আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেইন্ট-পিটার্সবার্গ রাশিয়া। রাশিয়ার ২য় বৃহওম শহর।



===================================== আমি সেইন্ট-পিটার্সবার্গে থাকি। এটা রাশিয়ার ২য় বৃহওম শহর। আমি এখানে ১০ বছর যাবৎ আছি, আমার অনেক দিনের ইচ্ছা বাংলাদেশের সবাইকে এ দেশ সম্পর্কে জানাবো। আজকে রাজ আশরাফুল আমাকে এই ওয়েব সাইটের ঠিকানা দেওয়াতে সেই ইচ্ছাটা পূরণ হলো। এখানে হয়তো ছবিও প্রকাশ করা যাবে. টাইপটা করেছেন রাজ।

এই পুস্তক এ কন্তই বাংলাভাষীদের জন্য যারা বিভিন্ন কারনে রাশিয়াতে এসেছেন কিন্তু রুশ ভাষা জানেন না। এই পুস্তকের রচয়িতারা নিতান্তই অপেশাদার। বাংলাভাষীদের কিছুটা উপকারের জন্যই “বাংলাদেশ কেন্দ্র” হতে পুস্তকটি প্রকাশিত। এই পুস্তক পাঠে যদি কারো উপকারে আসে তো আমাদের শ্রম সার্থক হবে। রাশিয়া বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম রাষ্ট্র।

রাশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত হলেও অধিকাংশ জনবসতির অবস্থান ইউরোপ অঞ্চলে। এদেশে রুশ, তাতার, ইহুদী, কাজ়াখ, চুকচি, কোরিও, ফিনোগোর, চেচেন, ওসেটিয়া, জরাথ্রুষ্টীয়, মুসলিমদের বাস। বিশাল সীমানা ও সীমিত জনসংখ্যার কারনে এদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা দূরুহ বিধায় প্রত্যেক নাগরিক ও অধিবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ( রুশ ভাষায় ‘পাসপোর্ত’) তৈরী করা হয়েছে। অত্যন্ত শীতল বিধায় জনসংখ্যার অধিকাংশ দক্ষিনাঞ্চল এবং বড় শহরমুখী হয়ে থাকে। এতে করে প্রত্যন্তঅঞ্চল প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে।

তাই এখানে সরকারীভাবে রেজিষ্ট্রেশনকরাতে হয় যার যার বাড়ীর ঠিকানা। raiSyar ইতিহাসঃ পূর্বে এই অঞ্চলে তেমন জনবসতি ছিল না। ৯৪৫ সালে এই অঞ্চলে রাজারা ব্যবসায়ীদের পাসপোর্ট দেওয়া শুরু করে। এর জনশংখ্যার ৭৯% ইউরোপিয়ান। ১৮ টি দেশের ১১ টি শহরের ১০ লক্ষের বেশী লোক বাস করে এখানে।

আচার ও কৃষ্টিঃ ভৌগলিক, ধর্মীয়, জাতীয় অভ্যাস, রাজনৈতিক কারন ভেদে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন প্রকৃতির আচার ও কৃষ্টির উদ্ভব হয়। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দূরত্ব ভারত বা নেপালের থেকে বেশী হওয়ায় পার্থক্যটা অনেক বেশী। যে বিষয়গুলো নবাগত বাঙ্গালীদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন তা হলঃ খাবারঃ আবও হাওয়ার কারনে এখানে বেশী ধান উতপন্ন হয় না তাই রাশিয়ানরা আমাদের মত ভেতো নয়। খাবার সময় কাউকে খাবার খেতে অনুরোধ করার পর যদি সে না করে তাহলে দ্বিতীয়বার অনুরোধ করাটা শ্রেয় নয়। খাবার সময় চপচপ শব্দ করা অভদ্রতা।

বন্ধুবান্ধব বেড়াতে এলে চা নাস্তা প্রস্তাব করা যেতে পারে। ডান হাতে ছুরি, বাম হাতে কাটা চামচ ধরতে হয়। লোকজনের সামনে ঢেকুর তোলা ভয়াবহ অভদ্রতা। কেউ খেতে বসলে তাকে “প্রিয়াত্নাভা আপেতিতা” (have a nice m eal বা আপনার খাওয়া ভাল হোক(tâiÐ sHkaer Kan! ) বলতে হয়। অন্য কেউ যদি আপনি খাওয়ার সময় এটা বলে তাহলে উত্তরে “স্পাছিবা” (ধন্যবাদ) বলতে হয়।

- হোষ্টেলে বাস করলে হাড়ি পাতিল, মসলা, বাসন কোসন রান্না ঘরে রাখা নিষেধ। সাথে সাথে ধুয়ে ফেলতে হবে। - রুশদের সামনে হাড় চাবানোটা অভদ্রতা। কারন এটা ঘরের বিড়াল ও কুকুরকে দেয়া হয়। - চা পান করার সময় ফড় ফড় শব্দ করাটাও অপ্রীতি কর হিসেবে ধরা হয়।

