আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৪



৪. * শূন্য আরণ্যকের তালিকা: '৭৫, ৮১ এর অগুনিত হত্যা'’. ৩০-৩৫ বছর আগের ঘটনা এখন টেনে আনার প্রসঙ্গটিই অপ্রাঙ্গিক. সে সময় ক্যু হয়েছিল. ক্যু-এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড. এই আইন সেনাবাহিনী করে নাই. এ আইন সারা বিশ্বে বলবত্ এবং আমাদের সংবিধানের অংশ. তাদের বিচার হয়ছিল মার্শাল-ল কোর্টে এবং তাও সংবিধানের অংশ. অতএব, হত্যা নয়, এসব বিচারেরই অংশ. ৫. * শূন্য আরণ্যকের তালিকা: '‘জিয়া'র মৃত্যু - বিচারের নামে কয়েক শত বীর মুক্তিযোদ্বা অফিসার নিধন’'. জিয়ার মৃত্যু কথটি ভুল, তাকে হত্যা করা হয়েছিল. হত্যাকারীদের বিচার হওয়াই উচিত না? কিন্তু ‘'কয়েক শত’'-এর তালিকা তারা কখনও দিতে পারবেন না. এই অতিরঞ্জনের নাম মিথ্যা. ৬. * শূন্য আরণ্যকের তালিকা: ‘'আনসার বিদ্রোহ দমনের নামে নির্বিচারে গুলি করে মারা আনসার সদস্যদের’'. আনসার বিদ্রোহ নিরস্ত্র ছিল না. আনসার একটি সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী. তারা যে অস্ত্র নিয়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তা যদি সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয় তখন নিরাপত্তার স্বার্থেই তা রোধ করতে হয় এবং তা সশস্ত্র পন্থায়ই বটে. এখানে সংবিধানসম্মত আইনটি হল –- ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ. যদি না হয়ে থাকে সে প্রশ্ন তোলা যায়, তবে তা সপ্রমাণ হওয়া বাঞ্ছনীয়. আনসারে ডিজি ছাড়া আর কোন সেনা-অফিসার নাই, তিনিও বিদ্রোহস্থলে ছিলেন না যে সেনাবাহিনীর সেখানে যাওয়ার গরজ ছিল. পুলিস বা বিডিআর না পাঠিয়ে কেন সেনাবাহিনী পাঠানো হল, সে প্রশ্ন তৎকালীন রাজনৈতিক সরকারকেই জিজ্ঞেস করা উচিত, দায়ও তাদেরই, সেনাবাহিনীকে নয়.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।