আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাপিত-যে মুচ কাটে



গত শুক্রবার সকালে হাতিরপুল বাজার সংলগ্ন এক সেলুনে (দেশ হেয়ার কাটিং)চুল কাটতে গিয়েছিলাম। আমার পাশের চেয়ারে পিডিবি এর এক ডাইরেক্ট্রর সাহেব চুল কাটাতে বসছেন। ভদ্র লোক সেলুনে এসে নাপিতকে কিভাবে চুল কাটতে হবে তা বলে দেওয়া সত্ত্বেও এক্সপার্ট ও ইয়ং নাপিত মাত্র এক মিনিটে মেশিনের সাহায্যে ঘাড় হইতে মাথার উপর পর্যন্ত চুল কেঁটে চামড়া বের কইরা ফালাইছে। আর যাই কই এই যেন বামুনের টিকি কেঁটে ফেলার মত ঘটনা দেখছি। কেঁদে ফেলার মত অবস্থা ৫৭ বছর বয়সি ভদ্র লোকের।

উনার মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন, জামাই আর্মির মেজর, নাতি স্কুলে যায়। এই বয়সে ঘরে, অফিসে ও একমাত্র মেজর জামাইকে সিপাহি চুলের কাট কিভাবে দেখাবেন-এই ভাবনায় নাপিতের সাথে চেচামিচি করলেন বিশ মিনিট। অতঃপর পাশের লোকজনের নিশ্চুপ হাসাহাসি দেখে সেলুন ঘর ত্যাগ করলেন। এই ঘটনায় আমার আমেরিকা প্রবাসি ছোট চাচার কথা মনে করিয়ে দিলো- ক্লান্ত চাচার প্রথম বিবাহ বার্ষিকের রাতে ঘুমের সময়ে চাচির খূরকর্মে মুচ হারালেন। আমরা সবাই প্রথম মুচ বিহীন অবাক চাচা দেখলাম।

অবশেষে তিনি আট দিন পর অফিস কাজ্বা করে মুচ গজিয়ে ঢাকায় ফিরলেন। স্রষ্টার সৃষ্টি প্রত্যেকটি মানুষ তার নিজস্ব রুচী অনুযায়ী চুল, দাড়ি, মুচ রাখে। এই ষ্টাইল একন্ত তার নিজস্ব। এটা সবার ভাল লাগতে হবে এমন কোন কথা কোথায় নাই। আর ষ্টাইল পরিবর্তন করাও অনেক সাহসের দরকার।

এই সাহস পিডিবি এর ডাইরেক্ট্রর সাহেবেরও নাই, চাচারও নাই আর আমার এখনও নাই হবেও না। কারন আমার মুচও আছে এবং আমার বউও আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।