কুসংস্কারঃ -কালো বিড়াল পথের সামনে পড়লে খারাপ। -হাত থেকে লবন পড়ে গেলে কারো সাথে ঝগড়া হবে। বাম হাতে লবন তুলে ঘাড়ের পেছনে ছুড়ে ফেলতে হবে। -খারাপ কিছু কেউ বললে কাঠের মধ্যে তিনবার টোকা দিতে হবে। -ঘর থেকে বের হবার পর কিছু ভুলে গেলে ঘরে ফিরে আয়নাতে মুখ দেখতে হবে।

অন্যান্য বিষয়ঃ -বয়স্কদের [নাম, পিতৃনাম] (ИМЯ, ОТЕЧЕСТВО) ধরে ডাকতে হয়। -শিক্ষক শিক্ষিকাদের নাম ধরে ডাকতে হবে। -কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে বিছানায় না বসা উচিত। অনুমতি সাপেক্ষে বসা যাবে। -ঘরের ভেতর জ্যাকেট পরে থাকা ভাল নয়।

আইন কানুনঃ -পার্সপোর্ট সর্বক্ষন সাথে রাখতে হবে। -ভিসা, রেজিষ্ট্রেশন শেষ হবার ১ মাস আগে থেকে “আবির”-এ বা ভার্সিটিতে যোগাযোগ করতে হবে। -পথে ঘাটে যে কাওকে পার্সপোর্ট দেখানো উচিত না। শুধুমাত্র পুলিশ, মিলিতসিয়া, আমন ( রাশিয়ার একটি বিশেষ বাহিনী, আমাদের র্যাবের মত ), ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন সার্ভিসকে দেখানো হবে। কোন জনসাধারন চাইলে না দেখানোই ভাল।

-রাশিয়া থেকে বের হতে হলে এক্সিট বা বহির্গমন ভিসা ( সবুজ একটি ভিসা যা দেখতে ভাজ করা কার্ডের মত ) লাগে, তা আপনি নিজের দেশে বা অন্য যে কোন দেশে যেতে চান না কেন। এক্সিট ভিসা “আবির” দিয়ে থাকে। ছাত্রদের ক্ষেত্রে তা ভার্সিটি থেকে সংগ্রহ করতে হবে। -পার্সপোর্ট জমা দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ একটি “স্প্রাভকা” বা কাগজ দেবে। এই “স্প্রাভকা” সবসময় পার্সপোর্ট এর বদলে সাথে রাখতে হবে।

এটার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে। সেই মেয়াদ শে\ষের আগেই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পার্সপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে বা নতুন মেয়াদ সম্বলিত “স্প্রাভকা” সংগ্রহ করতে হবে। -সকল নাগরিক ও বিদেশীদের স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক। ছাত্রদের এখানে প্রতি বছর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। এই বীমা থাকলে পরীক্ষা বিনামূল্যে করানো যায়।

নতুন ছাত্ররা আসার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার আগে এই বীমা করে নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। -বাংলাদেশীরা গাড়ী চালাতে চাইলে বাংলাদেশ হতে প্রাপ্ত “ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স” ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে মূল লাইসেন্সের ইংরেজী সংস্করন এবং সেটার রুশ অনুবাদ যা কিনা রাশিয়ার কোন আইনজীবি কর্তৃক “নোটারী পাবলিক” করা হয়েছে তা সাথে থকতে হবে। গাড়ীর বীমা এবং রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সাথে থাকতে হবে।

এখানে যদি কোন বিদেশী গাড়ীর মালিক হন তবে তার পার্সপোর্টের রেজিষ্ট্রেশন অনুযায়ী গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন হবে। নাগরিকত্ব এবং বসবাসের অধিকারঃ -বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক যার কমপক্ষে ছয় মাসের রেজিষ্ট্রেশন আছে, রাশিয়াতে থাকার যায়গা আছে ( যেখানে সে রেজিষষ্ট্রেশন করতে পারেন), আর্থিক সঙ্গতি আছে, রাশিয়াতে কোন অপরাধে দন্ডিত নন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, রুশ ভাষা ভাল জানেন তিনি নাগরিকত্ব এবং বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রথমে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি নিতে হবে। এক বছর পর স্থায়ী অনুমোদন পাবেন ৫ বছরের জন্য। পরবর্তীতে ১ বছর পর নাগরিকত্ব পেতে পারেন।

