নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সুতরাং দিনকাল ভালো যাচ্ছিলো না। ওয়ারেন্টি ক্লেইম করলাম। হাসিন ভাইয়ের পরিচিত শঙ্কুদার কাছ থেকে কেনাতে ব্যাটারি, চার্জার, ডিভিডি সব পাল্টিয়ে দিলো। তবে.... ধ্যাৎ HP520 কেউ ভুলেও কিনবেন না! ব্যাটারি এখন চার্জ দিচ্ছে ১ঘন্টা ২০মিনিট মাত্র।

আর অত্যধিক গরম হওয়া এখনো ছাড়েনি। আশা করছি শঙ্কুদা এটা সার্ভিসিং করলে কিছুটা ঠিক হবে। কিন্তু ব্যাটারি নাকি এর বেশি চার্জ দেবেনা! এই যা! অন্য প্যাচাল শুরু করলাম... যা হোক এসব অজুহাতে জেডসিই পিছাতে পিছাতে ছয়মাস দেরি হয়ে গেলো আর মাঝে যোগ হলো আরো ৫জন নতুন জেডসিই! কাহাতক আর সহ্য করা যায়, বলুন! উঠে পড়ে লাগলাম... বন্ধুর বাসায় ফ্লোরিং করে একযোগে প্রাকটিস আর সেই সাথে ফাঁকে ফাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে লাগলাম। আবারও পে-প্যাল বিড়ম্বনা! সপ্তাহ খানেক লিমিটেড এক্সেস। বন্ধুর ভাউচার কিনেছিলাম সেটা গেলো বাতিল হয়ে।

আর নিজেরটা তো কেনাই হলো না। শেষে পে-প্যাল ঠিক হবার পর, নিজেরটা কিনে ফেললাম কিন্তু বন্ধুরটা আর কেনা যাচ্ছিলো না! কেননা আগেই একবার অর্ডার রয়ে গেছে। বিস্তর মেইল করে ওদের বেথ গোমেজ, শিরি, নিলি গাফনি, ডেবি সবার সাথে মেইল চালাচালি। অতপর ফোনে শিরি'র মধুর কণ্ঠে কল সব হবার পর.. শিরি কথা দিলো জেন্ড'কে সরাসরি পে-প্যাল করে পে করে দিলে সে ব্যক্তিগতভাবে এটা দেখবে। সুতরাং পরীক্ষার জন্য তৈরি হও! কিন্তু এতো দেরি হওয়াতে ভয় আর নার্ভাসনেস বেশ জাঁকিয়ে বসেছিলো।

তাই ভয় হচ্ছিলো প্রিপারেশন যথেষ্ট হয়নি। তবুও সাহস করে দিয়ে ফেললাম। তবে একা নয়, আমি এবং আমার বন্ধু দু'জন একই দিনে একই সেন্টারে। আর তারপর.... হয়ে গেলাম জেডসিই ১৪তম! দু:খ মনে ছিলো ১০তম স্থানটা মিস করে ফেলায়। কিন্তু একই দিনে দুজন পাস করায় নতুন রেকর্ড হলো.. এ পর্যন্ত আমরাই প্রথম একই দিনে জেডসিই হলাম! এ সংক্রান্ত বিস্তারিত লিঙ্কস নিচে দিচ্ছি: জেডসিই হবেন? পিএইচপি শিখুন পে-প্যাল একটি জরুরী প্রয়োজন আপনি পঁচা পিএইচপি প্রোগ্রামার? পিএইচপি শেখার সহজ উপায়গুলো জেনে নিন পরীক্ষা'র পর আমার তাৎক্ষণিক অনুভূতি English


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।