আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এস এম এস : দুর্গতদের সাহায্যের সহজ পথ

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

এই পোস্টটি ব্লগার চাচামিঞার এই পোস্টের প্রতিক্রিয়া ক’দিন আগে আইলা ঘূণিঝড় হয়ে গেল। দুর্গত মানুষদের জন্য দরকার ত্রাণ। তার জন্য দরকার ত্রাণ তহবিল। সেই ত্রাণ তহবিল খুব সহজে গড়ে তোলা যেতে পারে মোবাইল এস.এম.এসের মাধ্যমে। এস.এম.এসের মাধ্যমে অতি সহজেই বিপুল পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব।

বিভিন্ন কারণে আমরা এস এম এস করে থাকি। ইদানিং টেলিভিশনে ক্লোজ আপ ওয়ান জাতীয় প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান বা পত্রিকায় প্রকাশিত কুইজের উত্তরের জন্য এস এম এস আহবান করা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এস এম এস এর জন্য মোবাইল ফোন অপারেটররা একটি নির্দিষ্ট অংকের বিল নিয়ে থাকে। ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা এসব বিলের পরিমাণ। টাকার অংকে একটি এস এম এসের বিল খুব সামান্য।

আমাদের দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক প্রায় ৪ কোটি । তারা একটি করে এস এম এস পাঠালে এক টাকা হিসেবে প্রতিবারে ৪ কোটি টাকা আয় হবে মোবাইল ফোন অপারেটরদের। অর্থাৎ ইচ্ছা করলে মাত্র একবার এস এম এসের মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা জোগাড় করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এস এম এসের মাধ্যমে যে বড় অংকের তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব, সেটা বুঝতে খুব বড় পণ্ডিত হতে হয় না। যদি মোবাইল ফোন অপারেটররা একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে এস এম এস করতে বলে - যার দ্বারা অর্জিত অর্থ দুর্গতদের সাহায্যে ব্যয় করা হবে - তাহলে বহু সদয় ব্যক্তি এস এম এস করতেই থাকবেন।

এ পদ্ধতিতে যেহেতু টাকা পাঠানোর পরিমাণ খুব সামান্য এবং পাঠানোর পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ, তাই বহু লোকের সাড়া দেয়াটা স্বাভাবিক। অল্প সময়ে বড় অংকের তহবিল জোগাড় করার এর চেয়ে সহজ বুদ্ধি আর কিছু হতে পারে না। ২০০৫ সালে সুনামি দুর্গতদের পাশে ভারতের সাধারণ মানুষের সহায়তা তহবিল পৌঁছে দেয়ার জন্য ভারতের মোবাইল অপারেটররা এস এম এসের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছিল। বড় অংকের এ তহবিল পরবর্তীতে সুনামি দুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যয় করা হয়েছিল। এই উদাহরণকে সামনে রেখে দুর্গতদের তহবিল সংগ্রহে এ রকম একটি পদক্ষেপ নিতে পারে।

এখন দরকার কেবল মোবাইল ফোন অপারেটরদের আন্তরিকতা। তারা একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে এস এম এস পাঠাতে গ্রাহকদের আহবান করলেই অতিদ্রুত সময়ে বন্যার্তদের জন্য বড় অংকের তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এমন সহজ পথ গ্রহণ করার জন্য সরকার মোবাইল ফোন অপারেটরদের উদ্যোগ নিতে বলতে পারে। ইচ্ছা করলে সরকার নিজেই মোবাইল ফোন অপারেটরদের সহায়তা নিয়ে একটি তহবিল গড়ে তুলতে পারে। সরকার ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হতে পারে এই সংগ্রহ অভিযান।

সরকার ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের যৌথ মনিটরিংএর মাধ্যমে এস এম এসের মাধ্যমে অর্জিত তহবিল ব্যয়ে একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এ তহবিল থেকে দুর্গতদের জন্য একটি বড় ধরনের সহায়তা প্রকল্প বা স্থায়ী সহায়তা সেল খোলা যেতে পারে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণে যে বিপুল অংকের অর্থের দরকার হয়, তা অতি সহজেই এস এম এসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই সম্মিলিত কার্যক্রম হয় তো আমাদের দেশের দুর্যোগ মোকাবেলার ইতিহাসকেই বদলে দেবে। বিশেষ দ্রষ্টব্য : গত বছর বা আগের বছর বন্যার সময়ে কিন্তু মোবাইল অপারেটররা এ রকম তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন।

আমি বাংলালিংক ব্যবহার করি। আমি করেছিলাম এস.এম.এস। সিটিসেলও এই পদ্ধতিতে তহবিল সংগ্রহ করেছিল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।