এছাড়াঃ -কোন রুশ নাগরিকের সাথে বিবাহিত হলে। -৪০ হাজার ডলার থাকলে। -রাশিয়াতে বাড়ী থাকলে। -অন্যান্য। স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যঃ -রাশিয়া শীত প্রধান দেশ।

এখানকার মাটি, পানি ও বাতাস শীত ও গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা। প্রতি বছর গ্রীষ্মে অজ্ঞতার কারনে অনেক বিদেশী পানিতে ডুবে মারা যান পানির শীতলতার কারনে। তাই বাংলাদেশীদের এক্ষেত্রে সাবধানতে অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। -মদ্যপান করা উচিত নয়। -X-ray (এক্স রে) বছরে এক বারের বেশী করা উচিত নয়।

-খেলাধুলার চর্চা করা উচিত। আমরা বেশীরভাগ এ কারনে স্থূলদেহী হয়ে পড়ি। -বাংলাদেশী পোশাক বিধি এবং রাশিয়ার পোশাক বিধি ভিন্ন। রোমে রোমানদের মতই থাকা উচিত। -নিয়মিত সেভ করা করা উচিত।

শীতকালে শীতের পোশাক ও মোজা, জুতো, টুপি পড়তে হবে। প্রচুর লেবু, আপেল ও সবজি খেতে হবে। -টয়লেট ভেজানো এখানে অভদ্রতা বলে বিবেচিত। -জানালা দিয়ে সূর্যের আলো দেখলে গরমের চিন্তা করে টুপি, মাফলার, জ্যাকেট, জুতা, কালসোন (ইনার) –এর কথা ভুলে গেলে চলবে না। মনে রাখবেন এটা শীতের দেশ।

-যে কোন শারীরিক সমস্যা হলে প্রথমে অভিজ্ঞ কাওকে জানানো, এরপর (হোষ্টেলে থাকলে এডমিনিষ্ট্রেটরকে) স্বাস্থ্যবীমার ডাক্তারকে জানানো উচিত। -এখানে প্রায় সারাদিন জুতা পরে থাকতে হয়। তাই জুতা বারান্দায় রাখতে হবে। জুতা পরার এক ঘন্টা আগে ঘরে আনতে হবে যেন তাপমাত্রা দেহের সমান হয়। শীত ও বর্ষাকালে জুতা ভিজলে তা সাথে সাথে শুকাতে হবে।

-কলের পানি খাওয়া নিষেধ। পানির ফিল্টার জগ কিনতে হবে। রাশিয়াতে পানি গরম করার জগ (চাইনিক বা ওয়াটার হিটার), পানির ফিল্টার জগ এবং রুম হিটার আবশ্যক। পানি ফিল্টার করতে হবে এই জন্য যে এখানকার পানিতে প্রচুর লোহা বিদ্যমান যা কিনা পানি ফুটালেও অপসারিত হয় না। -মাঝে মাঝে মিনারেল ওয়াটার খাওয়া ভালো।

-দুরূহ, কিন্তু যদি সম্ভব হয় বেরিঊহোভয় জুস খাওয়া ভালো। এটা বেরিওহা গাছের রস। মে মাসের প্রথম দিকে পাওয়া যায়। -গরমকালে রোদ পোহাতে হবে। রাশিয়ানরা কালো হবার জন্য নয় বরং ভিটামিন ডি এর জন্য রোদ পোহায়।

এ বিষয়ে কোন মতভেদ নেই। -শীতকালে “স্টীম বাথ”-এ যেতে হবে। সরকারী হাম্মামখানাগুলোতে দেড় ঘন্টা ২৫ রুবল (২০০৯ সাল)। ৩০ মিনিট যথেষ্ট। -যে দেশে বাস করবেন সে অনুযায়ী পোষাক পরিধান করবেন, খাদ্যাভাস গড়ে তুলবেন।

তাহলে রোগ বালাই হবে না। -রাতে ঘুমুবার আগে জানালা খুলে ঘরের বাতাস পরিস্কার করবেন। -যুগপৎভাবে অর্থাৎ একসাথে জানালা ও দরজা খুলবেন না। তাহলে “স্কোব্জনিয়াক” হবে, তাতে ঠান্ডা লাগতে পারে, জ্বর হতে পারে। বাজার-হাটঃ -এখানে দৈনন্দিন বাজারের জন্য বিভিন্ন দোকান রয়েছে।

তবে তুলনামূলকভাবে বড় বড় সুপারশপগুলোতে দাম কম হয়ে থাকে যেখানে রাস্তার পাশের ছোট দোকানগুলোতে দাম বেশী হয়ে থাকে যা আমাদের দেশের বিপরীত। আবার সুপার শপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জিনিসপত্র পাওয়া যায় “ওকি” (ОКЕЙ) –তে। আরেকটি সুপারশপ আছে যেটার নাম “নারোদনি” (НАРОДНЫЙ) যেখানে আপনি সারা শহরের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জিনিস পাবেন। “নারোদনি” ব্যতিত অন্য সব গুলো সুপার শপগুলোতে ডিসকাউন্ট কার্ডের প্রচলন আছে। মাঝে মাঝে তাতে মূল্যহ্রাস পাওয়া যায়।

