আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে


নাই কাজ তো খই ভাঁজ, তেমন কিনা জানিনা, তবে একমাসের ছুটিতে এক মিনিট বসে থাকাটাও রঙ্গিন করে তুলতে ভালো লাগে। তাই গ্লাস পেইন্ট আর এক গাদা ফেলে দেওয়া বাসন কোসন , পারফিউমের শেষ হয়ে যাওয়া শিশিবোতল, পুরোনো মগ এসব নিয়ে বসে গেলাম রাঙ্গাতে। এসব ফেলে দেওয়া জিনিসগুলো রঙে রঙ্গিন করে তুলবার সময় গানও গাইছিলাম গুনগুন করে, রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে Click This Link আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে Click This Link মনের রঙে রাঙাবো বনের ঘুম ভাঙাবো Click This Link মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ চাঁপার বনে Click This Link প্রজাপতি প্রজাপতি কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা.... Click This Link এমন এমন কতশত গান.... অবাক হয়ে খেয়াল করলাম রঙ নিয়েও মোটেই কম গান লেখেনি কবিরাও, যাইহোক, ফুরিয়ে যাওয়া পারফিউমের খালি শিশি আর পুরোনো সাদা মাটা, ফুলটা ভেঙে যাওয়া একটা ছোট চিকন ফুলদানীকে রাঙিয়ে তুললাম কাঁচ-রঙের ছোঁয়ায়। ছোট ছোট মধুবোতল, হাতলওয়ালা গ্লাসজার রঙিন করে দিলাম। এইযে হয়ে গেলো আমার পুরো ছ'পিসের রঙীন গ্লাস সেট পারফিউমের যত পুরোনো শিশি আর নাট্‌কোর খালি বোতলে শুধু কালো পেইন্ট দিয়ে ডিজাইন করেছি।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জিনিসপাতি কিনলে যেসব ফ্রী গিফট মাগ গুলো পাওয়া যায়, সেসবের উপরে কাঁচ-রঙে ডিজাইন করে ওদের লোগোগুলো ঢেকে দিয়েছি প্রজাপতি ঝিলিমিলি পাখা এঁকেছি মগগুলোর ধপধপে সাদার উপর। একটু গ্লিটার ইউজ করেছি এখানে। এইযে ছোট্ট নীলমগটার ছবি তুললাম রুমমা স্টাইলে এবার কমলাটা সবশেষে লালটার ছবি। রঙ তখনও শুকোয়নি। কাঁচা ছিলো তাই আঙুলে লেগে গেলো রঙটা।

এসবকিছুই এঁকেছি এই ব্ল্যাক লাইনার টিউবটা দিয়ে আর আশে পাশের রঙের টিউবগুলো দিয়ে লাল নীল রঙে রাঙিয়েছি ডিজাইনগুলো। এবার বলি গ্লাস পেইন্ট কি করে করতে হয়। এটা এমন সোজা যে জীবনে কোনোদিন একটা আঁচড়ও কাটেনি কখনও সেও ইচ্ছে করলে ফুটিয়ে তুলতে পারবে কাঁচের উপর নানারকম ডিজাইন। প্রথমে ব্ল্যাক লাইনার টিউবটা দিয়ে ছবিটার আউটলাইন এঁকে নিতে হবে। আউটলাইনটার রঙ শুকিয়ে গেলে তারপর লাল নীল হলুদ সবুজ ইচ্ছে মতন রঙে রঙীন করে তুলতে হবে ছবির ভেতরটা।

তবে একদম ফ্ল্যাট কাঁচ হলে যে কোনো ছবির উপরে কাঁচটা রেখেই উপরে ছবিটা মানে আউটলাইনটা ট্রেস করা যায়। তারপর ভরিয়ে দেওয়া যায় ভেতরটা নানা রকম রঙে। ব্যাস ফেলে দেওয়া হাবিজাবি জিনিসপত্র , শিশি বোতল ডাস্টবিনে না ফেলে বানিয়ে ফেলা যায় সোপিস।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।