আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই চৌর্যবৃত্তির অবসান কবে হবে?

C:\Documents and Settings\user\Desktop\Brishti.jpg

বরগুনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিল তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে সযত্নে। নামমাত্র কাজ করে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজ একেবারেই না করে বিল তুলে নেওয়ার পেছনে কিছু কর্মকর্তার হাত থাকার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। সংশ্লিষ্ট উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কাছে নাকি এত টাকার কাজের কোনো তথ্যই জানা নেই। তবে তিনি বলেন আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আমি কোনো দুর্নীতি করি না।

’ বরগুনা-বরইতলা সড়কের ক্রোক সেতু থেকে ঢলুয়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার ও একই সড়কের শেষ অংশের এক কিলোমিটার সড়কের কাজ ২৫ জুন শুরু করে ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, কয়েকজন ঠিকাদার প্রবল বর্ষণের মধ্যে তড়িঘড়ি করে নামমাত্র কিছু কাজ করিয়েছেন। এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন এসব কাজের মান এতই খারাপ হয়েছে যে, কাজ শেষ হওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই সড়কের গুঁড়ি পাথর ও বিটুমিনের আস্তর উঠে যায়। আবার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের গর্তগুলো পাথর ভাঙা দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও ইটের খোয়া দিয়ে ভরাট করা হয়। এতে দু-তিন দিন যেতে না যেতেই সড়কগুলো আবার আগের চেহারায় ফিরে আসে।

ঠিকাদার আর প্রকৌশলীরা সম্পূর্ন হারাম টাকায় আর কত চাকচিক্য দেখাবেন। প্রিয় দেশটা আর কতদিন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।