আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এত স্পর্ধা আশরাফুল পায় কোথায়?

তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ও অধিনায়কত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এক ধরনের বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ক্রিকেটারদের ক্ষোভ প্রশমনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আজই তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা সহসভাপতি আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের। তার আগে গতকাল নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেন। গাজী আশরাফ প্রথমেই আবারও পরিষ্ককার করেছেন, তাঁর কথাগুলো একান্তই নিজস্ব মতামত, বোর্ডের নয়। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, অপারেশনস কমিটিতে না থাকলেও সাবেক অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় দল নিয়ে কথা বলার অধিকার তাঁর আছে, ‘আমি খেলোয়াড়দের বক্তব্য পত্রিকায় পড়ে বিস্মিত হয়েছি।

আমি মনে করি না যে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটিই শুধু জাতীয় দল নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখে। জাতীয় দলের একজন সাবেক ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক হিসেবে লাল-সবুজের দল নিয়ে কথা বলার অধিকার আমারও আছে। আমি সে হিসেবেই কথা বলেছি, বোর্ডের মুখপাত্র হিসেবে নয়। ’ গাজী আশরাফের বিপক্ষে ক্রিকেটারদের আরেকটি অভিযোগ, তিনি সরাসরি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ না করে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ম্যানেজারের ব্যাখ্যা, ‘বিশ্বকাপের আগে আমি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপ করেছি।

বিশ্বকাপের পর তাদের মধ্যে সেই আলাপ-আলোচনার কোনো প্রতিফলন দেখিনি। আমার মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে আবার আলোচনার মতো বাকি কিছু নেই। তাই সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছি। ’ একই সঙ্গে গাজী আশরাফ আবারও জাতীয় দল ও অধিনায়কত্ব নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মতকেই ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পরও দেশে ফিরে অধিনায়ক বলেছেন, তিনি অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন এবং দলের পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এটা প্রমাণ করে, তিনি সঠিক চিন্তা করছেন না।

’ ক্রিকেটারদের ভাষ্য হলো, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত তাঁরা ভালো করেছিলেন। গাজী আশরাফের কাছে সেই ‘ভালো’ অর্থহীন, ‘অগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভালো করে কেউ তৃপ্তিতে ভুগলে তিনি এই গ্রহের মানুষ বলে মানা কঠিন। ’ ক্রিকেটাররা আরও বলছেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটিমাত্র ম্যাচ হারায় এত কথা ওঠা বাঞ্ছনীয় নয়। গাজী আশরাফ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে সাধারণ একটি ম্যাচ হিসেবে দেখতে রাজি নন, ‘তাদের বুঝতে হবে, ওই একটি মাত্র ম্যাচে হারের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই ম্যাচটির গুরুত্ব তাঁরা এতেই অনুমান করতে পারেন নিশ্চয়ই।

ওই ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশ দল সুপার এইট খেলত। ফলে এটিকে সাধারণ একটি ম্যাচের মতো করে দেখা যাবে না। এটি একটি সাধারণ পরাজয়ের চেয়ে বেশি কিছু। ’ খবরঃ প্রথম আলো আশরাফুল দেশে এসে বিমান বন্দরে বলেছেন-"ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। " আমরাও জানি এমন হতেই পারে।

কিন্তু সেটা বারবার নয়। গত বিশ্বকাপে এই আয়ারল্যান্ডের কাছে না হারলে বাংলাদেশ হয়তো সেমিফাইনালও খেলতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা পারেনি। তখন আমরা সেটাকে আপসেট হিসেবেই নিয়েছিলাম। কিন্তু এবার? আপসেট তো বারবার হতে পারেনা।

মাঠে অধিনায়কের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং এবং এরপর বোলার ব্যবহারে কান্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয়- এরপরও কিকরে বলেন উনি অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন? অধিনায়কত্ব উপভোগ করার জিনিষ না, এটা একটা দায়িত্ব। দলে থাকতে হলে পারফরম করেই থাকতে হবে। যেকারনে হাবিবুল বাশার বাদ পড়েছেন সেই একই কারনে আশরাফুলও বাদ পড়াদের দলে পড়েন। তাকে এটা উপলদ্ধি করতে হবে। আমাদের এক্সট্রাঅর্ডিনারী টেলেন্ট মোহাম্মদ আশরাফুল আর তিলকারত্নে দিলশান এর মধ্যকার পারফর্মেন্স এর একটা তুলনামূলক স্ট্যাটিস্টিকস এখানে তুলে দিলাম সবচে' অবাক হয়ে যাই আশরাফুলের স্পর্ধা দেখে।

খারাপ পারফর্ম করার পর কেউ সমালোচনা করতে পারবে না? গাজী আশরাফ হোসেন যথার্থই বলেছেন অথচ আশরাফুল তার জবাব যেভাবে দিয়েছেন এবং গাজী আশরাফ হোসেন-কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন তাতে তার মধ্যে সিনিয়রদের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাবোধ আছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এমন বেয়াদবের হাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।