ডিসকাউন্ট কার্ডের দাম সাধারনত ৫০ হতে ১২০ রুবল হয়ে থাকে। ব্যবসা, বানিজ্য ও চাকুরীঃ -রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা পশ্চিমা দেশগুলোর মত নয়। তাই ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করাটা সুলভ নয়। আর বিদেশীদের জন্য আইন আরো কঠিন। ছাত্র ভিসায় আসে কাজ করা নিষেধ।

ধরা পড়লে ৫ বছরের জন্য ডিপোর্ট করা হয়। তবে কাজ করতে চাইলে “আবির” থেকে অনুমতি নিতে হয়। ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই কোম্পানী খুলতে হয়। তবে ছাত্রদের জীবনযাত্রার ব্যয় এখানে খুবই কম। ৭০ ডলারে(২০০৯ সাল) একজন ছাত্র এখানে মাস চালাতে পারে।

ভ্রমনঃ -ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রথম ২ বছর রাশিয়ার ভেতরে এবং সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোতে ভ্রমন করা উচিত। তারপর ই ইউ , ইউ এস এ, ইউ কে –তে ভ্রমন করলে ভাল হয়। সবুজ ভিসা সম্পর্কে আগে বলা হয়েছে। ISIC কার্ড থাকা ভাল। পাসপোর্টঃ -বাংলাদেশের পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রথমে থানায় যেতে হবে।

তারপর “আবির” বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “স্প্রাভকা” নিতে হয়। এরপর মস্কো দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। নবায়ন করতেও মস্কো দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। -এক জনের পার্সপোর্ট অন্যজন বহন করা অপরাধ যদি না বিশেষ অনুমতি থাকে। -পার্সপোর্ট ও রেজিষ্ট্রেশনের ফটোকপি ঘরে থাকা ভাল।

-পার্সপোর্ট কোথাও জমা দিলে পার্সপোর্ট হতে মাইগ্রেশন কার্ড, টাকা পয়সা সরিয়ে নিজের কাছে রাখা উচিত। বিবাহঃ -বিদেশী কেউ কোন রুশ নাগরিককে বিয়ে করতে চাইলে তাকে দেশ থেকে অবিবাহিত্বের সার্টিফিকেট আনতে হবে যা কিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় হতে সত্যায়িত করা থাকবে। পার্সপোর্টের অনুবাদও নোটারী পাবলিক হতে সত্যায়িত করতে হবে। বিনোদনঃ -রাশিয়ার নিজস্ব উৎসবের দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে “নতুন বছর, পুরানো নতুন বছর, পিতৃভূমি রক্ষার দিন, মাস্লেনিতসা (শীতের শেষ দিন), বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের, নারী দিবস ইত্যাদি”। এসব দিন সরকারী ছুটির দিন।

-রুশ যাদুঘরগুলোতে যাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে “এরমিতাস”-এ। এটা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম যাদুঘর। ছাত্রদের “এরমিতাস”-এ সর্বদা প্রবেশ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। -রুশ প্লানেটারিয়াম গুলোতে যাওয়া যেতে পারে।

-৯ই মে’র প্যারাড খুবই মনমুগ্ধকর। -গ্রীষ্মের সময় “আলোকিত রাত্রি”-তে শহরের কেন্দ্রে যাওয়া যেতে পারে। মনমুগ্ধকর সকল দৃশ্যের অবতারনা হয় সেখানে সে সময়। লেখাপড়াঃ -রাশিয়াতে সকল লেখাপড়া করার ১ম সোনালী আইন হল নিয়মিত ক্লাস করা, শিক্ষকদের সাথে বেশী মেলামেশা করা, ভালভাবে ভাষা শেখা। ১ম বছরের ভাষা শিক্ষা ক্লাসগুলো ঠিক মত করলে আপনার জন্য এখানকার পড়াশুনা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

এজন্য ১ম বছরের ক্লাসে কিছু না বুঝলে সাথে সাথে শিক্ষকে প্রশ্ন করবেন। চেষ্টা করবেন ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করতে। এখানকার শিক্ষকরা প্রশ্নকারী ছাত্র পছন্দ করেন। শিক্ষক পছন্দ না হলে আপনি গ্রুপ বদলিয়ে অন্য গ্রুপে যেতে পারেন যে গ্রুপের ক্লাস আপনার পছন্দসই শিক্ষক নিয়ে থাকেন। Amader website russiate..


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।