আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউ-টিউব: দুই

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

কতগুলো শব্দ আছে যেগুলো মনে পড়ে কবিতার দ্বিতীয় লাইন লিখতে গিয়ে। চন্দ্রিমার সিড়িতে কফির মগে চুমুকে দিতে দিতে সুহাদ বলে। মানে? সুহাদের আজকাল অনেক কথাই হেয়ালীপূর্ণ যাকে সে আবার দার্শনিকতা বলে। অতন্দ্রিলার মুখে বেনারসী আভা। প্রয়াত বিকেলের।

শব্দগুলো মাথায় বসে যেতো কবিতার ছন্দ মেলাতে। প্রথম লাইনের শেষ শব্দটির মিল খুঁজতে গিয়ে। যেমন? ধরো, ভূমি। জীবনে অসংখ্যবার তুমি দিয়ে শেষ হওয়া লাইনের অন্তমিল সংগী হতে ভূমিকে পেয়েছি নাগালের মধ্যে। কিন্তু বড় সহজলভ্য বলে ভূমিতে আমার শয্যা নেয়া হয়নি।

অতন্দ্রিলার খিলখিলে হাসি সুহাদের মাথায় জাকিয়ে বসে। পকেটে ঘোরে। হৃদয়ে ঘোরে। বলে, তুমিকে নিয়ে কবিতারা ঘোরে, কবিতার মাথা কুটে মরে একটা সুন্দর তুমিসংগীর জন্য। কিন্তু ঐ এক ভূমি এসে সারাক্ষণ মাথায়, অলিন্দে, বাহিরে জোরালো আবেদনে নিবেদনে পাগল করে তোলে।

তারপর? নতুন শব্দ পেলাম চুমি। মজার তো! অতন্দ্রিলা ওর কবিতার সাথে পরিচিত। বড় বেশী আবেগে কবিতার মান আর কিছু থাকে না শেষে। সুহাদ বলে চলে, এর আবার হাজারও প্রতিকূলতা, কেমন এক ধরণের শারিরীক জাগরণের ষড়যন্ত্র, তুমির পাশে চুমি লিখলেই মনে হয় হয়ে গেল চুমোচুমি। এবার অতন্দ্রিলার হাসিতে চন্দ্রিমাচররা তাকিয়ে দেখতে বাধ্য হয় যুগলটিকে।

লেকের উপরে ব্রীজটার অপূর্ব স্থাপত্যে বিকালের আনন্দবাসর অদ্ভুত দ্যুতি ছড়াচ্ছে। কিছু সে মোহময়তা তৈরি হয়েছে লাল, নীল বৈদ্যুতিক বাতির সমারোহে আর বাকীটা তার বাঁধ ভাঙা হাসির হিন্দোলে। শুক্রবারের দিকে কাঙালের মত দুজন চেয়ে থাকে। ব্রীজটা যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে লাল ইটের একটা বসার জায়গা রয়েছে। শুক্রবারের রোজনামচা এটাকে ঘিরে।

দুজন ভ্রমণকারী সেখানে বসে ছবি তোলার বায়না ধরেছে বলে উঠতে হলো। হাঁটতে থাকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে। অতন্দ্রিলা জানতে চায়, একদম কাব্যিক হয়ে গেছো। তোমার ঘড়িতে ক’টা বাজে? এমন কাব্য করতে থাকলে, বাসায় আর যাওয়া হবে না। আরে শোনই না।

আজকে মুড এসেছে। একটু সাহিত্য না হয় করতেই দাও। ঠিক আছে! সাহিত্য করো..... সুহাদ বলে, সাহিত্য থাক। বরঞ্চ প্রেম করি। বলো, প্রেমের সংজ্ঞা কি?. তুমিই বলো..... প্রেম এমন একটা বস্তু যা জানতে কোন পাঠ আবশ্যক নয়।

ব্যক্তির এমন এক ভাবের উদয় - যাকে সে সপ্রণোদিত হয়েই প্রেম নামাঙ্কিত করতে পারে। আমরা তো তাই করছি! অতন্দ্রিলা বলে, কিন্তু এমন ভাবকে সে কেন প্রেম শব্দে প্রকাশ করবে? সুহাদ বলে, অধিকাংশ মানুষ এই বিশেষ অনুভূতিকে প্রেম শব্দে প্রকাশ করে বলে তার শাব্দিক অলংকরণ প্রেমে নির্ধারিত হয়েছে। মরেছে! তুমি এখন প্রেমকে বড্ডো কঠিন করে ফেলছো, এটাকে তো আর রোমান্টিক লাগছে না, দর্শন হয়ে গেছে! ফিক করে হেসে ফেলে। পুরো বিকেলের শেষ কথোপকথনটুকু ওদের প্রাণ খুলে হাসতে সাহায্য করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.