আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এএফ ৪৪৭ বিমান দুর্ঘটনার পাঁচটি লাশ উদ্ধার

The most beautiful thing is to see a person smiling And even more beautiful is, knowing that you are the reason behind it!!!
ব্রাজিলের নৌবাহিনী অতলান্তিক মহাসাগর থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করেছে, যেগুলি সম্ভবত গত সোমবার দুর্ঘটনায় পতিত এয়ার ফ্রান্স বিমানটির আরোহীদের লাশ৷ব্রাজিল নৌবাহিনী শনিবার পেয়েছিল দু'টি লাশ, দুটি রুকস্যাক, একটি সীট এবং বিমানের একটি ডানার অংশবিশেষ৷ দৃশ্যতঃ একটি লাশ সীটের সঙ্গে সীটবেল্ট দিয়ে বাঁধা ছিল৷ সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে এ-সব খবর দেওয়া হয়নি৷ দুর্ঘটনায় পতিতদের আত্মীয়স্বজনরা রিও ডি জানিরোর একটি হোটেলে আছেন৷ তাঁরাই এ-সব তথ্য সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন৷ অতঃপর রবিবার আরো তিনটি লাশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের নৌবাহিনী৷ দুর্ঘটনার স্থান তবে দুর্ঘটনার স্থান অন্তত এখন নিশ্চিত৷ স্থানটি ব্রাজিলের ফের্নান্ডো দি নরোনিয়া দ্বীপ থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে, যেখান থেকে বিমানটির শেষ রাডার সঙ্কেত এসেছিল৷ শনিবার উদ্ধারকৃত পুরুষের লাশ দু'টির পরিচয় সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি৷ অপরাপর আবিষ্কৃত দ্রব্যের মতো লাশগুলিও প্রাদেশিক রাজধানী রেসিফে'তে পাঠানো হচ্ছে৷ রুকস্যাকটিতে মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে একটি ল্যাপটপ এবং একটি টিকার বই পাওয়া গিয়েছে বলে প্রকাশ৷ আরোহীদের অনুসন্ধান আকাশে এবং সমুদ্রবক্ষে বিমান ও জাহাজ সহ ২৪ ঘন্টা অনুসন্ধান চলেছে৷ তবুও, ২২৮ জন আরোহীর কতোজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে, তা বলা শক্ত৷ বিমানটির ধ্বংসাবশেষের একটি মূল অংশ ৩,০০০ মিটার গভীর জলে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ রিও'তে আত্মীয়বর্গের ডিএনএ পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে, যা'তে নিহতদের সনাক্ত করা যায়৷ লাশগুলির অবস্থা সম্পর্কে কর্ত্তৃপক্ষ শুধুমাত্র আত্মীয়স্বজনদের জানাচ্ছেন৷ দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স বা ফ্লাইট রেকর্ডার খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রায় নেই বললেই চলে৷ যদিও একটি ফরাসী গবেষণাপোত যন্ত্রের সাহায্যে ৬,০০০ মিটার গভীরতা থেকে মালপত্র তুলে আনতে সক্ষম৷ একটি বিশেষ যন্ত্র আরেকটি রহস্য হল দুর্ঘটনার কারণ৷ এএফ ৪৪৭-এর শেষ কয়েক মিনিটে বিমানটি থেকে পর পর ২৪টি অটোম্যাটিক এরর মেসেজ এসেছিল, যখন বিমানটির একটির পর একটি সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করছে৷ এখন তদন্তকারী ফরাসী বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ককপিটে বসা পাইলটরা বিমানের গতিবেগ সম্পর্কে ভুল তথ্য পাচ্ছিল বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্ট থেকে৷ ওদিকে দুর্ঘটনার পর পরই এয়ারবাস স্বয়ং পাইলটদের ঠিক এই ধরণের বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছে৷ অপরদিকে এয়ার ফ্রান্স বলেছে, তারা নাকি এক বছর আগে থেকেই তাদের এ-৩৩০ এবং এ-৩৪০ বিমানগুলিতে ঠিক এই সমস্যা পরিলক্ষণ করেছে: যে ক্রুইজ ফ্লাইটের সময় পাইলটরা এয়ার স্পীড সম্পর্কে ঠিক তথ্য পাচ্ছে না৷ এজন্য ডানার প্রান্তে লাগানো ‘‘পাইলট প্রোব'' বা ‘‘পাইলট টিউব'' যন্ত্রগুলি বদলানোর কর্মসূচীও এগিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কেননা ভারী বৃষ্টি, কিংবা নিম্নচাপ, কিংবা ঝড়ের ক্ষেত্রে এই প্রোব যন্ত্রগুলিতে বরফ ধরে সেগুলি অকেজো হয়ে পড়ে৷ কাজেই পাইলটরা ভুল রিডিং দেখে স্পীড কম করলে বিমান স্টল করতে পারে, অথবা মাত্রাধিক গতি বাড়ালে বিমানটি ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যেতে পারে৷
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।